যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক প্রবাসী মোশাররফ খান চৌধুরী জানান, আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি একথা শুনে যে, আমার গ্রামের একজন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর কয়েকদিন কেউ লাশটি দাফনের ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমি নিজ খরচে আমাদের ইউনিয়নের করোনায় মৃত সকলের দাফনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।
তিনি ইনকিলাবকে জানান, সম্পূর্ণ ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী লাশ দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় খরচের দায়িত্ব আমি গ্রহণ করেছি এবং এক্ষেত্রে মাস্ক, পিপিই দিয়ে আমাকে সহায়তা করেছেন ঢাকাস্থ বুড়িচং উপজেলা সমিতির সভাপতি এমএ মতিন এমবিএ।
এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনাকালে দূর-প্রবাসে থেকেও একের পর এক মানবিক উদ্যোগ নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিছুদিন আগে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় লোক মারফত ত্রাণ বিতরণ করেছেন তিনি। ব্রাহ্মনপাড়া সদর ইউনিয়নে যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তাদের দাফন-কাফন করার জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করেছেন ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলায় একাধিক স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী দানবীর ধান্যধৌল গ্রামের কৃতি সন্তান মোশারফ খান চৌধুরী।
দাফন কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে আছেন ধান্যধৌল গ্রামের আরেক কৃতি সন্তান মাওলানা আব্দুল জলিল (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ব্রাহ্মনপাড়া থানা শাখার সেক্রেটারী)-সহ আরো ৩ জন। ব্রাহ্মনপাড়া ইউনিয়নে কেউ করোনায় মারা গেলে মাওলানা আব্দুল জলিল ও ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। স্বেচ্ছাসেবিদের মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন-কাফনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) মাস্ক ও হেন্ড গ্লাভসসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী মোশারফ খান চৌধুরী ইতিমধ্যেই সরবরাহ করেছেন বলে জানা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন