ডিএমপি’র নতুন অ্যাপসে জঙ্গিসহ যে কোন অপরাধীর তথ্য দিয়ে সহযোগিতা সম্ভব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : ডিএমপি’র নতুন অ্যাপসের মাধ্যমে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মদদদাতা ও অর্থদাতাদের তথ্য সমূলে উদঘাটন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
জঙ্গি ও উগ্রবাদ, বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং আন্তঃদেশীয় অপরাধের তথ্য জানাতে ‘হ্যালো সিটি’ নামে অ্যাপস তৈরি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিট। গতকাল রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এ অ্যাপসের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। অ্যাপসটি তৈরি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি) ইউনিট।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে গতকাল রবিবার এ অ্যাপসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, হলি আর্টিজানে নিষ্ঠুরতার পরই আমরা এ ধরনের অ্যাপসের কথা ভাবতে শুরু করি। যে অ্যাপসের মাধ্যমে নিজের পরিচয় না জানিয়েই অপরাধ সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য জানানো যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু বিশ্বাসই নয়, প্রমাণ করেছি এ দেশে সব ধর্মের মানুষ যে যে যার যার ধর্ম পালন করে। কিন্তু এ সম্প্রীতির ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি চক্র এ নাশকতা ঘটাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেন, কেউ তথ্য দিলে আমরা তার পরিচয় প্রকাশ করি না। তারপরও অনেকেই পরিচয় দিতে সংকোচ বোধ করেন। তাদের জন্য আমাদের এ অ্যাপসটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। আইজিপি শহীদুল হক বলেন, জঙ্গিবাদ জনগণের ভেতরেই বিস্তার করে। তারা (জনগণ) চোখ কান খোলা রাখলেই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ সম্ভব। এ জন্য পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে তাদের। পাশাপাশি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ দেশ কখনোই পাকিস্তান বা সিরিয়া হবে না বলেও বিপথগামীদের হুঁশিয়ার করেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলতে আমরা বদ্ধপরিকর। যাতে যে কেউ চাইলেই জঙ্গিবাদের অর্থদাতা, মদদদাতা ও আস্তানা সম্পর্কে যে কোনো তথ্য জানাতে পারেন। তাই আমরা এ অ্যাপসটি তৈরি করেছি।
প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে দেশব্যাপী একটি নাগরিক ঐক্য গড়ে উঠেছে মন্তব্য করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ঐক্য নষ্ট করতে অনেকেই সচেষ্ট হয়েছেন। তবে আমাদের এ অ্যাপসটি জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় খুবই কার্যকর হবে। এ সময় অ্যাপসটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, পরিচয় গোপন রেখেই এ অ্যাপসের মাধ্যমে পুলিশকে চার ক্যাটাগরিতে তথ্য জানানোর জন্য শুধু অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন প্রকাশ করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ পর উইন্ডোজ ভার্সন আসবে। অ্যাপসটির মাধ্যমে যে কেউই দেশ বা বিদেশ থেকে অপরাধের তথ্য জানাতে পারবে পরিচয় বা মোবাইল নম্বর উল্লেখ না করে। অ্যাপসটির প্রথমেই রয়েছে জঙ্গি ও উগ্রবাদ ক্যাটাগরি। এরপর রয়েছে যথাক্রমে বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং আন্তঃদেশীয় অপরাধ। ব্যবহারকারী এর যে কোনোটিতেই প্রবেশ করে তথ্য দিতে পারবে।
তিনি বলেন, ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে অনেক অপরাধ দেখেও না দেখার ভান করে সাধারণ মানুষ। কারণ, পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অপরাধের তথ্য দিলে পরবর্তীতে তাদের নানা ধরনের ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। এ সব ভোগান্তি দূর করতেই অত্যাধুনিক এ অ্যাপস প্রকাশ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের যে কোনো নাগরিক নিজের পরিচয় গোপন রেখেই পুলিশকে তথ্য দিতে পারবেন এ অ্যাপসের মাধ্যমে। পরিচয় গোপন রেখেই এ অ্যাপসের মাধ্যমে পুলিশকে চার ক্যাটাগরিতে তথ্য জানানো যাবে। পরিচয় বা মোবাইল নম্বর উল্লেখ না করেও এই অ্যাপসে তথ্য জানানো যাবে।
অ্যাপসের প্রথমেই রয়েছে জঙ্গি ও উগ্রবাদ ক্যাটাগরি। এরপরই রয়েছে বিস্ফোরক। তারপর রয়েছে অস্ত্র। আর সবশেষে রয়েছে আন্তঃদেশীয় অপরাধ। ব্যবহারকারী এর যে কোনোটিতেই প্রবেশ করে অপরাধের তথ্য দিতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে অ্যাপসটির শুধু অ্যান্ড্রোয়েড ভার্সন প্রকাশ করা হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে এর উইন্ডোজ ভার্সন, অ্যাপল ভার্সন চালু করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন