যুদ্ধবিরতির পূর্বে অবশ্যই সিরতে ও আল-জুফরা বিমান ঘাঁটি জিএনএর অধিকারে আসতে হবে। অতএব লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতি চায়না জানিয়ে এমন প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছে তুরস্ক। দেশটির দাবি, এখন যুদ্ধবিরতিতে জিএনএ সরকারের কোনো সুবিধা হবে না। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চভুসগলু এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির পূর্বে অবশ্যই সিরতে ও আল-জুফরা বিমান ঘাঁটি জিএনএর অধিকারে আসতে হবে। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়, তুরস্ক লিবিয়ায় প্রবেশের পর থেকে চাপের মধ্যে রয়েছে দেশটির বিদ্রোহী সামরিক নেতা খলিফা হাফতারের বাহিনী। তিনি দেশটির পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করেন। তুরস্ক এখন হাফতার নিয়ন্ত্রিত সিরতে শহরে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে চভুসগলু বলেন, তুরস্ক প্রথমেই যুদ্ধে যেতে চায় না।
আমরা সামরিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে আলোচনার টেবিলে বসার জন্য আহবান জানানো হয়েছে বিদ্রোহীদের। যদি তারা যুদ্ধ চায় তাহলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে।
লিবিয়ার তেল সম্পদের বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রণ করেন হাফতার। তাই এর দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তুরস্ক ও জিএনএ সরকার। চাপে রয়েছেন হাফতারও। আর একটি অঞ্চল হারালেও অনেকখানি তেলের দখল পেয়ে যাবে লিবিয়ার আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন