স্টাফ রিপোর্টার : বাঘপাচার ও বাঘ হত্যায় কারা জড়িত এবং এ বিষয়ে ইন্টারপোল থেকে সরকারকে দেয়া প্রতিবেদনের অনুসারে কী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরীর বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। আগামী ০১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি, কোস্টগার্ডের ডিজি, খুলনার ডিসি, খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
বাঘ হত্যা ও চোরাচালানে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন শুক্রবার একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী খান এ প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, সুন্দরবনের বাঘ হত্যায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র সক্রিয়। এই চক্র সুন্দরবনে বাঘ হত্যায় অস্ত্র সরবরাহ, হত্যা শেষে বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও চামড়া চোরাচালানের সঙ্গে কাজ করে। সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকার সরকারদলীয় একজন সাংসদ, ইউনিয়ন পরিষদের তিনজন চেয়ারম্যান এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত জানুয়ারি মাসে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল বাংলাদেশ সরকারের কাছে সুন্দরবনের বাঘ হত্যা এবং ক্ষুদ্র অস্ত্রের সরবরাহ নিয়ে দুটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সুন্দরবন থেকে বাঘ হত্যা করে এর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভারতে পাচার করা হয়। এই পাচারের সঙ্গে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরাও জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন দুটি তৈরি করতে ইন্টারপোল ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন এবং স্থানীয় পর্যায়ের তথ্য থেকে তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিবেদন। বাংলাদেশ ও ভারতের ইন্টারপোল সমন্বয়কদের কাছে প্রতিবেদন দুটি জমা দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন