উখিয়া উপজেলার ভালুকিয়া পালং গ্রামের নিখোঁজ হেলাল উদ্দিনের (২৪) লাশ মহেশখালী সাগর চ্যানেল থেকে ৬ দিন পর উদ্ধার হলেও তার অপহরণ ও মৃত্যু রহস্য জানাজানি ৯ দিন পরেও।
হেলাল নিখোঁজের ৬ দিন পর সোমবার (১৩ জুলাই) মহেশখালী সাগর চ্যানেল থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ।
ওই দিন বিকেলে কক্সবাজার মর্গে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় তার লাশের সনাক্ত করেন তার মা ও ভাই কামাল উদ্দিন।
জানা যায়, উপজেলার রত্না পালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া পালং আমতলী গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র হেলাল উদ্দিন গত ৭ জুলাই বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান না পেয়ে পরিবারের সবাই হতাশ হয়ে পড়ে। তবে ১৩ জুলাই মহেশখালী চ্যানেল থেকে পুলিশ তা মৃতদেহ উদ্ধার করে।
ভাই কামাল উদ্দিন জানান, কক্সবাজার পৌরসভার সাবমেরিন ক্যাবল সংলগ্ন চৌধুরীপাড়া বোনের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে ভাই হেলাল উদ্দিন বের হলেও আর বাড়িতে ফিরেনি।
এক পর্যায়ে ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ থাকায় পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তাদের ধারণা পরিকল্পিতভাবে তাকে অপহরণ করে হত্যার পর খালে লাশ ভাসিয়ে দিয়েছে।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় মেম্বার আলতাফ মিয়া জানান নিহতের মা দুদিন আগে তার ছেলে কক্সবাজার হতে নিখোঁজ হয়েছে বলে তাকে জানিয়েছিল।
এলাকাবাসীর মত জায়গা জমি বিরোধ নিয়ে চাচা সাইফুল ইসলামের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল হেলালদের। আবার অনেকে মনে করছেন ইয়াবা কারবারিদের ফাঁদে পড়ে প্রাণ দিতে হল যুবক হেলালকে।
তবে কি কারণে এবং কারা হেলাল উদ্দিনকে কক্সবাজার হতে অপহরণ ও হত্যা করে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দিয়েছে তার এখনো ক্লু উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন