অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কবলে পড়ে পানিবন্দি সিলেট নগরীর লাখ লাখ মানুষ। অথচ উন্নয়ন দূর্ভোগে লেগে আছে সারা বছরই। তবে সিলেট সিটি কর্তৃপক্ষ মনে করে কেবল ড্রেনেজ ব্যবস্থা এ পানিবন্দি অবস্থার জন্য একমাত্র কারন নয়। সুরমা নদী ভরাট ও উজানের পানি ঢলে সুরমা পার উপচে নগরীতে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। এছাড়া ড্রেনেজ এর পানি গড়িয়ে সুরমায় পড়ার পথ এখন বন্ধ হয়ে গেছে, কারন সুরমার পানি নগরীর উচ্চতার উপরে।
শুক্রবার দিবাগত রাত থেকেই থেমে থেমে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে সিলেটজুড়ে। সেই সাথে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ফুলেফেঁপে ওঠেছে সুরমা নদী। ফলে সিলেট নগরের বেশ কিছু এলাকায় মানুষের ঘরে ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়েছে পানি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জমেছে হাটু সমান পানি এখন। শনিবার রাত ও আজ রোববার (১২ জুলাই) সকালে বিভিন্ন এলাকায় এ চিত্রের ভয়াবহ শিকার নগরবাসী। টানা এক বেলা বৃষ্টি দিলেই বাসা ্ও বাউন্ডারীর মধ্যে জমে যায় হাটু থেকে কোমর সমান পানি। আজ সিলেট নগরের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তালতলা, জল্লারপার, পুরানলেন, মদীনা মার্কেট, আখালিয়া, শিবগঞ্জ, মিরাবাজার ও ছড়ারপাড়, মাছিমপুর, শেখঘাট, কাজিরবাজার, কালিঘাট, তেলিহাওর, গোয়াইটুলা ও শাহজালাল উপশহরের বিভিন্ন স্থান সহ নগরের বেশ কয়েকটি এলাকায় বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সড়কে উঠেছে পানি। ঘরে পানি ঢুকে যাওয়া রান্না-বান্না সহ দৈনন্দিন কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে নগরবাসীর। নিচে এক/দুই হাত পানি রেখেও খাটের উপরে সন্তানদের নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে অনেক পরিবারের। ড্রন ও ছড়ার দূষিত ময়লা পানি ঘরে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকছে। এ পানিতে দুর্গন্ধও আছে। ফলে এ পানি থেকে নানা রোগ হতে পারে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। এছাড়াও পানির কারণে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারছেন না অনেকে। সিসিক’র প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, নগরের পানিবদ্ধতা নিরসনে যতটুকুট করার করেছে সিসিক । এখন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ যদি সুরমা নদী খনন না করেন তবে প্রতিবছরই এ সমস্যায় জর্জরিত হবে নগরবাসী। এছাড়া তিনি জানান, বিগত ১৫ বছর ধরে সুরমা নদী খনন ও নগরের সাইটে নদীর দু’ধারে ব্লক দিয়ে বাধ তৈরির আশ্বাস দিয়ে আসলেও তা পূর্ণ করেননি পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান সরকার জানান, বলেন, পানিবন্ধতা দূরীকরণে সুরমা নদী খনন অপরিহার্য। তবে এটি বড় প্রকল্প। সেকারনে অগ্রগতি প্রক্রিয়াধীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন