শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের কড়া প্রতিবাদ বিজিবির

আনন্দবাজারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০২০, ৪:৪৪ পিএম | আপডেট : ৪:৪৬ পিএম, ১০ জুলাই, ২০২০

গত ৭ জুলাই ভারতীয় আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘অরক্ষিত জমিতে পা পড়ছে বাংলাদেশির’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পত্রিকায় ঘটনাস্থল রানীনগর সীমান্তের কথা বলা হয়েছে কিন্তু প্রকৃৃতপক্ষে সেখানে কোনো ঘটনা ঘটেনি। উল্লেখিত এলাকাটি রাজশাহী বিজিবি এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা চারঘাট বিওপি হতে শুরু করে তালাইমারি বিওপি পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এখানে পদ্মা নদী বরাবর শূন্য লাইন অতিক্রম করেছে। এর উভয় পার্শ্ব বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। গতকাল বিজিরি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সংবাদে বলা হয় সীমান্তের রানীনগর ১ ও ২ ব্লক এবং জলঙ্গি জুড়ে প্রায় ২২ হাজার একর অরক্ষিত জমিতে বাংলাদেশিরা অবাধে চাষাবাদ করছে। এই প্রসঙ্গে দেখা যায় বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভারতের অভ্যন্তরে গিয়ে চাষাবাদ করা তো দূরের কথা, বর্তমানে আন্তর্জাতিক সীমারেখা বরাবর চাষাবাদ করাই অসম্ভব একটি ব্যাপার। েেসখানে প্রতিনিয়ত শূন্য লাইন বরাবর বিজিবি সদস্যরা রাত দিন টহল করে সীমান্ত রক্ষা করছে।
প্রকাশিত সংবাদে আরও বলা হয় যে, দিন কয়েক আগে দুজন বাংলাদেশি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় চলে আসলে বিএসএফ তাদের আটক করে এবং ফলশ্রুতিতে তার মুক্তিপণ স্বরূপ রানীনগর সীমান্তের গ্রাম থেকে দুইজন গ্রামবাসীকে তুলে নিয়েছে বাংলাদেশি দুস্কৃতিকারীরা। কিন্তু বাস্তবে আসল ঘটনা সম্পূর্ণ উল্টো এবং প্রকাশিত সংবাদটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মূলত গত ২ জুলাই জলঙ্গি সীমান্তে দুটি ঘটনা ঘটে যা পত্রিকার মূল বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। গত ২ জুলাই আনুমানিক ১১৩০ ঘটিকায় নয়ন শেখ এবং শহিদুল শেখ নামক দুইজন জলঙ্গী নিবাসী ভারতীয় চোরাকারবারি অবৈধভাবে জলঙ্গী সীমান্ত দিয়ে আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইউসুফপুর গ্রামে মাদক ব্যবসা এবং অর্থ লেনদেনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় লোকজনের উপর চড়াও হয়। স্থানীয়রা ব্যাপারটিকে সহজভাবে না নিয়ে তাদেরকে ঘেরাও করে ফেলে। পরবর্তীতে ইউসুফপুর বিজিবি ক্যাম্প খবর প্রাপ্তি সাপেক্ষে ভারতীয় দুজনের নিরাপত্তার কথা ভেবে নিজেদের হেফাজতে তাদেরকে নিয় নেয়। অপরপক্ষে একই দিন ১২:০০ ঘটিকায় বিএসএফ টহল দল অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করে ৩০০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে (পিলার ৭২/৪-এস বরাবর) প্রবেশ করে ইউসুফপুর এলাকা থেকে তিনজন নিরীহ ও নিরাপরাধ কৃষককে ধরে নিয়ে যায় যারা চর এলাকায় শুধুমাত্র চাষাবাদ করে বাড়ি ফিরছিল।
বিজিরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, উভয় ঘটনার রেশ ধরে একই দিনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ৩ জুলাই শান্তিপূর্ণভাবে উভয় দেশের নাগরিক হস্তান্তর-গ্রহণের মাধ্যমে ব্যাপারটি সুষ্ঠুভাবে মীমাংসা হয়েছে। মূলতঃ স্থানীয় মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় বিএসএফের সাথে জনগণের বৈরী সম্পর্ক, স্থানীয় গরু চোরাকারবারী কর্তৃক এই মৌসুমে কোন কাজ করতে না পারা, মাছ ধরার সময় বিএসএফ কর্তৃক স্থানীয় জেলেদের থেকে চাঁদা আদায় এবং সর্বোপরি স্থানীয় বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি স্থানীয় ভারতীয় জনগণ অথবা স্বার্থান্বেষীমহল কর্তৃক প্রদান করা হতে পারে বলে অনুমেয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Dr. Shafiul Haque ১০ জুলাই, ২০২০, ৬:৩৫ পিএম says : 0
এই আনন্দ বাজার পত্রিকার মিথ্যাচার এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। তারা চীন, পাকিস্তান,নেপাল ও ভুটানের নিকট সামরিক ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সমস্ত ইস্যুতে বিশ্বের নিকট অতি দূর্বল রাষ্ট্র প্রমাণিত হওয়ায় শেষমেশ তার ঝাল বাংলাদেশের মতো একটি শান্তিপূর্ণ দেশের উপর ঝাড়ছে। কিন্তু তারা এও জানে যে, বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন কখনোই দুর্বল নয়। বিশেষ করে চীনর সংগে ৫,১৬১ টি পন্য ও দ্রব্য ডিউটি ফ্রি এক্সেজ এর চুক্তি তাদের মাথায় ঘোল ঢালার শামিল।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ১০ জুলাই, ২০২০, ৯:৩২ পিএম says : 0
বিএসএফ সবসময়ই বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে গ্রামের নীরিহ লোকজনদেরকে ধরে নিয়ে যায় এবং অত্যাচার করে মেরে ফেলে বা পতাকা বৈঠক করে ফিরিয়ে দেয় এটা আজ নতুন কোন ঘটনা নয়। নিন্দুকেরা বলছেন এটা দঃখজনক হলেও সত্য যে, হাসিনার সরকার এবিষয়ে মুখে কুলুপ এটে বেস আছে। নিন্দুকেরা এর কারন হিসাবে বলছেন, বঙ্গবন্ধুর সরকারের পতন হয়েছিল ভারতের সাথে লেনদেনের বিষয় নিয়ে। নিন্দুকেরা আরো বলছেন, বঙ্গবন্ধুর পতন থেকেই শিক্ষা নিয়ে জিয়া মিয়া পাকিস্তানের তাবেদারীর সাথে সাথে ভারতকে আর্থিক ভাবে লাভবান করে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। একই পথ অনুসরণ করে এরশাদ চাচা পরবর্তীতে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। এখন আওয়ামী লীগ ডিজিটাল পদ্ধতীতে ভারতকে আর্থিক ভাবে লাভবান করিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে এটাই নিন্দুকদের অভিমত। নিন্দুকেরা ব্যাখা করে বলেছেন, এদের মধ্যে পরিবর্তন হচ্ছে পূর্বের সরকারের মধ্যে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে কেবল নিজেদেরই (নিজের ও দলের লোকজন) উন্নতী করেছে। জাপার এরশাদ চাচা নিজের উন্নতীর সাথে সাথে দেশেরও উন্নয়ন করেছিলেন। এখন আওয়ামী লীগ প্রধান এরশাদ চাচার থেকে কিছুটা উন্নত ভাবে মানে ডিজিটাল পদ্ধতীতে নিজের উন্নতী না করে দলের লোকজনদের উন্নতীর সাথে সাথে দেশেরও উন্নতী করে যাচ্ছেন এটাই নিন্দুকদের বিশ্লেষণ। আর এসব করার জন্যে সবাই ভারতকে ব্যাবসায়িক ভাবে লাভবান করে আসছে। এখন এইসব ঘটনা নিয়ে আমরা প্রচুর লেখা লেখি করতে পারবো সমালোচনা করতে পারবো কিন্তু সেখান থেকে কোন ফলা ফল আসবেনা। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে সত্য জানার, সত্যকে বুঝার সাথে সাথে সত্য পথে থেকে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন