শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্নতার আশংকা বাংলাদেশের সামনে?

করোনাভাইরাস পরীক্ষায় অনিয়ম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০২০, ১০:৪৭ পিএম | আপডেট : ৭:২৩ পিএম, ১১ জুলাই, ২০২০

ঢাকা থেকে নেগেটিভ সনদ নিয়ে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানোর পর পরীক্ষার পর করোনাভাইরাস পজিটিভ যাত্রী পাওয়ায় ঢাকার সাথে ফ্লাইট চলাচল বন্ধের তালিকায় যোগ হয়েছে ইতালি।

এর আগে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীনও ঢাকার সাথে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলো একই কারণে।

এর মধ্যে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা র‍্যাব তদন্ত করে ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার হাজার হাজার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার প্রমাণ পেয়েছে।

এমনকি নমুনা না নিয়ে কিংবা নমুনা নিয়ে ফেলে রেখে টাকার বিনিময়ে মনগড়া রিপোর্ট দেয়ার প্রমাণ পেয়েছে র‍্যাব, যে খবর মূহুর্তেই ছড়িয়েছে সারাবিশ্বে।

বিমান ও পর্যটন সংক্রান্ত ম্যাগাজিন দ্য বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলছেন, বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ আছে এমন প্রতিটি দেশ ও এয়ারলাইন্স তীক্ষ্ণ নজর রাখছে করোনা টেস্ট নিয়ে ঢাকায় কি হচ্ছে তার দিকে।

মি. আলম বলছেন, দ্রুত এমন কোনো ব্যবস্থা চালু করতে হবে যাতে বিদেশগামীরা করোনা পরীক্ষা করে সঠিক রিপোর্ট নিয়ে বিমানবন্দরে যেতে পারেন।

"না হলে বড় চাপে পড়তে পারে বাংলাদেশ, কারণ বিমানবন্দরে চার মাসেও কার্যকর স্ক্রীনিং ব্যবস্থা তৈরি হয়নি। আবার টেস্ট নিয়েও দুর্নীতি বা অনিয়ম চলতে থাকলে এভিয়েশনের ক্ষেত্রে বড় ধরণের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে যাওয়ার আশংকাও তৈরি হতে পারে," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

আটই মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর পরই বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশীদের কোয়ারেন্টিন করা নিয়ে শোরগোল দেখা দিয়েছিলো যা খবর হয়েছিলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।

এমনকি ইতালি থেকে আসা একটি দলকে কোয়ারেন্টিনের জন্য হজ ক্যাম্পে নিয়েও রাখা যায়নি তাদের অসহযোগিতার কারণে।

পরে ইতালি প্রবাসীদের অনেকের এবং তারা যাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের অনেকে করোনায় আক্রান্ত হবার খবর এসেছে।

এরপর ঢাকায় দুটি প্রতিষ্ঠানের ভুয়া করোনা রিপোর্ট দেবার খবর আবার আলোচনার ঝড় তুলেছে।

এর মধ্যে গত ছয় মাসেও করোনা স্ক্রিনিংয়ের কার্যকর কোনো পন্থা দাঁড় করানো যায়নি ঢাকা বিমানবন্দরে।

পাশাপাশি ঢাকা থেকে নেগেটিভ সনদ দেখিয়ে বিমান যাত্রার পর বিদেশে গিয়ে যাত্রীর করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচিত হয়েছে।

ইতালিতে এমন যাত্রী পাওয়ার পর সেখানকার কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যম এমন বাংলাদেশী যাত্রীদের নাম দিয়েছে 'ভাইরাস বোমা'।

দ্রুত সমস্যা অর্থাৎ নমুনা পরীক্ষা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিতে না পারলে আরও অনেক দেশ বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক কূটনীতিক নাসিম ফেরদৌস বলছেন, বাংলাদেশ হয়তো বিচ্ছিন্ন হবে না। তবে করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট ইস্যুকে শক্ত হাতে ডিল করতে হবে বাংলাদেশকে।

"এটা শুধু বাইরের দেশের ব্যাপার না। নিজেদের জন্যও বড় ব্যাপার। এখন যারা যোগাযোগ বন্ধ করছে সেটা সাময়িক। করোনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক বড় দেশই এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। তবে এটা ঠিক যে যেসব অভিবাসীরা ফিরে এসেছিলো তাদের ফিরে যাওয়ার ওপর প্রভাব পড়বে।"

অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক রুকসানা কিবরিয়া বলছেন, পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন না হলেও করোনাভাইরাসকে ঘিরে যেসব অনিয়ম হচ্ছে তাতে চাপের মুখে পড়বে বাংলাদেশ।

"তাই দ্রুত রাজনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। বিমানবন্দরে আগে থেকেই সমস্যা। এখন করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে সুযোগ নেবার লোক তৈরি হয়েছে। সরকারকে এগুলো ঠেকাতে হবে শক্ত হাতে। আন্তর্জাতিক নিয়ম কানুন সঠিক ভাবে পালন না করলে দেশ বিপদে পড়বে।"

তিনি বলেন, টেস্টিং নিয়ে যে গলদ তা দূর করার বিকল্প নেই। কারণ, আর কোনো দেশই এমন ঝুঁকি নেবেনা। তাই দেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা ও সম্ভাব্য সংকট থেকে বাঁচতে রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে অনিয়ম দুর করতেই হবে।

এভিয়েশন বিষয়ক বিশ্লেষক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলছেন, অনেক দেশই করোনার খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এখন সংক্রমণ কমিয়ে আনার দিকে। তারা কোনোভাবেই চাইবেনা অন্য দেশ থেকে করোনা রোগী গিয়ে তাদের বিপাকে ফেলুক।

"বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলো এসব নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। তারা আমেরিকা, ব্রিটেনকেও ছেড়ে কথা বলছে না। তাই বাংলাদেশের আরও সতর্ক হবার বিকল্প নেই। পাশাপাশি সারাবিশ্বেই এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি সংকটে। তারাও চাইবেনা ঢাকায় এসে তারা বিপদে পড়ুক। তাই করোনা টেস্ট হতে হবে প্রশ্ন-মুক্ত ও বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য। নাহলে বড় ধরণের এমবার্গো (নিষেধাজ্ঞার)'র সামনেও পড়তে হতে পারে।"

তিনি বলেন, সরকার ২/৩ টি জায়গা নির্ধারণ করতে পারে বিদেশগামীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেই রিপোর্ট যাত্রীর পাশাপাশি ইমিগ্রেশন ও বিমান সংস্থার হাতে চলে যাওয়া উচিত।

এটি করলে চলমান ভাবমূর্তি সংকট থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

বিমান যোগাযোগ: ২১শে মার্চ থেকে যা ঘটলো

গত ২১শে মার্চ থেকে চীন ছাড়া বাকী সব গন্তব্যে ঢাকা থেকে ফ্লাইট বন্ধ করা হয় করোনা পরিস্থিতির জের ধরে।

পরে আবার ভাড়া করা বা বিশেষ বিমান চালু হলেও নতুন করে সেটিও বন্ধ করেছে জাপান, কোরিয়া ও ইতালি।

দশই জুন জাপানে বিমানের একটি ফ্লাইটে যাওয়া যাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যাওয়ার পর জাপান বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

এগারই জুন চীনের চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সে এবং একই দিনে দক্ষিণ কোরিয়ায় ঢাকা থেকে যাওয়া একটি বিশেষ ফ্লাইটের যাত্রীর শরীরের করোনা ধরা পড়ে।

আরব আমিরাত বিমান বাংলাদেশকে ফ্লাইট চালুর অনুমতি দিয়ে পরে আবার তা স্থগিত করেছে।

তবে গত ১৫ই জুন থেকে যুক্তরাজ্য ও কাতারের সঙ্গে বিমান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।

যদিও ইতালিতে ৬ই জুলাই ২১ জন যাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়ার পর তুমুল শোরগোল শুরু হয়।

ইতোমধ্যেই এক সপ্তাহের জন্য ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে ইতালি। এসময় কোনো চার্টার্ড বিমানও বাংলাদেশ থেকে যেতে পারবেনা।

এরপর তুরস্ক কর্তৃপক্ষ ১৫ই জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের সাথে সব ফ্লাইট যোগাযোগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।

এর মধ্যে টেস্ট নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের খবরে আরও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে এর মাশুল হিসেবে বিশ্ব থেকে ক্রমশ বাংলাদেশ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে কিনা। সূত্র : বিবিসি বাংলা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (21)
Noble Karim ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৪৭ পিএম says : 0
আমাদের দেশে অনেক কঠোর আইন ও শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন বা প্রয়োগের হার নগন্য। " করোনা ভাইরাস " পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নিয়ে অনেক কথাবার্তা শুনেছি ও শুনছি। তবে বাস্তবায়ন অতি নগন্য। এ বিষয়ে এর পূর্বেও রিপোর্ট করেছিল। বিদেশ থেকে দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা যখন ফিরে এলো তখন তাদের করোনা পরীক্ষা ও কোয়ারেনটাইনে রাখার সুব্যবস্থা করা হল না বা পুরো বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ যে উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে তা গ্রহনযোগ্য নয় । তখন থেকে অনিয়মের শুরু তারপর অনেক পানি গড়িয়েছে। কিন্তু অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি । এরই ধারাবাহিকতায় রিজেন্ট কেলেংকারী ঘটে গেছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশ আকাশ পথে অবরুদ্ধ হতে যাচ্ছে। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ত্বরিত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে সময়ক্ষেপন করলে এর মাসুল সুদে -- আসলে দিতে হবে।
Total Reply(0)
Syed Fãhîm ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৪৮ পিএম says : 0
এতো ব্যার্থতা আর নির্লজ্জতা নিয়ে একটা দেশ আর তার প্রশাসন কীভাবে বহাল তবিয়তে থাকে.. দোষ দিবে জনগণকে,, এই জনগণকে শিক্ষা স্বাস্থ্য এই দুটো জিনিষের মানোন্নয়ন এবং এর অধিকার নিশ্চিতের গ্যারান্টি দাও,,, জনগণের অমানবিক স্বভাব বদলানোর জন্য এটাই যথেষ্ট..
Total Reply(0)
Mohsinul Islam Mukta ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৪৮ পিএম says : 0
এটাই হওয়া উচিৎ। কারন পৃথিবীর কোন দেশের কাছেই আমরা এটা আশা করতে পারিনা। পৃথিবীর অন্য দেশ করলে যেটা মেনে নিতে পারতাম না, সেটা নিজের দেশ করলে মেনে নেওয়ার জন্য মন সায় দেয়না। পৃথিবীর যে দেশই এ ধরনের ঘৃণিত, মানব জাতির জন্য ক্ষতিকর কর্মকান্ড করুক না কেন সারা পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য তাদের বযকট করা ছাড়া উপায় থাকেনা। দূর্ভাগ্যবশত,,,,, আমি সেই দেশের একজন আমজনতা। যারা এই দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার জন্য কোনভাবেই দায়ী নয়,,,,,,। দায়ী গুটিকয়েক ক্ষমতাসীন, ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুর আশপাশে ঘুরপাক করা সুবিধাবাদীরা। এরাই সোনার বাংলা টাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।।
Total Reply(0)
Alamgir Islam ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৪৯ পিএম says : 0
দেশের আজ শাসন ব্যবস্থা দূর্বল আর দূর্নীতি ব্যাপকহারে হওয়ার কারণে আজ দেশ হুমকি মুখে পরতে যাচ্ছে
Total Reply(0)
Eyamin Mollick Jishan ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৪৯ পিএম says : 0
সরকারের এ বিষয়ে কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।দুর্নীতিবাজদের ক্ষেত্রে, দল মতের উর্ধ্বে থেকে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।কিছু দিন আগেও যেখানে আমরা বর্হিবিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত ছিলাম, বর্তমানে কিছু আত্ন স্বার্থ উদ্ধারকারী,দুর্নীতিবাজদের অপকর্মের কারণে আমড়া কাঠের ঢেকিতে পরিণত হতে চলেছি।
Total Reply(0)
Md Rezaul Karim Rana ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৪৯ পিএম says : 0
সোনার বাংলা গড়ার কারিগরি নেতাজীদের দেশপ্রেমিকতার ফলফ্রসুত এটাই জাতির প্রাপ্য ছিলো। এমন একটা পর্যায় বা জায়গায় পৌছতেছি অামরা যেখানে বন্যপ্রাণীদের স্বাভাবের ন্যয় এই জাতিদের একজনের দৈহিক মাংশ অন্যজন ছিড়ে ছিড়ে খাবে সেই সময় অার বেশি দুরে নয়।
Total Reply(0)
Imran Khan ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫১ পিএম says : 0
বোঝা গেল কি কারণে বাংলাদেশ করোনামুক্ত হলো না। এদের জন্যই বাংলাদেশে করোনা খুব দ্রুত ছড়িয়েছে, এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে। না জানি এরকম লোক আরো কত সরকারি দলের লোক আছে যারা নির্বিঘ্নেই এখনও করে যাচ্ছে। সামনে আরো ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। শুনলাম ১৫ লাখ আগাম কবর খুড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
Total Reply(0)
Masud Rahman ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫১ পিএম says : 0
সরকারের আশেপাশে সবাই হরিলুটে ব্যস্ত.......সরকারি রিপোর্ট ও ৬০% ভুয়া .......... অনেকে সরকার ঘোষিত অর্থ লোপাটের জন্য ভুয়া পজিটিভ সার্টিফিকেট নিয়েছে, এটাই চোরা সরকারের কর্মকান্ড
Total Reply(0)
Hasan Bhuiyan ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫২ পিএম says : 0
এতে করে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে, আমলাদের হবে না, হবেওনা। কারণ তারা এখন আর বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করেনা। মনে করার প্রশ্নই আসেনা। তারা কানাডা, আমেরিকার নাগরিক হয়ে গেছে। বাংলাদেশ থেকে লুটপাট করে তাঁরা ঐ সব দেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে বললেই ডিজিটাল আইনে মামলা। আবার আমলাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ যেন না আনা যায় তার জন্য আইন ও পাশ করে নিয়েছে।
Total Reply(0)
Adv Kalam Khan ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫২ পিএম says : 0
অনিয়মই এদেশের নিয়ম।সত্য বললে জেলে যেতে হবে! ভোট হলে ক্ষমতা হারাতে হবে! সত্য বলে জেলে যেতে চাইনা,ভোটাধিকার দিয়ে ক্ষমতা হারাতে চাই না,প্রতিবাদী হয়ে নাজেহাল হতে চাইনা।চাই শুধু তোষামোদি! তবেই আমি ভাল থাকি।অনিয়মকেই নিয়ম করি।
Total Reply(0)
Abul Khayar ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৩ পিএম says : 0
১০০% সহটিক কথা, দুংখজনক হলেও সত্য যে সব লোকেরা এই সব অপরাধ করতেছে সবই সরকারের ছাতার নিচে বসে বসে করছে, তবে আমরা সাধারণ জনগণ ও প্রবাসে থাকি , যে থাকী এই দেশের মানুষের কাছে লজ্জা সরম পাই, এবং আমাদেরকে অরা বলে তোমাদের দেশে আইনকানুন বলতে কিছু নাই,
Total Reply(0)
Rafiquzzaman Babu ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৩ পিএম says : 0
স্বাস্থ্য মন্ত্রী একজন অযোগ্য লোক।তিনি ব্যর্থ, অনেক আগেই তার পদত্যাগ করা দরকার ছিল। ক্ষমতা পাইলে আর ক্ষমতা ছাড়তে চায় না।এটা আমাদের কালচারে পরিনত হয়েছে। যতদিন এই সব অযোগ্য, দুর্নীতবাজ এম পি, মন্ত্রী যতদিন ক্ষমতায় থাকবে সাধারণ মানুষের কোন উপকার হবে না।
Total Reply(0)
MD Khayer Sarkar ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৩ পিএম says : 0
একটা দেশের মানুষ কতটা নিরলজ্জ বেহায়াপনা হলে এই ধরনের কাজ গুলা করতে পারে,,, এইটা অনুভব করতে হলে দেশ ছেরে আরব দেশ গুলাতে আসুন দেখুন আমরা কতটা আতংকে আছি, না যানি আমাদের কি হয়,,,
Total Reply(0)
Prodip Rahut ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৩ পিএম says : 0
এজন্য স্বাস্হ অধিদফতর সম্পুর্ন দায়ী। রিজেন্ট তো হাসপাতাল-ই না ওটা ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাও ২০১৪ সালের পর অনুমোদন ছিল না, কিকরে স্বাস্হ অধিদফতর কোভিড হাসপাতালের অনুমোদন দিল? দেওয়ার পরেও মনিটরিং করল না। তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে সে সুযোগের সতব্যবহার করেছে। বিমান বন্দরেও করোনার সনদগুলি দেখা উচিৎ ছিল।
Total Reply(0)
Ayub Ali ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৪ পিএম says : 0
সব যোগ্য চেয়ারে অযোগ্য লোক থাকার কারনে আমাদের দেশের এই অবস্থা। এইসব মেনে নিয়েই আমাদের এই দেশে বেচে থাকার সংগ্রাম করতে হবে আজিবন।
Total Reply(0)
Shams Uddin Samol ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৪ পিএম says : 0
সরকারের উচিত এয়ারপোরটে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র যেখানে বিদেশে আশা যাওয়া উভয় ক্ষেএে কঠোর ভাবে পরীক্ষা করে প্রবেশ এবং বের করানো এতে সরকার পবাসি উভয়ের ভাবমূর্তি রক্ষা হবে
Total Reply(0)
Shimu Talukder ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৫ পিএম says : 0
তার পরেও আমাদের উনারা নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আছেন।কত্তবড় বেহায়া হলে এমন বুলি আওড়াতে পারে?
Total Reply(0)
Mahdi Hassan ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৫ পিএম says : 0
এটি আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। এর কারণে দেশের অমানবিক অপরাধের এফেক্ট বিদেশে ও পরছে। আজকে বিদেশিরা বাংলাদেশেকে ছোট করছে। দেশের এই সব মারাত্মক অপরাধ গুলো রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অপরাধীরা ক্ষমতার কাছে থেকেই করছে। তাই এর জন্য রাজনৈতিক দল গুলো কখনো দায়িত্ব এডাতে পারেনা। আজকে এসব অপরাধীরা দেশকে ও দেশের মানুষকে মারাত্মক ক্ষতি করছে, সাথে সাথে বিদেশে ও দেশকে ছোট করছে। অথচ এদের কঠোর শাস্তি হতে দেখছিনা। এই ভুয়া মেডিক্যাল রিপোর্টের জন্য আমরা প্রবাসীরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবো। যে সব প্রবাসীরা দেশে গেছেন তারা হয়তো আর সহজে বিদেশে ফিরতে পারবেনা। এর দায়িত্ব কে নিবে কেউ কি জানাবেন?
Total Reply(0)
কামাল রাহী ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৬ পিএম says : 0
If government management, or government-recognized authorities, appear to be consistently controversial activities on highly sensitive issues, that which is in the interest of other countries, So its can create a really worrying situation!
Total Reply(0)
Mohammad Ismail ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৬ পিএম says : 0
বাংলাদেশ সরকার শুধুমাত্র করোভাইরাস মোকাবিলার জন্য আলাদা একটি সুপ্রিম কমিটি গঠন করতে পারে। উক্ত সুপ্রিম কমিটি যেটা নির্দেশনা দিবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তা পালন করতে বাধ্য থাকিবে। যেমন আরবের দেশ ওমানে সুপ্রিম কমিটি আছে। এই কমিটি'টা বাংলাদেশের প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের অভিজ্ঞলোক নিয়োগ দিতে হবে। এবং উক্ত সুপ্রিম কমিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে থাকবে এবং সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
Total Reply(0)
Mh Mahir ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৭ পিএম says : 0
দেশের ইজ্জত বলতে আর কিছু থাকলো না।।খুব লজ্জা জনক অবস্থা। ।করোনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আমরা জাতি হিসেবে কতটা ভন্ড,দুর্নীতিবাজ,বেহায়া।।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন