বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

গরু পাচারকারী দেশ ভারত-মিয়ানমার

বছরে নেয় ৬০ হাজার কোটি টাকা দুই সমিতির যৌথ সংবাদ সম্মেলন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২০, ১২:০৫ এএম

ভারত ও মিয়ানমার বাংলাদেশে গরু পাচার করে বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। গরু পাচার বন্ধ হলেই দেশের কৃষকরা পশু উৎপাদনে আগ্রহী হবেন। গতকাল বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, দেশিয় পশু পালনের উন্নয়নের স্বার্থে ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু, মহিষ ও গোশত আমদানি বন্ধ করতে হবে। ভারত ও মিয়ানমার গরু পাচার করে প্রতি বছর ৬০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। ১০ ও ২০ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ দিলে দেশের কৃষকরাই চরাঞ্চলে পশু পালন করে চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানি করে বছরে ৬০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবে।

তিনি বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের পশু পাচার বন্ধ না হলে দেশিয় পশু পালন উন্নয়ন ও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা যাবে না। সরকার, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, সমাজের প্রতিষ্ঠিতরা জাকাতের অর্থ থেকে গরীব, কৃষক, বিধবা, বেকার যুব সমাজের মাঝে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার বাচ্চা বিতরণ ও পশু পালনে উৎসাহিত করতে পারেন। তাহলে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে আমরা ৩০০ টাকা কেজিতে গোশত খাবো। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী স্বর্ণচরে পশু পালন প্রকল্প শুরু করেছে। চামড়া শিল্প উন্নয়ন ও রফতানির প্রধান প্রতিবন্ধকতা বর্জ্য ও পানি শোধনাগার সিইটিপি পরিপূর্ণ করতে হবে। রফতানি সচল না হলে সরকারের শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে চামড়া শিল্পনগরী উন্নয়নের সফলতা ভোগ করতে পারবো না। মাংস কাটা ও চামড়া সংগ্রহ বিষয়ে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

পশুর হাটে সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বেশি খাজনা নেয়া হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি গরু সীমান্ত থেকে ঢাকা পর্যন্ত নিয়ে আসতে তিনবার হাটে বিক্রি হয়। তিনবারই খাজনা দিতে হয়। এতে গরুর দাম বেড়ে যায়। এছাড়া নির্ধারিত খাজনার বেশি টাকা নেয় ইজারাদার। আছে পথের মাস্তানেরা। এটা বন্ধ করতে হবে। সিটি করপোরেশন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও স্থানীয় সরকার হাটে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারে।

কোরবানির পশুর হাটগুলো মাত্র তিন দিনের জন্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই তিন দিনে জননিরাপত্তার নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গরুর হাটের ইজারাদারের অবৈধ অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। অত্যাচারের শিকার হওয়া, অতিরিক্ত খাজনা দিয়েও বিক্রেতারা বিচারের আসা করেন না। কারণ বিচারের দীর্ঘসূত্রতা। ইজারাদারকে জবাবদিহির মধ্যে আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মোবাইলকোর্টকে ক্ষমতা দেয়া হয়নি। গরুর হাটের ইজারাদারদের জবাবদিহি করতে পারে একমাত্র সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ। টাকার বিনিময় হোক বা অন্য কিছুর বিনিময় হোক, গত ৫০ বছরেও একটি গরুর হাটের ইজারাদারকে জবাবদিহিতায় আনা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, মিয়ানমারের গরু-মহিষের গোশত বাংলাদেশে প্রবেশ বন্ধ করা, চামড়া শিল্প উন্নয়ন ও রফতানির ছাড়পত্রের জন্য সিইটিপি পরিপূর্ণ করা, কোরবানির কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ এবং সরকার নির্ধারিত গরুর হাটের খাজনা আদায় বাস্তবায়ন করা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Abdul Kadar ১২ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 0
মাংসের কেজি 6 _7 টাকা এখন ও আর যদি ভারতে গরু আমদানি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে 1 হাজার টাকা বেচতে পারবেন আপনারা
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম চঞ্চল ১২ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
দেশের খামারিদের বাঁচাতে হলে ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি বন্ধ করতে হবে।
Total Reply(0)
জাবের পিনটু ১২ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৮ এএম says : 0
ভারত বাংলাদেশে গরু পাচার করে বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে আবার বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীদের নির্মমভাবে হত্যা করছে।
Total Reply(0)
জোবায়ের আহমেদ ১২ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৯ এএম says : 0
এবার কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমার ও ভারত থেকে যেন কোনো গরু না আসতে তার ব্যবস্থা করা হোক।
Total Reply(0)
কায়সার মুহম্মদ ফাহাদ ১২ জুলাই, ২০২০, ১:০০ এএম says : 0
বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সেভ হতো।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন