মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

আরও ১৬ বছর ক্ষমতায় পুতিন : আমেরিকাকে মোকাবেলায় রুশ-চীন ঐক্যজোট? ভারত কোথায়?

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২০, ১২:০২ এএম

সাম্প্রতিক কালে এমন দু’ একটি ঘটনা ঘটেছে, বৈশ্বিক পর্যায়ে যার তাৎপর্য সুদূরপ্রসারী। সারা পৃথিবীতে শুধু একটাই সংবাদ। আর সেটি হলো করোনাভাইরাস। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, রাশিয়া, ভারত, ব্রাজিল প্রভৃতি দেশসহ বিশ্বের সব কটি দেশে করোনার তান্ডব। এই তান্ডবে হারিয়ে গেছে দু’ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ, যা করোনা উত্তর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আর সেটি হলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত ১০ জুলাই শুক্রবার দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম, ‘২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন/ রাশিয়ায় জনগণের বিপুল সমর্থন পেলেন পুতিন।’ খবরে বলা হয়েছে, ‘রুশ সংবিধান সংশোধন প্রশ্নে গণভোটে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষেই রায় দিয়েছেন রাশিয়ার সিংহভাগ জনসাধারণ। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতেছে পুতিনের আনা সংবিধান সংশোধন প্রস্তাব। ফলে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকতে আর বাধা থাকলো না পুতিনের।’
এই গণভোটের ফলে পুতিন যা চেয়েছিলেন তাই হলো। সংবিধান বদলে গেলো। প্রেসিডেন্টের গদিতে থাকার সময়সীমা উঠে গেলো। এখন বছরের পর বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার আর বাধা থাকলো না পুতিনের। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, রুশ দেশে তার পূর্বসুরী ভ্লাদিমির লেনিন, যোসেফ স্টালিন, নিকিটা ক্রুশ্চেভ, মার্শাল বুলগানিন, গরবাচভ, বরিস ইয়েলৎসিন প্রমুখকে ছাড়িয়ে যাবেন পুতিন। এর বেশ কিছু দিন আগে নয় বছরের জন্য অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ছিলেন পুতিন। যদি তিনি ২০৩৬ সাল পর্যন্ত জীবিত থাকেন তাহলে তিনি প্রেসিডেন্টের গদিতে থাকবেন পুরো ৩৩ বছর। এটি স্মরণ করিয়ে দেয় তিউনিসিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বেন আলী, মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসনি মোবারক, লিবিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট কর্নেল গাদ্দাফি প্রমুখের কথা, যারা দশকের পর দশক ক্ষমতা আঁকড়ে ছিলেন। এবার যে সংশোধনী আনা হলো তার ফলে রুশ প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ৬ বছর থেকে ১২ বছর করা হলো।

আট ঘাট বেঁধেই প্রেসিডেন্ট পুতিন গণভোটের মাঠে নেমেছিলেন। প্রেসিডেন্ট অফিসের ১২ বছর মেয়াদী বিলটি আগেই রাশিয়ার সংসদে পাশ করা হয়। তার পরবর্তী স্তর, পাশ করা বিলে প্রেসিডেন্টের অনুমোদন। পুতিনতো নিজেই সিটিং প্রেসিডেন্ট। তাই তাঁর অনুমোদন পেতে সময় লাগেনি। ৯০/৯১ সালে সোভিয়েট ইউনিয়নের গর্ভ থেকে ১৫টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র জন্ম গ্রহণ করে। এই ১৫টি রাষ্ট্রের মধ্যে রাশিয়াও একটি। আয়তনে রাশিয়া অবশিষ্ট ১৪টি রাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বড় হওয়ায় এবং লোকসংখ্যা বেশি হওয়ায় রাশিয়াই সোভিয়েট ইউনিয়নের উত্তরাধিকারী হয়।

দুই
সোভিয়েট ইউনিয়ন খন্ড বিখন্ড হওয়ার পর ১৯৯৩ সালে রাশিয়া সংবিধান প্রণয়ন করে। এর মধ্যে সংবিধানের কয়েক বার সংশোধন হয়েছে। কিন্তু এবারের সংশোধন সবচেয়ে বড় সংশোধন। এই সংশোধনের সমালোচকরা বলছেন যে, ক্ষমতা আজীবনের জন্য পাকাপোক্ত করার উদ্দেশ্যে এতই মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন পুতিন যে করোনার ভয়াল থাবাকেও তিনি পরোয়া করেননি। সংক্রমণের দিক থেকে রাশিয়া পৃথিবীতে চতুর্থ। সংখ্যা ৭ লাখের ওপর। এর মধ্যেই তিনি করেন সপ্তাহব্যাপী গণভোটের আয়োজন। বিদেশি মাধ্যম থেকে জানা যায় যে, এই গণভোটের জন্য সাময়িকভাবে স্থাপন করা হয় ভ্রাম্যমাণ পোলিং স্টেশন। সেখানে ছিলো কার্ডবোর্ডের তৈরি ব্যালট বাক্স, যা সহজেই খোলা যায়। কোথাও ভোট হয়েছে ব্যালট পেপারে, কোথাও ভোট হয়েছে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে।
এবার গণভোটে আনা হয়েছিলো ২০৬টি সংশোধনী প্রস্তাব। অপশন ছিলো ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’। ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে ২০৬টি সংশোধনীকেই মেনে নেওয়া হলো, আর ‘না’ ভোট দিলে ২০৬টি প্রস্তাবকেই না বলা হলো। এখানে বাছ বিচারের কোনো সুযোগ ছিলো না। অথচ স্বাভাবিক নিয়মে কোনো ব্যক্তি ২০৬টি সংশোধনীর আংশিক সমর্থন করতে পারেন এবং আংশিক বিরোধী হতে পারেন। এটাই মানবিক মনস্তত্ব। কিন্তু সেই সুযোগ এই গণভোটে ছিলো না। আমরা আগে বলেছি যে, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত যদি পুতিন বেঁচে থাকেন তাহলে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার মেয়াদের দিক দিয়ে তিনি শুধু স্ট্যালিনকেই নন, অনেক জারকেও পেছনে ফেলে যাবেন। এছাড়া ২০৩৬ সাল তার বয়স হবে ৮৩ বছর।

এই গণভোটে পুতিন একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী এনেছিলেন। সেটি হলো, রুশ ফেডারেশন থেকে কোনো অঙ্গরাজ্য বা প্রদেশের বেরিয়ে যাওয়া বা স্বাধীন হওয়া সংক্রান্ত। কমিউনিস্ট সোভিয়েটের জনক বলে যাকে মনে করা হয় সেই ভি আই লেনিন সংবিধানের এই ব্যবস্থা রেখে ছিলেন যে কোনো অঙ্গরাজ্য বা প্রদেশ যদি সোভিয়েট ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে চায়, বিচ্ছিন্ন হতে চায়, অথবা স্বাধীন হতে চায় তাহলে সোভিয়েট ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সরকার অর্থাৎ কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল কমান্ড সেখানে বাধা দেবে না। কিন্তু সেদিনের গণভোটে রুশ ফেডারেশন থেকে কোনো অঞ্চল বা রাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া বা স্বাধীন হওয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই সংশোধনীর প্রথম বলি হবে চেচনিয়ার মুসলমানরা। সকলেই জানেন, চেচনিয়ার মুসলমানরা চেচনিয়াকে একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে চান। পুতিনের আগের সরকারসমূহ চেচনিয়ার মুসলমানদের স্বাধীনতার স্পৃহাকে নিষ্ঠুর দমন নীতি দ্বারা স্তব্ধ করেছে। ভ্লাদিমির পুতিন এখন সাংবিধানিকভাবেই চেচনিয়ার মুসলমানদের আজাদীর ইচ্ছাকে বেআইনী করলেন। এর আগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রিভের হাতে। অন্য কথায়, নির্বাচন উপলক্ষে দিমিত্রিভের সরকার তখন অস্থায়ী সরকার হিসাবেই কাজ করেছিলো।

তিন
পুতিনের উত্থান কাহিনী বৈচিত্রময়। লেলিনগ্রাডে (বর্তমান নাম সেন্ট পিটার্স বার্গ) আইন শাস্ত্রে অধ্যয়নের পর তিনি সোভিয়েট গোয়েন্দা সংস্থা কে.জি.বিতে ফরেন ইনটেলিজেন্স অফিসার হিসাবে ১৬ বছর কাজ করেন। ১৯৯১ সালে তিনি গোয়েন্দা সংস্থা কে.জি.বি থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিনের প্রশাসনের ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসে পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিনের আকস্মিক পদত্যাগের পর তিনি অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন এবং ২০০৮ সাল পর্যন্ত অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ছিলেন। অর্থাৎ ৯ বছর তিনি অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০১২ সালে নির্বাচন করে তিনি ৬ বছরের জন্য অর্থাৎ ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হন। এর আগে তিনি যখন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন (২০০৮ থেকে ২০১২) তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন দিমিত্রি মেদভেদ। ২০১৮ সালে পুতিন দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। ঐ নির্বাচনে জয়লাভ করে তিনি আরও ৬ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। অন্য কথায় ২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি এমনিতেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট থাকবেন। এর মাঝখানে অর্থাৎ ২০২০ সালের জুন জুলাইয়ে তার গণভোটের কোনো প্রয়োজন ছিলো না। কিন্তু তাঁর মনে ছিলো আজীবন প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন। তাই তাঁর মাথায় আসে সংবিধান সংশোধনের চিন্তা। গণভোটের আগে পর্যন্ত সংবিধান মোতাবেক প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ছিলো ৬ বছর । কিন্তু রুশ জাতীয় সংসদে সংবিধান সংশোধন করে এর মেয়াদ ৬ বছর থেকে করা হয় ১২ বছর। তবে সংবিধানের এত বড় সংশোধনে শুধুমাত্র জাতীয় সংসদের অনুমোদনই যথেষ্ট ছিলো না। তাই গণভোট করতে হয়েছে। ২০৩৬ সাল পর্যন্ত পুতিন যদি জীবিত থাকেন তাহলে আগামী আরও ১৬ বছর তিনি ক্ষমতায় থাকবেন। আগেই বলেছি তখন তার বয়স হবে ৮৩ বছর।

চার
পুতিন এভাবে স্ট্যালিনের মতো হলেন কেন? অনেকের মতে, ক্ষমতার লালসা। কিন্তু পশ্চিমা রাজনৈতিক পন্ডিতরা এর সাথে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য যোগ করেছেন। সেটি হলো, রাশিয়াকে আবার পরাশক্তি বানানো এবং সময় এলে আমেরিকাকে উচিত শিক্ষা দেওয়া। এই সব পর্যবেক্ষক বলেছেন যে, রাশিয়ার খন্ড বিখন্ড হওয়ার পেছনে আমেরিকার হাত রয়েছে। তাই আমেরিকাকেও শিক্ষা দিতে চান তিনি। এজন্য রাশিয়ার দরকার আরও অর্থনৈতিক অগ্রগতি। সামরিকভাবে রাশিয়া এখনো চীনের চেয়ে এগিয়ে। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে চীনের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। তাই নিকট ভবিষ্যতে চীনের সাথে রাশিয়া জোট বাঁধতে চায়। আর ১৬ বছর একটি লম্বা সময়। এর মধ্যে চীনের সহযোগিতায় পুতিন রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে চান। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, করোনায় আমেরিকার রাজনীতি এবং অর্থনীতি যতখানি বিধ্বস্ত হয়েছে চীনের সেই তুলনায় কিছুই হয় নাই। রাশিয়াও বিধ্বস্ত। তবে তার ক্ষতি কতখানি হয়েছে সে সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত এখনো জানা যায়নি।
রাশিয়া ও চীনের যৌথ জোটকে মোকাবেলা করতে হলে আমেরিকার প্রয়োজন একজন শক্তিশালী পার্টনার। এজন্য তারা পার্টনার হিসাবে নির্বাচন করেছে ভারতকে। রাশিয়া ও চীনের ঐক্যবদ্ধ জোটের বিরুদ্ধে কি ভারত যাবে?

আগামী দিনের রাজনীতিতে সেটিই হবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Arif Uddin Munna ১৪ জুলাই, ২০২০, ২:২৪ এএম says : 0
ভারত কখনোই আমেরিকার জোটে যাবে না।কারণ ভারত জানে আমেরিকা যেই দেশেই ঢুকে সেই দেশকে খন্ড খন্ড করে ছাড়ে।হয় যুদ্ধ লাগিয়ে অকার্যকর রাষ্ট্র বানাবে নাহয় দেশের ভিতরে তাবেদার প্রজা তৈরি করবে।ভারত এমনিতেও নানা বৈচিত্রের দেশ হওয়াতে নিজের অখন্ডতা রক্ষায় ভয়ের মধ্যে আছে।ভারত আমেরিকার জোটে যোগ দিলে রাশিয়া চীনকে আধুনিক শক্তিশালী কৌশলগত অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে যেটা ভারত কখনই চাইবে না।অর্থনৈতিকভাবে চীন উন্নতি করলেও সামরিক দিক দিয়ে চীন এখনও পিছিয়ে।
Total Reply(0)
Mohammed Salauddin ১৪ জুলাই, ২০২০, ২:২৫ এএম says : 0
ভারত আমেরিকার সাথে যাবে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে এক পক্ষ আমেরিকা-ভারত জোট এবং আরেক দিকে চীন- রাশিয়া, পৃথিবীর বাকি দেশগুলো এই দুইটা জোটের যে কোন একটিতে যোগদান করবে,
Total Reply(0)
Shoeb Matin ১৪ জুলাই, ২০২০, ২:২৬ এএম says : 0
Perfect article
Total Reply(0)
swapon datta ১৪ জুলাই, ২০২০, ৯:১৪ এএম says : 0
ভারত রাশিয়ার বিরুদ্ধে যাবে না।আর এটা সবার জানা যার বন্ধু আমেরিকা তার শত্রুর দরকার নেই।ভারত বিচিত্র দেশ,কিন্তু তার মূলে আছে হিন্দু চেতনা।ভারতের ওই রাজ্য গুলো স্বাধীনতার ডাক দেয় যেগুলো অহিন্দু। যেমন কাশ্মীর,মেঘালয়,নাগাল্যান্ড
Total Reply(0)
মিনার মুর্শেদ ১৪ জুলাই, ২০২০, ৩:১১ পিএম says : 0
তথ্যভিত্তিক এই লেখাটির জন্য মোবায়েদুর রহমান সাহেবকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Total Reply(0)
লোকমান ১৪ জুলাই, ২০২০, ৩:১২ পিএম says : 0
ভারত-আমেরিক বনাম চীন-রুশ। খেলাটা ভালোই হবে
Total Reply(0)
কাওসার আহমেদ ১৪ জুলাই, ২০২০, ৩:১৪ পিএম says : 0
ভারতকে নিয়ে না ভেবে দেশকে নিয়ে ভাবুন। যদিও আমাদেরকে ভারতকে নিয়েও ভাবতে হবে। তবুও আগে দেশ
Total Reply(0)
Md Akash ১৪ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৪ পিএম says : 0
ভারত ওই শক্তি নেই যে তারা চীনের সঙ্গে লাগবে,সেটা ভারত ভালো করেই জানে
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন