শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় নিয়োগ পেলেন চাঁদপুরের সেঁজুতি সাহা

চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২০, ২:০১ পিএম

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পোলিও ট্রানজিশন ইনডিপেনডেন্ট মনিটরিং বোর্ডে (টিআইএমবি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশের অণুজীব বিজ্ঞানী চাঁদপুরের কৃতি সন্তান ডা. সেঁজুতি সাহা।

চাঁদপুরের কৃতি সন্তান ড. সমীর কে সাহা ও তার মেয়ে ডা. সেঁজুতি সাহা বাংলাদেশ প্রথম করোনার জীন রহস্য আবিষ্কার করেন। বিষয়টি বাংলাদেশ ছাড়িয়ে দেশে-দেশে প্রশংসিত হয়েছে।

বর্তমানে ডা. সেঁজুতি সাহা বাংলাদেশের শিশু বিষয়ক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনে (সিএইচআরএফ) কর্মরত। শুক্রবার চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়ে সেঁজুতি সাহার নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশী হিসেবে সেঁজুতি সাহা পোলিও ট্রানজিশন ইন্ডিপেন্ডেন্ট মনিটরিং বোর্ড (টিআইএমবি সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেলেন। ডা. সেঁজুতি সাহা বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে(ডব্লিউএইচও)পোলিও সংক্রমণ প্রক্রিয়াটির অগ্রগতির বিষয়ে পরামর্শ দেবেন।

এ বিষয়ে ডা. সেঁজুতি ফেসবুকে লিখেছেন, পোলিও ট্রানজিশন ইনডিপেনডেন্ট মনিটরিং বোর্ডে (টিআইএমবি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় সম্মানিত বোধ করছি। আমার দেশ এবং আমাদের মতো অন্যান্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর সমস্যা তুলে ধরার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।

এ বছর পোলিও ট্রানজিশন ইনডিপেনডেন্ট মনিটরিং বোর্ডে তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডা. সেঁজুতি সাহার সঙ্গে নিয়োগ পাওয়া বাকি দু'জন হলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক শেইলা লেথারম্যান ও নাইজেরিয়ার চিকিৎসক ডা. লোলা ডেয়ার।

ডা. সেঁজুতি ঢাকা শিশু হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ও অণুজীববিজ্ঞানী অধ্যাপক সমীর সাহার মেয়ে।


এরআগে, তাদের দু'জনেরই ভূয়সী প্রশংসা করেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। স্বাস্থ্য বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাবা-মেয়ের একসঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বিল গেটস তার ব্লগে (গেটস নোটস ডটকম) লিখেন, বাবা-মেয়ে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যমান উন্নয়নে প্রাণবন্ত টিম হিসেবে কাজ করছেন। উচ্চ শিশুমৃত্যুতে ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে যে ব্যবধান ছিল, তা হ্রাসে তারা কাজ করে চলেছেন। এ জন্য তারা সংক্রামক রোগের ভ্যাকসিনের পাশাপাশি তথ্যউপাত্ত ও রোগ নির্ণয়ের অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োগ করছেন। ভ্যাকসিন নিয়ে তাদের গবেষণার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশও।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন