ভারতের ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কর্মকাণ্ড-অপকর্মের শেষ নেই। এহেন কোনো কাজ নেই তারা করেন না। এবার দলের এক নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির যুব মোর্চার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাসের বিরুদ্ধে। পানীয় খাইয়ে নেশাতুর অবস্থায় জলপাইগুড়ি যুব মোর্চার সভানেত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ধর্ষণের শিকার ওই নেত্রী।
জলপাইগুড়ি যুব মোর্চার সভানেত্রীর অভিযোগ, পানীয়ের সঙ্গে নেশার সামগ্রী মিশিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন বিজেপি যুব মোর্চার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস। এভাবে ওই বিজেপি নেতা বহু নারী কর্মীকে ধর্ষণ করেছেন বলেও অভিযোগ ওই নেত্রীর।
নির্যাতিত নেত্রীর দাবি, তিনি বেশ কয়েকবার দলীয় নেতাদের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে কোনো লাভ হয়নি। কেউই তাকে পাত্তা দেননি। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিজেপি নেতার এই ‘ঘৃণ্য’ চরিত্রের কথা সকলের জানা প্রয়োজন বলে মনে করেন ওই নেত্রী।
যুব মোর্চার অতি পরিচিত মুখ মিঠু দাস। গত কয়েকদিন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁর সঙ্গে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেও গিয়েছিলেন তিনি। তবে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসার পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই শুক্রবার (১০ জুলাই) শামুকতলা থানার ভাটিবাড়িতে ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তবে মিঠুকে পাওয়া যায়নি।
স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনা সামনে আসায় অস্বস্তিতে রয়েছে গেরুয়া শিবির। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে তারপর বলব।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন