পটুয়াখালীর দুমকীতে লুথান হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে বরখাস্ত কৃত এক নার্সকে পূর্নবহালের দাবীতে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ করেছেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
ক্লিনিকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডেভিড ঘোষ অভিযোগ করেন,ঐ ক্লিনিকের নার্স যুথী মন্ডলকে অসাদাচারন সহ অফিসের নিয়ম ভংগের কারনে গতকাল বরখাস্ত করা হয়।এর আগে ঐ নার্সকে তিনদফা সতর্ক করা হয়,এর পরে ঐ নার্স বিষয়টি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের স্মরনাপন্ন হয়ে বিভিন্ন সময় চাপ দিয়ে আসছিলেন। গত দুই দিন আগে বিষয়টি দুমকী থানা কর্তৃপক্ষকে জানালে গতকাল দুমকী থানার ওসি (তদন্ত)বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসেন।আজ দুপূর ১২ টার দিকে হঠাৎ করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপিত আবুল কালাম আজাদ ,ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আনিসুজ্জামান সোহাগ সহ বর্তমান ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এসে ঐ বরখাস্তকৃত নার্সকে পূর্নবহালের দাবীতে নিয়োগ পত্র তাদের মত জোর করে লিখে দিতে বললে তিনি তাদের মত লিখে দিতে অসম্মতি করায় ঐ সময় তারা অফিসের আসবাব পত্র ভাংচুর সহ তারা সিসিটিভির রেকর্ডার নিয়ে যায়।এ সময় তারা টিম লিডার সাগর রোজারীও সহ তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন,সম্পূর্ন অনৈতিক ভাবে অসমাজিক কাজে সম্মতি না হওয়ায় ঐ নার্সকে ১৯ সেপ্টম্বর সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এনিয়ে একাধিক বার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আমি হাসপাতাল কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে একাধিক বার আলোচনায় বসি। এমনকি উপজেলা চেয়ারম্যান সহ উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদেরকে অনুরোধ করা হয় ,সর্বশেষ গতকাল ঐ নার্সকে তারা বরখাস্ত করে। আজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বিষয়টি জানতে গেলে তাদের সাথে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয় খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই,তবে কোন ভাংচুর হয়নি।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন,খবর পেয়ে আমি ঘটনা স্থলে যাই। এখন পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃক পক্ষের লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন