শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পাটে ব্যস্ত নওগাঁর কৃষক

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে চাষ

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

কৃষি প্রধান দেশে এক সময়ের প্রধান অর্থকরী ফসল পাট চাষে কৃষক দুরবস্থার সম্মুখীন হলেও চলতি মৌসুমে নওগাঁর আত্রাইয়ে সোনালী আঁশের দিন ফিরে আসতে শুরু করেছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় পাট কাটা, জাগ দেয়া ও পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সময় মত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট কেটে তা বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দিচ্ছেন কৃষকরা। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। পাটের আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকিয়ে হাট-বাজারে বিক্রি করছেন।
আত্রাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। পাট চাষের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম থাকায় অনেক স্থানে চাষ কিছুটা দেরিতে শুরু হলেও ফলন ভালো হয়েছে। ভালো ফলন হওয়া ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা খুশি। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ভালো মানের পাটের মূল্য ১৮শ’ টাকা মণ ও নিম্নমানের পাটের মূল্য ১৫শ’ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। ফলে ন্যায্যমূল্য পেয়ে চাষিদের মাঝে এখন পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে। ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, এবার জমিতে পাট চাষ করেছিলাম ফলন ভালো হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় লোকসানে পড়তে হচ্ছে না।
উপজেলার খঞ্জর গ্রামের কৃষক আহাদ আলী ও আবুল কালাম আজাদ বলেন, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে পরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ফলন ভালো হয়েছে। এবার জমিতে পাট চাষ করেছিলাম বাজারে পাটের মূল্য বেশি হওয়ার কারণে আগামী বছর আরো বেশি জমিতে পাট চাষ করবো।
উপজেলার সাহেবগঞ্জ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কেরামত আলী জানান, এবার গত বছরের তুলনায় পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি, পাটের ফলন ভলো হয়েছে। দামও অনেক বেশি। এলাকার কৃষকরা যাতে যথাযথভাবে উৎপাদন করতে পারে এবং স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল পাট উৎপাদন করতে পারে এ জন্য প্রতিনিয়ত কৃষকদের নিকট গিয়ে পরামর্শ প্রদান করছি। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে পাটকে মুক্ত রাখতেও পরিমিত পরিমাণ ওষুধ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে আসছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। পাটের ফলন ভালো হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দামও বেশি। নায্যমূল্য পেলে চাষিদের মাঝে পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন