শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আশ্রয় ও খাদ্যের জন্য হাহাকার

বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি : দীর্ঘস্থায়ী হবে বন্যা : নতুন এলাকা প্লাবিত

প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪২ পিএম, ৩১ জুলাই, ২০১৬

ইনকিলাব রিপোর্ট : দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। এবারের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং বিভিন্ন জেলা থেকে পানি সম্পূর্ণ নামার আগেই নতুন করে বন্যায় ভাসবে ওইসব জেলা। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চল। হিমালয় পাহাড় শ্রেণি ও এর পাদদেশীয় ভূমিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে উজান থেকে পানি ধেয়ে আসছে। বন্যার পানি সামাল দিতে ভারত বাঁধের সকল গেট খুলে দিয়েছে। বিভিন্ন নদীর ওপর ভারত এসব বাঁধ দিয়েছে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করতে। উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ইতোমধ্যেই দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। বন্যাপূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের (আগস্ট) মাঝামাঝি আরও এক দফা বন্যা মোকাবেলা করতে হবে।
গতকাল (রোববার) উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় নদীর পানি সামান্য কমলেও সেখানকার বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। খাদ্যের অভাব, কাজের অভাব, বিশুদ্ধ পানি ও জ্বালানি সঙ্কট, চোরের উপদ্রব, ভাঙ্গা বাঁধ, রাস্তা-ঘাট, বাড়ী-ঘরে পানি উঠেছে, শুকনা জায়গা নেই বললেই চলে। ফলে মানুষ কোথায় কোথাও আশ্রয় নেয়ার জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না। এর মধ্যেই চলছে নদী ভাঙ্গন। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হচ্ছে আবাদযোগ্য জমি, ক্ষেতের ফসল, বসতবাড়ী, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি অফিস, ব্রীজ-কালভার্ট। বন্যাকবলিত মানুষের কাছে পর্যাপ্ত সাহায্য এখনও সরকারের তরফ থেকে পৌঁছানো হয়নি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এভাবে হঠাৎ করে বন্যা দেখা দেবেÑ এটা ভাবিনি। একারণেই দুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার বন্যা হবে এবং উজানে যে হারে বৃষ্টিপাত হচ্ছিল তাতে করে সরকারকে অনেক আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল। বন্যা মোকাবেলায় ও বানভাসি মানুষের দুর্দশা লাঘবে গতকাল খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে বন্যা শুরু হয়েছে। বন্যা মাঝে মাঝেই আসে। কাজেই বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে বন্যার পানিতে গতকালও ৭ জনের প্রাণহানির সংবাদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে দুই নারীর প্রাণহানি হয়। নিহত দু’জন হলেন, নয়াপাড়া গ্রামের মনোয়ারা বেগম ও চিনারচর আকন্দপাড়া গ্রামের মরিয়ম বেগম। পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় আরিচা-দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি চলাচল বিঘœ হচ্ছে। জামালপুরের ট্রেন চলাচল এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও শরিয়তপুর জেলাসমূহের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। পানি যে গতিতে নামছে তাতে করে ঢাকার আশেপাশের বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা প্রভৃতি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা বানের পানিতে প্লাবিত হবে। পশ্চিমাঞ্চলের পদ্মা, উত্তরাঞ্চলের মহানন্দা, আত্রাই, পুনর্ভবা, তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র আর পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা, সারি, পিয়াইন ও যাদুকাটাসহ সীমান্ত নদীগুলোতে এখন পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোত। এসব এলাকা দিয়ে তীব্র বেগে পানি প্রবেশ করায় প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পাহাড়ি ঢলের এই পানি পলি জমা নদীগুলোতে উপচে তো পড়ছেই, তার ওপর প্রবল দক্ষিণা বাতাসে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মেঘনা, বলেশ্বর, লোহালিয়া, সাঙ্গু নদীর মুখে। ফলে পানি বঙ্গোপসাগরে নামতে পারছে না। সব মিলিয়ে পানি নামতে দেরি হওয়ায় প্লাবিত হওয়া এলাকাগুলো পরিণত হচ্ছে দুর্গত এলাকায়।
বন্যা কবলিত জেলাগুলোতে ৫০ লাখেরও অধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সরকারি হিসাবে বলা হচ্ছে, চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৪ লাখ এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ছাড়িয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সহস্রাধিক। তবে বেসরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা ৩৫ জন। বন্যার কারণে অনেক ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যাকবলিত ১০৫টি উপজেলার বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি, পুকুরের মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরই মধ্যে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, সুনামগঞ্জে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এসব এলাকার অনেক স্থানেই বাড়ি-ঘর আর স্কুল-কলেজ তো বটেই, মহাসড়ক আর রেললাইনও তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। ভেঙ্গে গেছে অনেক কাঁচাবাড়িঘর। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৯০টি পানি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৪৬টি স্থানে পানি বৃদ্ধি ও ৩৯টি স্থানে পানি হ্রাস পেয়েছে। একটি স্থানে পানি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং ৪টি স্থানের তথ্য পাওয়া যায়নি। আর ১৮টি স্থানে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার, গাইবান্ধায় ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার, চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপদমীসার ৬৩ সেন্টিমিটার, বাহাদুরাবাদে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার, সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার, কাজিপুরে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার, সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার, কাজিপুরে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার, সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার, আরিচাতে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার, সিংড়ায় গুর নদীর পানি বিদপসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, বাঘাবাড়িতে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার, এলাসিনে ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার, তরাঘাটে কালিগঙ্গা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার, গোয়ালন্দে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ১০১ সেন্টিমিটার, ভাগ্যকূলে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার, সুরেশ্বরে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার, জারিয়াজঞ্জাইলে কংস নদীর পানি বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর পানি বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধায় পরিস্থিতির আরও অবনতি
গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা : ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি এখনো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ২২.৩৪ সে.মি. এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২০.৪০ সে.মি. বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
জানা গেছে, আলাই নদীর তালুককানুপুর ও সদর উপজেলার চুনিয়াকান্দির সোনাইল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি রোববার দুপুর ১২টায় ভেঙে গেছে। ফলে সদর উপজেলার বোয়ালি, বাদিয়াখালি, সাঘাটার পদুমশহর, ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া ও উদাখালীর বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে বাঁধভাঙা পানির তোড়ে কালিরবাজারের গোটা ফুলছড়ি উপজেলা চত্বর এখন নিমজ্জিত। এছাড়া ফুলছড়ি উপজেলার সকল সড়ক জলমগ্ন হওয়ায় উপজেলা পরিষদের জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কাতলামারির উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি এখন জলমগ্ন। ফলে নৌকা ছাড়া উপজেলা পরিষদ ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাতায়াতের কোন ব্যবস্থা নেই।
বন্যার পানির তোড়ে ফুলছড়ির কালিরবাজার-গুণভরি সড়কের পূর্ব ছালুয়া এবং কালিরবাজার কাঠুর সড়কের ব্রীজ দুটি ভেঙ্গে গেছে। ফলে ওই এলাকায় মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।
সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, বন্যা কবলিত ৪টি উপজেলায় ৬৫টি মেডিকেল টিম স্বাস্থ্যসেবায় কর্মরত রয়েছে।
বন্যা কবলিত মানুষ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিলেও বিশুদ্ধ পানি, টয়লেট এবং গবাদি পশুর খাদ্য সংকটে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এছাড়া রান্না করার কোন ব্যবস্থা না থাকায় তারা খাদ্য সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকারি উদ্যোগে যে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে তা চাহিদার চাইতে নিতান্তই অপ্রতুল।
কুড়িগ্রামে নতুন করে ৩০ গ্রাম প্লাবিত
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : পানি কমতে শুরু করলেও এখনও ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপরে থাকায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েণ্টে বিপদসীমার ৬৫ সে.মি ও ধরলার নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চিলমারী উপজেলার উপজেলার বরুজের পাড় ও শাকখাওয়ার মোড়ে ৩টি পাকা রাস্তা হঠাৎ করে ভেঙে হু হু করে বানের পানি ঢুকে পড়েছে চিলমারীর বিভিন্ন গ্রামে। পানি ঢুকে পড়েছে উপজেলা সদরের থানা ক্যাম্পাস, উপজেলা পরিষদ, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, স্কুল-কলেজ, খাদ্য গুদামসহ অনেক স্থাপনায়। ৩০টির বেশী গ্রাম প্লাবিত হবার পাশাপাশি উপজেলা সদরের অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় শত শত হেক্টর জমির বীজতলা ও আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ঝুঁকিতে পড়েছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়ক, রেলপথ ও কয়েকটি সেতু। ঘর বাড়িতে টিকতে না পেরে অনেকে রাস্তা, রেল লাইন ও বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছেন।
দিন যতই গড়াচ্ছে বন্যা কবলিতদের দুর্ভোগ বাড়ছে। আশ্রয়, খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গবাদী পশুর খাদ্য সংকট প্রকল হয়ে উঠছে। ধরলা অববাহিকার অনেক ঘর-বাড়ি থেকে পানি নামলেও এখনও বসবাসের উপযোগী হয়নি। বানের পানিতে ফসল হারিয়ে অনেক কৃষক পরিবার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
শিবচরে বেড়িবাঁধে ভাঙন
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা :
শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের পদ্মা নদীতে অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে বিপদসীমার ৭০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাওড়াকান্দি ঘাটের ২নং ঘাটটি এক সপ্তাহ ধরে পানিতে ডুবে আছে। তীব্র ¯্রােত অব্যাহত থাকায় ফেরিসহ নৌযানগুলো ২ থেকে আড়াই কিলোমিটার উজান বেয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিতে গিয়ে দ্বিগুণ থেকে আড়াই গুণ সময় বেশি লাগছে। ফেরিগুলো শিমুলিয়া প্রান্তে প্রায় ২ আড়াই কিলোমিটার উজানে গিয়ে চললেও পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে। ৩টি ডাম্ব ফেরিসহ ৪টি ফেরি বন্ধ রয়েছে। এখন মোট ১৪টি ফেরি চলছে। পানি বৃদ্ধির ফলে পদ্মার চরাঞ্চল ছাড়াও আড়িয়াল খাঁ তীরবতী এলাকায় দুর্ভোগ ভোগান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া একই নদের ভাঙ্গনে সন্ন্যাসীরচর, পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে চরজানাজাত, কাঠালবাড়ির ৩ শতাধিক ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে শত শত পরিবার গৃহহীন হযে পড়েছে। পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে ঘরের মধ্যেই মাচা তৈরি করে বসবাস করছেন। এসকল এলাকার ফসলি মাঠ, টিউবওয়েল, স্কুলেও পানি ঢুকে পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির এবং গো খাদ্যর তীব্র সংকট। ত্রাণের জন্য মানুষ হাহাকার করছে।
শিবচরে বাজার রক্ষা বাঁধে ভাঙন
শিবচর উপজেলা সংবাদদাতা : অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে শিবচরে একের পর এক চরাঞ্চল নদীভাঙন আক্রান্ত ও বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। নদীর করাল গ্রাসে বাজার রক্ষা বাঁধ বিলীনসহ পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদে এ পর্যন্ত ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। ৪ ইউনিয়নের অন্তত ৪ হাজার পরিবারের ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্গতরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সরেজমিনে জানা যায়, শনিবার ভোর থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৮ সে.মি. পানি বেড়ে শিবচরের পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নদ-নদীগুলো ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। আড়িয়াল খা নদের প্রবল পানির তোড়ে উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের পূর্ব কাকৈরে বহেরাতলা বাজার রক্ষা বাধে প্রায় ১শ’ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকিতে রয়েছে। ব্যাপক গাফলতির অভিযোগ উঠেছে।
চরজানাজাতের বানভাসী আমেনা বেগম বলেন, ঘরের ভেতর বুকসমান পানি। পুলাপাইন হাস, মুরগি, গরু দেখতেই দিন যায়। কাজও নাই। তাই আমাগো অনেক চাল-ডাল সাহায্য প্রয়োজন।
একই এলাকার রহিম মিয়া বলেন, যা দৌড়াদৌড়ি ইউএনও স্যারই করতাছে। তার সাথেই একদিন ডাক্তাররা আইছিলো। কৃষি কর্মকর্তা, পশু ডাক্তারসহ আরতো কেউ আইলো না।
সরিষাবাড়ীতে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ
সরিষাবাড়ী উপজেলা সংবাদদাতা
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। প্রমত্তা যমুনার পানি বিপদসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পৌরসভাসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নেই বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। বিশেষ করে ভাটারা ও সাতপোয়া ইউনিয়নের সবগুলো গ্রামসহ পিংনা, পোগলদিঘা, কামরাবাদ, মহাদান ও ডোয়াইল ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও হাসপাতাল এলাকা প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন করে। বিভিন্ন সড়ক ভেঙে বন্ধ হয়ে পড়েছে আন্তঃজেলা যোগাযোগ।
পানিবন্দি মানুষদের বিশুদ্ধ পানি ও তীব্র খাবার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। নারী-শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষদের দুর্ভোগ বেড়েছে। সেই সাথে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ। বিপাক সৃষ্টি হয়েছে গবাদি পশু-পাখি নিয়ে। প্রয়োজনের তুলনায় মিলছে না পর্যাপ্ত সরকারি ত্রাণ সহায়তা। কোন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার তৎপরতাও লক্ষ্য করা যায়নি বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান বিত্তশালী ও বেসরকারী সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে বিভিন্ন সড়ক ও বেরি বাঁধ ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। জেলা সদরে যাতায়াতের প্রধান সড়ক সরিষাবাড়ী-জামালপুর রোডের ফুলবাড়িয়া নামক স্থানে শনিবার সকালে ভেঙে গেছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে আন্তঃজেলা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। পোগলদিঘা ইউনিয়নের গাছ বয়ড়া বেড়ি বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে কয়েকটি গ্রাম। কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর-বড়বাড়িয়া বেরি বাঁধসহ কয়েকটি বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম। মহাদান ইউনিয়নের তালতলা বেড়ি বাঁধ ভেঙে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ১০টি গ্রাম। হুমকির মুখে রয়েছে বাউসি বাজার রোডের টাঙ্গাইল জেলাযুক্ত প্রধান সড়ক। বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অন্তত ২০টি সড়ক ও বাঁধ পানিতে ডুবে এবং ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘর থেকে বের হতে না পারায় যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এ সব এলাকার মানুষ।
সিরাজগঞ্জে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা :
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি টানা ১১ দিন অব্যাহতভাবে বাড়ার পর অবশেষে কমতে শুরু করেছে। গত ১২ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৫ সে.মি কম এখনো বিপদসীমার ৮৪ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে যমুনার পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম।
তিনি জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি ১৪.২০ মিটার ছিল। রোববার সকালে তা কমে ১৪.১৯ মিটারে নেমে আসে। (স্বাভাবিক অবস্থা ১৩.৩৫)
এদিকে বন্যায় জেলার ৭টি উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের প্রায় তিন লক্ষ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। নষ্ট হয়েছে কয়েক হাজার হেক্টর ফসলী জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ওয়ালি উদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত ৩৮টি ইউনিয়নে বন্যায় ১৮ হাজার ৫শ’ ৫৫টি পরিবারের ৯৯ হাজার ৭শ’ ৬৫ জন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ১০১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১৫৯ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাবনায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে
পাবনা জেলা সংবাদদাতা : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও গত কয়েক দিনে ভারী বর্ষণে পাবনার ৩ উপজেলায় প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। ভাঙ্গুড়া উপজেলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পানি এখনও সরেনি। ফলে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ভাঙ্গুড়া, বেড়া, চাটমোহর (চলন বিল এলাকাসহ) উপজেলায় বন্যা কবলিত মানুষ-জনের দুর্ভোগ বেড়েছে। দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর খাদ্য তীব্র সংকট। কোন কোন স্থানে বিশুদ্ধ পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বন্যাজনিত রোগ-ব্যাধি বাড়ছে।

ঢাকা আরিচা মহাসড়কে পানি
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা
মানিকগঞ্জের অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটেছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উথলী পাটুরিয়া সংযোগ সড়কের একাংশে রোববার দুপুরের পর পানি উঠে গেছে। জেলার ৬৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩০টি ইউনিয়নের ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যমুনার নদীর পানি আরিচা পয়েন্টে বিপদ সীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার বন্যা কবলিত এলাকার ২২৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৬টি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ও বন্যার পানি উঠার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
মানিকগঞ্জে পরিস্থিতির অবনতি
আরিচা সংবাদদাতাঃ
পদ্মা, যমুনা, কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতিসহ মানিকগঞ্জের অভ্যন্তরে প্রবাহিত সকল নদীতে পানি বৃদ্ধি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অরো অবনতি হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর এলাকার অন্তত একশ’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। হরিরামপুর উপজেলা চত্বর ডুবে যাওয়ায় দাপ্তরিক কাজ-কর্ম ব্যাহত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় এখনও কোন সাহায্য বা ত্রাণ পৌঁছায়নি। বিআইডব্লিউটিএ আরিচা অফিস সূত্রে জানা গেছে, রবিবার আরিচার যমুনা নদীতে গত ২৪ ঘন্টায় ৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শেরপুরে পরিস্থিতির আরো অবনতি
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রহ্মপুত্র ও দশানী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। সদর উপজেলার কামারেরচর, চরপক্ষীমারী, চরমুচারিয়া, বলায়েরচর ও বেতমারাী ঘুঘুরাকান্দি শ্রীবর্দীর ভেলুয়া ও নকলার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের অন্তত ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে সবজি, আমন ধানের বীজতলা, পাট ও আউশ ধানের আবাদ। শেরপুর-জামালপুর ও উত্তারাঞ্চল ফিডার রোডের পোড়ার দোকান এলাকায় দুটি কজওয়েতে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। শেরপুর সদর উপজেলার কুলুরচর বেপারীপাড়ায় ঘরসহ এক শিশু নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় হাতেম আলীর ছেলে মমিন নামের এক শিশু ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্যার্তদের মাঝে কোন প্রকার সরকারি সাহায্য পৌঁছেনি।
ইসলামপুরে পানিতে নিহত দুই
ইসলামপুর উপজেলা সংবাদদাতা জানান, জামালপুরের ইসলামপুরে ভয়াবহ বন্যায় আবারো দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল চরপুটিমারী ইউনিয়নের বেনুয়ারচর গ্রামের মারফত আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৫) ও একই ইউনিয়নের চিনার চর গ্রামের উজ্জল শেখের স্ত্রী মরিয়ম (৫৩) বন্যার পানিতে পড়ে মারা গেছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান ও স্থানীয় চেয়ারম্যান সুরুজ মাস্টার এ খবর নিশ্চিত করেছেন। এবারের বন্যায় ইসলামপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত ৯ জন নিহতের খবর প্ওায়া গেছে।
দক্ষিণাঞ্চল প্লাবিতের শঙ্কা
বরিশাল ব্যুরো জানায়, আসন্ন অমাবশ্যার ভরা কোটালে ফুশে উঠা সাগর উজানের ঢলের পানি গ্রহণ না করলে দেশের মধ্যাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল জনপদও প্লাবিত হবার আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীগুলো বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও তা প্রায় ছুঁই ছুঁই করছিল। তবে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীগুলো অবিরত উজানের বণ্যার পানি সাগরে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে চাঁদপুরের ভাটিতে মধ্য মেঘনাসহ এর সবগুলো শাখা নদী অনেকস্থানেই দু’কুল ছাপিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়ছে নদী ভাঙনের তীব্রতাও। বরিশালে নদী ভাঙনে প্রতিদিনিই বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিটেমাটি হারাচ্ছে।
মধ্য ও ভাটি মেঘনাতে ভাটি মুখি শ্রোতের গতি ঘন্টায় ৫ নটেরও বেশী। ফলে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকামুখী নৌযানগুলো বিপরীত শ্রোত অতিক্রম করে গন্তব্যে পৌঁছে অনেক বিলম্বে। অপরদিকে পদ্মার সবগুলো শাখা নদ-নদী প্রবল শ্রোতে সীমান্তের ওপারের পানি সাগরে নিয়ে যাচ্ছে। গোপালগঞ্জে মধুমতি নদী অনেকস্থানেই বিপদসীমার কিছুটা ওপরে বইছে। এমনকি গোপালগঞ্জ ও নড়াইল-এর মধ্যবর্তী কালনা পয়েন্টে দু’পাড়ের ফেরি ঘাটের গ্যাংওয়ে ও জেটির বেশিরভাগ অংশই মধুমতির পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়েই এ ফেরিতে যানবাহন ওঠানামা করছে। অথচ এ ফেরিটির মাধমেই গোপালগঞ্জ ও বরিশালসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের সাথে যশোর ও বেনাপোল স্থল বন্দরের সংক্ষিপ্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্ভরশীল।
তবে শ্রাবনের ভরা বর্ষা মওশুমের আসন্ন অমাবশ্যায় সাগর স্বাভাবিকভবে কিছুটা ফুঁসে উঠলে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের মধ্যভাগে বন্যা কবলিত হবার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ ফুঁসে ওঠা সাগর উজানের ঢলের পানি গ্রহণ না করলে গোটা দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীগুলো ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত পানি বহন করার ক্ষমতা হারাতে পারে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন