শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

যাত্রীর করোনায় ফ্লাইট বন্ধ : দেড় লাখ অভিবাসীর যাত্রা অনিশ্চিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

ভুয়া সনদধারীদের শাস্তির আওতায় আনার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

করোনা নেগেটিভ ভূয়া সনদ নিয়ে বিদেশ যাচ্ছেন যাত্রী। সেখানে গিয়ে করোনা পজিটিভ হিসেবে ধরা পড়ছেন কেউ কেউ। তাতে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। প্রথমে জাপান, কোরিয়া এরপর বন্ধ হয়েছে ইতালির ফ্লাইট। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়ায় প্রথমে একসপ্তাহের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করে ইতালি। এই সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত করেছে দেশটি। গতকাল বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নোটাম (নোটিস টু এয়ারম্যান) জারি করেছে ইতালি। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে নেয়া কভিড-১৯ নেগেটিভ সনদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বহির্বিশ্বে। এমনকি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ফ্লাইট বন্ধ হওয়ায় প্রায় দেড় লাখ অভিবাসীর বিদেশ ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে করে করোনার মধ্যে নতুন করে অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। একের পর এক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদেশিরাও বাংলাদেশে আসতে পারছে না। তাতে চরম সঙ্কটে দেশের পাঁচ তারকা হোটেলসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। সরকারের প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে এই সেক্টরে। এদিকে ইউনেসকোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষার্থী দেশের বাইরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। সবচেয়ে বেশি যান মালয়েশিয়ায়। এরপর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, কানাডা, ভারত ও জাপান। এ ছাড়া অন্য দেশেও বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে তাদের শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে। কিন্তু ফ্লাইটের অভাবে তারাও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা করোনার ভূয়া সনদের কারণে একের পর এক ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার ঘটনাকে কঠিন বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেছেন। এতে করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতির অশনি সঙ্কেতও দেখছেন তারা। তাদের মতে, সনদের ঝামেলা এড়াতে সিভিল এভিয়েশন কয়েকটি হাসপাতালকে তালিকাভূক্ত করে দিতে পারে। তালিকাভূক্ত হাসপাতাল থেকে করোনা পরীক্ষা করে যাত্রীরা সহজেই বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে সিভিল এভিয়েশনের এক কর্মকর্তা বলেন, করোনার সনদ বাধ্যতামূলক করা হলে সেটা করা যেতো। কিন্তু সব দেশে করোনার নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক নয়। একেক দেশে একেক নিয়ম।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহেদুল আলম বলেন, কোনো দেশ করোনা সনদ বাধ্যতামূলক করুক আর না করুক, আমাদের উচিত এ ব্যাপারে কড়াকড়ি করা। এ ক্ষেত্রে ভূয়া সনদধারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি কোনো করোনা পজিটিভ যাত্রী কোনোভাবেই যাতে বিমানে উঠতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। নইলে একের পর এক সব রুট বন্ধ হয়ে যাবে। তখন কিছুই করার থাকবে না।

কভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ নিয়ে স¤প্রতি ইতালিতে যাওয়া বাংলাদেশীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের ফ্লাইট এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ইতালি সরকার। এমনকি গত বুধবার ঢাকা থেকে রোমে যাওয়া ১২৫ বাংলাদেশীকে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে পরে এই সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত করেছে দেশটি। গতকাল বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নোটাম (নোটিস টু এয়ারম্যান) জারি করেছে ইতালি। নোটামে বলা হয়েছে, ইতালিয়ান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশে থেকে আসা সব যাত্রী ও ফ্লাইট ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবে না। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় কোনও এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে থেকে কোনও যাত্রী আনতে পারবে না। এমনকি কোনও ট্রানজিট ফ্লাইটেও যাত্রী আনা যাবে না, যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। এই নোটাম জারির পর কাতার এয়ারওয়েজ ঘোষণা দিয়েছে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ইতালিগামী কোনও যাত্রী তাদের ফ্লাইটে নেওয়া হবে না।

এভিয়েশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, গত এক মাসে ইতালি, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে যাওয়া অর্ধশতাধিক বাংলাদেশির শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ফলে তুরস্ক ফ্লাইট চালুর কথা বললেও এখন নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতও। এতদিন কভিড-১৯ নেগেটিভের সনদ ছাড়াই এমিরেটস এয়ারলাইনসে ভ্রমণ করতে পারছিলেন বাংলাদেশীরা। তবে আজ থেকে এমিরেটস এয়ারলাইনসে ভ্রমণ করা প্রত্যেক বাংলাদেশী যাত্রীকেই সঙ্গে রাখতে হবে কভিড-১৯ নেগেটিভের সনদ। আর এ সনদ নিতে হবে সরকার স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকেই। গত মঙ্গলবার এমিরেটস এয়ারলাইনস থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার বাংলাদেশে অবস্থিত এমিরেটস অফিস, ট্রাভেল এজেন্টদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছাড়া কোনো যাত্রীকে ফ্লাইটে ওঠানো যাবে না। ওই যাত্রী সুস্থ থাকলেও এ সনদ লাগবে। আর করোনা নেগেটিভ সনদ অবশ্যই ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টা আগের হতে হবে। এর বেশি আগের সনদগ গ্রহণযোগ্য হবে না। এছাড়া কভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ অবশ্য সরকার স্বীকৃত কোনো ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠান কিংবা হাসপাতাল থেকে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ সংগ্রহ করতে হবে। সাধারণ কোনো হাসপাতালের সনদ গ্রহণযোগ্য হবে না। সনদে অবশ্যই পাসপোর্ট অনুযায়ী পুরো নাম, পিতার নাম থাকতে হবে, পাসপোর্ট নম্বর ও জন্ম তারিখ থাকতে হবে। ২০ জুলাই পর্যন্ত এ নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। সব মিলে আকাশপথে একের পর এক নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে পড়ছে বাংলাদেশ।

বিদেশে যাওয়ার পর বিমানবন্দরেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের শরীরে করোনা শনাক্ত হচ্ছে কেন, তার কোনো সুস্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি দায়িত্বশীল কেউ। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করছে। কর্মকর্তাদের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে বিমান যাত্রীদের নির্ভুলভাবে করোনাভাইরাস শনাক্তের প্রক্রিয়ায় গলদ আছে। বিমানবন্দরে সহকর্মীদের বিদায় জানাতে গিয়ে দেশে অবস্থানরত বেশ কয়েকজন অভিবাসী জানতে পেরেছেন সেখানে যাত্রীদের কভিড-১৯ সনদ সঠিকভাবে যাচাই করা হয় না। শুধু শরীরের তাপমাত্রা মেপেই ছেড়ে দেয়া হয়। কয়েকজন অভিযোগ করে বলেছেন, ভূয়া সনদ নিয়ে যারা গেছেন তারা আগেভাগেই বিমান বন্দরে কর্তব্যরতদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে থাকেন। মূলত বিদেশে গিয়ে তারাই ধরা পড়েছেন। এ কারণে বিমান বন্দরকে দুর্নীতিমুক্ত করা জরুরী। আবার একজনের কারণে হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তির শিকার হবেন সে বিষয়ও ভাবা উচিত।

করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় গত ২১ জানুয়ারি থেকে দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ওই সময় থেকে বিদেশফেরত সব যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। একই সঙ্গে যাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকবে, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার নিয়ম করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২১ মার্চ থেকে চীন ছাড়া বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় বেবিচক। ১৫ জুন থেকে যুক্তরাজ্য ও কাতারের সঙ্গে বিমান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। এরপর ২১ জুন এই তালিকায় যুক্ত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। ৩ জুলাই থেকে ঢাকা-ইস্তাম্বুল পথে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পায় টার্কিশ এয়ারলাইনস। তবে নিষেধাজ্ঞাকালীন বিশেষ ও ভাড়া করা ফ্লাইটে প্রবাসীরা দেশে আসতে শুরু করেন।

ইমিগ্রেশনের সূত্র বলেছে, ১ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত বিমানের একাধিক ভাড়া করা ফ্লাইটে ইতালি, জাপান, পর্তুগাল, স্পেন গেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এর মধ্যে শুধু ইতালিতেই গেছে পাঁচটি ফ্লাইট। এসব ফ্লাইটে ১ হাজার ৩৬১ জন বাংলাদেশি গেছেন। সর্বশেষ ৬ জুলাই ২৭৬ জন যাত্রী নিয়ে রোমে যাওয়ার পর ২১ বাংলাদেশির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

বেবিচকের একজন কর্মকর্তা জানান, আগাম সতর্কতা হিসেবে তুরস্ক সরকার বাংলাদেশে টার্কিশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট চলাচল ১৫ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছে। দুবাই ও আবুধাবিতে ৬ জুলাই থেকে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট চালুর সময় নির্ধারণ করা ছিল। কিন্তু আরব আমিরাত সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার কারণে সেটি স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয়েছে বিমান বাংলাদেশ। এর আগে ১১ জুন বিশেষ ফ্লাইটে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার পর ১৮ প্রবাসী বাংলাদেশির শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশিদের প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দক্ষিণ কোরিয়াও।

শুধু তাই নয়, ১০ জুন বিমানের চার্টার্ড ফ্লাইট জাপান যাওয়ার পর ৪ বাংলাদেশিকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এরপর বাংলাদেশ থেকে আর কোনো চার্টার্ড ফ্লাইট যেতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয় জাপান। চীনের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল করলেও ১১ জুন ঢাকা থেকে গুয়াংজুতে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনসের ১৭ যাত্রীর করোনা শনাক্ত হয়। এরপরই চীন সরকার বাংলাদেশে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনসকে এক মাসের জন্য ফ্লাইট চলাচলের নিষেধাজ্ঞা দেয়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণের সময় এসব যাত্রীর শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না। তাদের কাছে করোনা পরীক্ষার সনদও ছিল। কিন্তু সেই সনদ ভূয়া হতে পারে সে সম্পর্কে কর্মকর্তাদের কোনো ধারনাই ছিল না।

এ প্রসঙ্গে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহারিয়ার সাজ্জাদ বলেন, বিদেশে যাওয়ার সময় যাত্রীর জ্বর বা করোনা উপসর্গ আছে কি না, আমরা বিমানবন্দরে তা পরীক্ষা করি। কিন্তু সব দেশে কোভিড সনদ থাকা বাধ্যতামূলক নয়। একেক দেশের একেক ধরনের নিয়ম। তিনি বলেন, আক্রান্তের ৪-৫ দিন পর করোনা ধরা পড়ে। বাসা থেকে বিমানবন্দরে আসা বা ফ্লাইটে থাকার সময়ও কেউ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে নেগেটিভ হলেও বিদেশে যাওয়ার পর অনেকে করোনা পজিটিভ হতে পারেন।

একজন কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো করোনা সনদ গ্রহণ করবে না। সেখানে যাওয়ার পর যাত্রীর করোনা পরীক্ষা করানো হয়। পজিটিভ বা নেগেটিভ যে রিপোর্ট আসুক, তাকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে একই নিয়ম। ইতালিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে করোনা সনদ রাখার নিয়ম ছিল না। অথচ এখন তারা সনদের উসিলায় বাংলাদেশের যাত্রীদের জন্য কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বসেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Syed Anwer Hossen ১০ জুলাই, ২০২০, ১:১৩ এএম says : 0
প্রশাসনের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারী গন শিকর গেরে বসে আছে , এই দুর্নীতিবাজরাই এই মুহূর্তে দেশের এক নম্বর শক্রু ৷এই দুর্নীতিবাজদের নির্মুল করার জন্য কঠোর আইন এবং বিশেষ আদালত গঠন করা উচিত ৷ নতুন আইনে আপিলের কোন সুযোগ থাকবে না ৷ এবং নব্বই দিনের মধ্যে বিচার শেষ এবং রায় কার্যকর করতে হবে ৷ তাহলেই শুধু এইদেশ একটি শান্তি পুর্ন বসবাস উপযোগী দেশে পরিণত হবে
Total Reply(0)
Omor Bahadur ১০ জুলাই, ২০২০, ১:১৪ এএম says : 0
ভুয়া সার্টিফিকেটের কারনে ইতালি প্রবাসীদের ফেরত পাঠাল বাংলাদেশে তাই রিজেন্ট হসপিটাল বিক্রি করে তাদেরকে ক্ষতি পুরন দেওয়া হউক
Total Reply(0)
Sabbir Mahod Sabbir Mahmod ১০ জুলাই, ২০২০, ১:১৪ এএম says : 0
সব জায়গায় বাটপারি চলে না।এবার বোজ ঠেলা।সবদেশে তো আর শাহেদর মত জানোয়ার জন্মায়না জানোয়ার জন্মায় কেবল সোনার বাংলায়।
Total Reply(0)
Almahin Hossain Shimul ১০ জুলাই, ২০২০, ১:১৪ এএম says : 0
প্রবাসীর সৎ ভাবে কাজ করে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মান সম্মান দিনদিন বৃদ্ধি করছে সেখানে দেশে বসেই বড়বড় পদবী লোক গুলে দেশের সম্মান নষ্ট করছে বর্হিবিশ্বে এটা কোনভাবেই কাম্য নয়, এই ঘটনাটি খুবই ন্যাককার জনক বাজে কাজ পুরো নৈতিক অবক্ষয় এর থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে।
Total Reply(0)
Rasel Hossain ১০ জুলাই, ২০২০, ১:১৫ এএম says : 0
আজকে সারাদিন বহুবিদেশি মিডিয়ার প্রধান খবর ছিলো। লোভী বাঙালির মহামারি করোনা ব্যাবসা।এসব কিছু বাঙালি জাতিকে হতাস করেনি বরং তাদের চরিত্র বিশ্ব মিডিয়া ফুটে উঠেছে।
Total Reply(0)
Noor Mohammad ১০ জুলাই, ২০২০, ১:১৫ এএম says : 0
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্র বিশাল পরিমাণে রেমিট্যান্স হারালো। করোনা ভাইরাস টেস্টের ভূয়া সনদের মাসল দিতে হলো প্রবাসী ভাইদের। আসলেই আমরা অধিকাংশই জাতিগতভাবে মিশ্র চরিতার্থ করে থাকি।
Total Reply(0)
মোঃ শামীম ১০ জুলাই, ২০২০, ১:১৬ এএম says : 0
আমার মনে হচ্ছে ইতালির মতো অন্য দেশ গুলোও এরকম উদ্যোগ গ্রহন করবে। কারন সবাই জেনে গেছে আমরা কতটা জগন্য চোর।
Total Reply(0)
Mohammed Kowaj Ali khan ১০ জুলাই, ২০২০, ৭:২৬ এএম says : 0
কোথায় ওবায়দুল কাদের? সে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ১০ জুলাই, ২০২০, ৮:২৬ এএম says : 0
নিন্দুকেরা বলেন, বাঙালীদের অবস্থা দেখে বার বার কবি গুরুর কথা স্মরণ পরে যায় “মানুষ করনি বাঙালী করে রেখেছ”। নিন্দুকের আরো বলেন, জাতীর জনক এই বাঙালীদের এতই বিশ্বাস করেছিলেন যে, তিনি সর্বপ্রথম বাঙালী নোবেল বিজয়ী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও দোষারুপ করে বলেছিলেন, “দেখুন বাঙালী মানুষ হয়েছে”। এই বাঙালী যখন ইতালী কিংবা অন্যান্য দেশে যায় তারা সেখানে গিয়ে সেখানকার আইন মেনে চলে মানুষের মত ব্যাবহার করে সভ্য দেশের সভ্য নাগরিক বনে হয়ে যায় এশিয়ান। কিন্তু যখনই তারা বাংলাদেশে আসে সাথে সাথে তারা হয়ে যায় বাঙালী এবং বাংলার মাটিতে পাদেয়ার সাথে সাথে তারা সমস্ত সত্যতা ভুলে গিয়ে পুরানো বাঙালীর রূপ ধারন করে এটাই নিন্দুকদের অভিযোগ। নিন্দুকেরা বলেন, এখন ইতালী, জাপান, কোরিয়া সহ অন্যান্য দেশে বসবাসরত বাঙালী যারা করোনার পরিস্থিতির আগে বা প্রথমদিকে দেশে সময়কাটাতে এসেছেন তাদেরকে এখন ফিরে যেতে হবে। সেজন্যে তারা বাঙালী কায়দায় পয়সা দিয়ে ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে রওয়ানা হয়েছেন ইতালী, জাপান, কোরিয়া সহ অন্যান্য দেশে। নিন্দুকরা সমালোচনা করে বলেন, এখন দেশের বাঙালী অফিসাররা যারা তাদের (প্রবাসী বাঙালী) কাছ থেকে পয়সা খেয়ে মিথ্যা সার্টিফিকেট ধরিয়ে দিয়েছেন এখন তারা (পয়সা খাওয়া বাঙালী) বলছেন, বিমানে উঠার আগে ভাল ছিলেন এবং বিমানে উঠার পর এনারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। হা…হা…হা… কি মজার জবাব। এখন আমাদের দেশের কর্ণধার প্রধানমন্ত্রী বিদেশীদের কাছে অপমান না হবার জন্যে এটাকেই সত্য হিসাবে নিয়ে কূটনৈতিক চাল চালাতে শুরু করবেন। নিন্দুকেরা বলছেন, তারা (নিন্দুকেরা) বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই জানেন এখানে যা ঘটেছে এসব তারই লোকজন সে সরকারি কর্মকর্তাই হউক বা সাধারন নাগরিকই হউক এরাই করেছে। নিন্দুকের বলছেন, তারা এটাও জানেন যে, নেত্রী হাসিনা বিভিন্ন দেশের দেয়া এই অপবাদ থেকে রেহাই পাবার জন্যে নিজের কূটনৈতিক লোকজনদের কাজে লাগাবে সাথে সাথে বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিকদের সাহায্য নিয়ে এযাত্রা আবার রক্ষা পাবেন এটাই বাস্তবে রূপনিবে এটাও নিন্দুকেরা বিশ্বাস করেন। যাহাই হউকনা কেন নিন্দুকেরা মনেকরেন, নেত্রী হাসিনার এখন উচিৎ হবে এসব কাজে যারা জড়িত মানে যারা পয়সা দিয়ে এবং যারা পয়সা নিয়ে মিথ্যা সনদপত্র দিয়েছে এবং নিয়েছে সাবাইকেই দৃষ্টান্ত মূলক সাজা অন্যভাবে যেটা নাকি পকেট বানিজ্যের জন্যে পুলিশরা করে থাকে মানে নিজের পকেট থেকে মাদক দ্রব্য বের করে অপরের পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে পাকড়াও করে নিজের (পুলিশ) পকেট মোটা করেন। সেইভাবেই এনাদের সবাইকে সাজা দেয়া দেশের এবং দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্যে অতি প্রয়োজন। আল্লাহ্ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এসব (দুর্নীতিবাজ) লোকদেরকে নির্মূল করার ক্ষমতা প্রদান করুন। সাথে সাথে আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা তিনি যেন নেত্রী হাসিনাকে দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ দান করেন। আমিন
Total Reply(0)
Mohammed Zaman ১০ জুলাই, ২০২০, ৪:৪৩ পিএম says : 0
এই দুর্নীতির সংশোধন করার জন্য, কেবলমাত্র একটি উপায় রয়েছে, ইসলামিক আইন (শরিয়াহ আইন) অনুসরণ করুন। এই আইনে, এর মতো দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তি তাদের ডান হাতটি কেটে ফেলবে। অথবা পাথর ছুঁড়ে মেরে মৃত্যুদণ্ড। তাহলে আপনি কেবল দুর্নীতিই দেখবেন না তবে ইবলিস শিয়াতান বাংলাদেশ ছেড়ে যাবে। মনে রাখবেন একমাত্র স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টিকে খুব ভাল জানেন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন