ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সোমবার সকালে ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টে ৪৫ সে.মি. নুন খাওয়া পয়েন্টে ৪৭ সে.মি.ও ধরলা নদী ব্রীজ পয়েন্টে ৮২ সে.মি. বিপদসীমার. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তিস্তা প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমা বরাবর দিয়ে। ফলে জেলার ৯টি উপজেলার ৫৬টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঘর বাড়িতে পানি ওঠায় অনেকেই রাস্তা ও বাঁধের উপর আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। ভেঙে পড়েছে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ।
ধরলা নদীর পানির প্রবল চাপে সদর উপজেলার সারডোবে একটি বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ৫টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জেলার ১৯টি পয়েন্টে নদী ভাঙন চলছে। এরমধ্যে ১১টি পয়েন্টে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানিয়েছেন, পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারের জন্য নৌকা ও স্পিডবোর্ড প্রস্তত রাখা হয়েছে। স্কুল-মাদ্রাসাসহ ৪৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং এগুলোতে আইন শৃংখলা রক্ষার জন্য পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। ৪০০ মে. টন চাল ও ১১ লাখ টাকা ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ দিয়ে রাখা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন