শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনায় জনশক্তি রফতানির সমস্ত কর্মকান্ড স্থবির

ভার্চুয়াল সভায় বায়রা সভাপতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২০, ৯:২৮ পিএম

অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রটিং এজেন্সি (বায়রা) সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপি বলেছেন, বিশ^ব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে জনশক্তি রফতানিখাতের সমস্ত কর্মকা- স্থবির হয়ে পড়েছে। বায়রার সদস্যদের হাতে দেড় লাখেরও অধিক কর্মীর ভিসা বিভিন্ন পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন যা বর্তমান পরিস্থিতির কারণে স্থগিত রয়েছে।
বায়রা সভাপতি বলেন, কোভিড-১৯ সঙ্কট পরবর্তীতে সময়ে আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের জন্য বাংলাদেশি কর্মীদের আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার ধরা যাবে। আজ বুধবার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রটিং এজেন্সি(বায়রা)আয়েজিত এক অনলাইন মতনিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সভায় আরো অংশ নেন বায়রার সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদত হোসেন, মহাসচিব শামীম আহমদ চৌধুরী নোমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তাজুল ইসলাম, বায়রার অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ আলী ও জে এফ এম এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব রবিউল হক।
বায়রা সভাপতি বলেন, প্রতি বছর ৭ লাখেরও বেশি কর্মী দেশের বাইরে কাজ করতে যান। প্রতি বছর প্রবাসীরা প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছে। সভায় যারা দেশের বাইরে কর্মী পাঠানোর সঙ্গে জড়িত তাদের সংগঠনের ভাবমর্যাদার কথা চিন্তা করে আরো স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করারও অনুরোধ জানান তিনি।
দেশের কল্যাণে যারা রিক্রেটিং এজেন্সির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তারা যদি টিকে থাকতে না পারে তাহলে রেমিট্যান্স ও রির্জার্ভের ওপর প্রভাব পড়বে। এজন্য এই ব্যবসায় যারা জড়িত তাদেরকে সরকারের প্রণোদনা দিতে হবে।
বায়রা সভাপতি বলেন, মহামারীর কারণে যে সকল প্রবাসী কর্মীরা ছুটিতে দেশে এসেছেন বা যাদের ভিসার এসেছে তাদের বেশির ভাগেরই ভিসার মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যেন এই সকল কর্মীরা তাদের কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে পারে তাই তাদের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান যেন তাদের কাজে ফিরিয়ে নিতে পারে এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসগুলো অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া যে সকল কর্মী বিদেশ হতে ফেরত এসেছে তাদের দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ এখন আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে ১৬শ রিক্রটিং এজেন্সির ৪৫ হাজার কর্মীর পেছনে মাসে ৪৮ থেকে ৫০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। তাছাড়া প্রায় এক লাখ কর্মীর ভিসা প্রসেসিংয়ের পেছনে এরই মধ্যে কম করে হলেও ১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তারা বিদেশ যেতে পারবেন কিনা সেটা অনেকটাই অনিশ্চিত বলে উল্লেখ করেন সংগঠনের মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান। এই রকমের পরিস্থিতিতে যারা রিক্রটিং এজেন্সির মালিক তারা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় করোনা ভাইরাসের কারনে যেসব কর্মী প্রবাস থেকে ফিরে আসছেন তাদের কল্যাণের জন্য বায়রা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়কে ৩০লাখ টাকা দেবে। তাছাড়া এরই মধ্যে বায়রা প্রধানমন্ত্রীর ত্রান ও কল্যাণ তহবিলে ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আগামীতে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতে প্রচুর দক্ষ কর্মীর দরকার হবে। বাংলাদেশের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। বায়রা সাধারন সম্পাদক শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন,বাংলাদেশ থেকে কোন কর্মী প্রবাসে যাওয়ার সময় তার থেকে যেন অতিরিক্ত উড়োজাহাজ ভাড়া নেয়া না হয় সেজন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের কাছে বায়রা দাবি তুলেছে। কারণ তাদের বাড়তি ভাড়া দিতে হলে রিক্রুটিং এজেন্সিকে ভর্তুকি দিতে হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন