বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

দেশে ফিরছেন এন্ড্রু কিশোরের মেয়ে সংজ্ঞা

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২০, ৫:১৮ পিএম

কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী বাবা এন্ড্রু কিশোরকে শেষবারের মতো দেখতে দেশে ফিরছেন তাঁর মেয়ে এন্ড্রু সংজ্ঞা। শনিবার (১১জুলাই) দিবাগত রাতে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) ঢাকায় পৌঁছাবেন এন্ড্রু সংজ্ঞা। এরপর রাজশাহীর পথে রওনা হবেন শিল্পীর মেয়ে। পরদিন বুধবার (১৪ জুলাই) প্লেব্যাক সম্রাটের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

প্রয়াত শিল্পীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এন্ড্রু কিশোরের দুই সন্তান সংজ্ঞা (২৬) ও সপ্তক (২৪) অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করেন। বাবার মৃত্যুর পর ইতোমধ্যে দেশে ফিরেছেন ছেলে সপ্তক। তবে মেয়ে সংজ্ঞার ফিরতে সময় লাগছিল। তিনি ফিরছেন মঙ্গলবার।

রাজশাহীর মহিষবাথানে মেয়ে সংজ্ঞা ফেরার পর এন্ড্রু কিশোরের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। পাশাপাশি সঙ্গীতশিল্পীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নগরীর সার্কিট হাউসের পাশে বাংলাদেশ খ্রিস্টান কবরস্থানে মায়ের পাশেই সমাহিত করা হবে তাঁকে।

দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে অবশেষে গত সোমবার (৬ জুলাই) রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এন্ড্রু কিশোর। এদিন রাত ৯ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হিমঘরে শিল্পীর মরদেহ নেওয়া হয়।

১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা গানের যুবরাজ খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। এরপর শৈশব, কৈশর তার প্রিয় জন্মভূমিতেই কেটেছে। মূলত ছোটবেলা থেকে সঙ্গীতের প্রতি আকর্ষণ ছিলো তার। আর সেকারণে আব্দুল আজিজ বাচ্চুর কাছ থেকে সঙ্গীতের পাঠ নেন তিনি।

নিজের ক্যারিয়ার গড়তে একসময় ঢাকাতে চলে আসেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর ১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে 'মেইল ট্রেন' সিনেমার 'অচিনপুরের রাজকুমারী নে যে তাঁর কেউ' শীর্ষক গান দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু করেন তিনি। তবে দর্শক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ১৯৭৯ সালে এ জে মিন্টুর 'প্রতীজ্ঞা' সিনেমার 'এক চোর যায় চলে' গানিটি দিয়ে। তারপর আর পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি তাকে। একের পর এক গেয়ে গেছেন অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় ও কালজয়ী গান।

বলতে গেলে নব্বই দশকের গোড়ার দিকে চলচ্চিত্রের গানে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিলো তার। সেসময় রিয়াজ অভিনীত 'প্রাণের চেয়ে প্রিয়' সিনেমার 'পড়েনা চোখের পলক' গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়াও তার কন্ঠে গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে, 'হায়রে মানুষ রঙের ফানুস', 'জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প', 'আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি', 'ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে', 'আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান', 'আমার বুকের মধ্যে খানে' সহ অসংখ্য গান।

বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর এন্ড্রু কিশোরের শরীরে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। উন্নত চিকিৎসার জন্য গেল বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর যান তিনি। সেখানে দেশটির জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয় শিল্পীর।

পরে শারিরীক অবস্থার উন্নতি হলে গত মাসের ১১ জুন নিজ দেশে ফিরেন এই সঙ্গীতশিল্পী। দেশের ফিরেই পরের দিন রাজশাহীতে যান তিনি। সেখানে বোন ডা. শিখা বিশ্বাস ও বোনজামাই ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আর সেখানেই জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এন্ড্রু কিশোর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
ইদ্রিছ ১৩ জুলাই, ২০২০, ৩:১৪ এএম says : 0
কবরস্থান ব্যবহার শুধু মুসলিমের জন্য প্রযোজ্য
Total Reply(0)
মুহাম্মদ আবদুল বারী ১৪ জুলাই, ২০২০, ১০:৪২ পিএম says : 0
প্রিয় শিল্পীর অকাল মৃত্যুতে শোকাভিভূত। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবংতাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন