বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

উপসর্গে মৃত ১১

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনা উপসর্গ সর্দি, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সারা দেশে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এদের কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ছিল কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক অবনতি ঘটে আক্রান্তের সংখ্যাটা আগের দিনের দ্বিগুণে উন্নীত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমনে কোন মৃত্যু না থাকলেও শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ১০৮ জন। যা আগের দিন ছিল ৬৬। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৩০৪-এ উন্নীত হল। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১২ জনসহ মোট ১ হাজার ৮২৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। ফলে জুলাই মাসের প্রথম ১৫ দিনে দক্ষিণাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩৬। এসময়ে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।
নতুন করে বরিশাল, ভোলা, পিরাজপুর ও বরগুনাতে সংক্রমণ সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ জন। যা আগের দিন ছিল ৩০। ফলে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯৩৭-এ উন্নীত হল। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। গতকাল ৫৪ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৭৫৩ জন। ভোলাতে আগের দিন কোন আক্রান্ত না থাকলেও গতকাল সংখ্যাটা ১৫ জনে উন্নীত হয়েছে। ফলে মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪১৪। জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হলেও গতকাল একজনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ২৩৬ জন।
বরগুনাতেও আগের দিনের ৬ জন থেকে গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ জনে উন্নীত হয়েছে। ফলে মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪২৭। এ পর্যন্ত জেলাটিতে ৫ জনের মৃত্যু হলেও গতকাল নতুন ১৩ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ২২৯ জন। পিরোজপুরেও পরিস্থিতির আবার অবনতি ঘটেছে। জেলাটিতে আগের দিন কোন সংক্রমণ না থাকলেওগতকাল তা ১০-এ উন্নীত হয়েছে। ফলে জেলাটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৫ জনে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭জনের। তবে গতকাল নতুন ২১ জনসহ মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০৪ জন। ঝালকাঠিতে আক্রান্তের সংখ্যাটা আগের দিনের ১০-এর সমানই রয়েছে। জেলাটিতে মোট ৩৫৩ জন আক্রান্তের বিপরীতে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন মাত্র ৩জন সহ মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭২ জন।
বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গতকাল সকালের গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১৪ জন ভর্তি হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫জন। তŸে এসময়ে হাসপাতালটির করোনা ওয়ার্ডে নতুন কোন রোগী ভর্তি না হলেও ৩জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালটির এ দুটি ওয়ার্ডে ১২৯ জন চিকিৎসাধীন। যার মধ্যে করোনা ওয়ার্ডেই সংখ্যাটা ৬৭।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০৯৭ জনে। এ বিভাগে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১১৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫৪৭ জন। দুপুরে এক প্রতিবেদনে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য জানান।
ডা. গোপেন্দ্র নাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের মধ্যে রাজশাহীর ৭৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ জন, নওগাঁয় ১৭ জন, জয়পুরহাটে ৪৭ জন, বগুড়ায় ৭০ জন, সিরাজগঞ্জে ৩৭ জন ও পাবনায় ১৫ জন।।
তিনি জানান, রাজশাহী বিভাগে আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ৩৮৭৮ জন। এছাড়াও রাজশাহী জেলায় ১৮৬১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২২৭ জন, নওগাঁয় ৬৯৬ জন, নাটোরে ৩০৫ জন, জয়পুরহাটে ৫৯৭ জন, সিরাজগঞ্জে ৯১৯ জন ও পাবনায় ৬১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায় মৃতের সংখ্যা ১১৮ জন। এর মধ্যে রাজশাহীতে ১৫ জন, নওগাঁয় ১১ জন, নাটোরে একজন, বগুড়ায় ৭৩ জন, সিরাজগঞ্জে নয়জন ও পাবনায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। সরকারি হিসেবে এখনো জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোন করোনা আক্রান্ত রোগি মারা যায়নি।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ৪৪ জন। এ নিয়ে বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৩৫৪৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগি। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৫৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯৩ জন, নওগাঁয় ৫১৩ জন, নাটোরে ১০১ জন, জয়পুরহাট ১৮২ জন, বগুড়ায় ১৯০৩ জন, সিরাজগঞ্জ ১৫৬ জন ও পাবনায় ২৪৩ জন।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তে সুস্থ আর মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী মহানগরী। রাজশাহী জেলায় একদিনে আরও ৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে নগরীতে ৫৮ জন নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর রাজশাহীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮৬১ জন ও নগরীতে ১৪৫৮ জন। গতকাল রাজশাহী সিভিল সার্জন এনামুল হকের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, সুস্থ আর মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী মহানগরী। এখানে আক্রান্তও হেয়েছে বেশি মানুষ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছে ১৯৯ জন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৮জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২৫১ জন।
অন্যদিকে, রাজশাহী মহানগরীর পরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর বিষয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পবা উপজেলা। এই উপজেলায় ৯৯ জন আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়েছেন ২০ জন। আর মৃত্যু বরণ করেছেন ৩ জন করোনা রোগী। রাজশাহী জেলায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চারঘাট। এই উপজেলায় ৩৬ জন আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়েছে ২৩ জন। আর মৃত্যু বরণ করেছেন ২ জন করোনা রোগী। রাজশাহী জেলার উপজেলাগুলোতে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, ১৪৯০ জন।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে চাঁদপুরে আইসোলেশনে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের উচ্চাঙ্গ গ্রামের বাসিন্দা লিটন সূত্রধর (৪০)আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, লিটন সূত্রধর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সূত্র জানায়, মৃত্যুর পর লিটন সূত্রধরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ ব্যবস্থায় দাহ করা হবে। এদিকে, চাঁদপুর আরো ২৫জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩৬৬জন। এরমধ্যে মৃতের সংখ্যা ৬৬জন।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ১৩জন, মতলব উত্তরে ১জন, মতলব দক্ষিণে ৪জন, হাজীগঞ্জ ১জন এবং শাহরাস্তিতে ৬জন। চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়,গতকাল দুপুরে ৭৬টি রিপোর্ট আসে । এর মধ্যে ২৫টি পজেটিভ। ৫১টি নেগেটিভ। জেলায় ১৩৬৬জন করোনা আক্রান্ত রোগীর উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হচ্ছে; চাঁদপুর সদরে ৫২৩জন, মতলব দক্ষিণে ১৬১জন, শাহরাস্তিতে ১৪১জন, হাজীগঞ্জে ১৩৪জন, ফরিদগঞ্জে ১৬৬জন, হাইমচরে ১০০জন, কচুয়ায় ৫৪জন এবং মতলব উত্তরে ৮৭জন। চাঁদপুর জেলায় করোনায় মৃত ৬৫জনের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ১৯ জন, হাজীগঞ্জে ১৬জন, ফরিদগঞ্জে ৯জন, কচুয়ায় ৫ জন, মতলব উত্তরে ৮জন, শাহরাস্তিতে ৫জন , মতলব দক্ষিণে ৩জন এবং হাইমচরে ১জন।
স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ থেকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৯৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৯১ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৮১ জন। গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়ায় মারা গেছেন ২০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ জেলা থেকে করোনা পরীক্ষা করার জন্য ৫৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছিলো এর নতুন করে ওই ২৪ জনের শরীরে করোনা শনা ক্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ সদরে ১২ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ৫ জন মুকসুদপুরে ১ জন ও কোটালীপাড়ায় ২ জন কাশিয়ানী ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । সিভিল সার্জন জানান, আক্রান্তদের বসতবাড়ি সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে। সেই সাথে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেণ্টিনে থাকার পারমর্শ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত ৬৩৫৮ টি নম‚না পরীক্ষা করা হয়েছে।এর মধ্যে মুকসুদপুরে ২১০ জন, কাশিয়ানীতে ২০১ জন, গোপালগঞ্জ সদরে ৩৩৭ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ১৭৯ জন ও কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৬৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন ৮৩ জন।
স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া থেকে জানান, কুষ্টিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে ৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। কুষ্টিয়ার মেডিকেল কলেজের সূত্রে জানা গেছে, পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৭৬ টি স্যাম্পল পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়ায় ১৭৯, চুয়াডাঙ্গায় ৫০, ঝিনাইদহে ৯০, মেহেরপুরে ২০, নড়াইলে ৩৭। আর কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ২৬ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ৬ জন ও কুমারখালি উপজেলার ২ জনসহ মোট ৩৪ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৬ জন, ঝিনাইদহ জেলায় ৩৩ জন, নড়াইল জেলার ১২ জন ও মেহেরপুর জেলায় ৫ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২ জনের ফলোআপ রিপোর্ট পজেটিভ। বাকিগুলোর ফলাফল নেগেটিভ৷ কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় আক্রান্ত ২৬ জনের ঠিকানা হাউজিং এফ ব্লক ১ জন, ছয়রাস্তা মোড় ১ জন, কাস্টমস মোড় ১ জন, মঙ্গলবাড়িয়া ২ জন, হাউজিং ১ জন, হরিপুর ১ জন, পুলিশলাইন ১ জন, বটতৈল ১ জন, আড়ুয়াপাড়া ৩ জন, কুমারগাড়া ৩ জন, কালিশংকরপুর ১ জন, চর বানিয়াপাড়া ১ জন, কলেজ মোড় ১ জন, থানাপাড়া ১ জন, দহখোলা ১ জন, চৌড়হাস ১ জন, হাতি আব্দালপুর ১ জন, বিসিক ১ জন, স্বর্গপুর ২ জন, আমলাপাড়া ১ জন। দৌলতপুর উপজেলায় আক্রান্ত ৬ জনের ঠিকানা উপজেলা পরিষদ ১ জন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১ জন, মাস্টারপাড়া ১ জন, আল্লার দরগা ১ জন, দৌলতপুর ২ জন। কুমারখালী উপজেলার আক্রান্ত ২ জনের ঠিকানা উপজেলা পরিষদ, চড়াইকোল।
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ৬৬০ জনে। জেলায় নতুন করে করোনায় মৃত্যু নেই, মোট মৃত্যু ১২১ জনের। গতকাল নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য জানান। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, নারায়ণগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬১৮ জন। মোট সুস্থ ৪ হাজার ৯৬৯ জন। মোট মৃত্যু ১২১ জন। গতকাল স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৯৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মোট নমুনা সংগ্রহ হলো ২৯ হাজার ৫২ জনের। নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ জন, মোট আক্রান্ত ৫ হাজার ৬৬০ জন। নতুন করে সুস্থ ৭৮ জন, মোট সুস্থ ৫ হাজার ৪৭ জন। নতুন করে কোন মৃত্যু নেই, মোট মৃত্যু ১২১ জন।
নতুন তথ্যানুসারে এলাকা ভিত্তিক আক্রান্তের সংখ্যা হলো, আড়াইহাজার উপজেলায় ৫৪০, বন্দর উপজেলায় ২২১, সিটি করপোরেশন (এনসিসি) এলাকায় ১৯৬৮, রূপগঞ্জ উপজেলায় ১১২১, সদর উপজেলায় (ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর থানা) ১৩২০ ও সোনারগাঁও উপজেলায় ৪৯০জন। পুরো জেলায় ৫,৬৬০ জন। এলাকা ভিত্তিক সুস্থের সংখ্যা হলো, আড়াইহাজার উপজেলায় ৪৬৯, বন্দর উপজেলায় ১৭৮, সিটি করপোরেশন (এনসিসি) এলাকায় ১৭৬১, রূপগঞ্জ উপজেলায় ১০০৬, সদর উপজেলায় (ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর থানা) ১১৮৬ ও সোনারগাঁও উপজেলায় ৪৩৭ জন। পুরো জেলায় ৫০৪৭ জন।
এলাকা ভিত্তিক এ যাবৎ প্রাণ হারিয়েছে, আড়াইহাজার উপজেলায় ৪, বন্দর উপজেলায় ৩, সিটি করপোরেশন (এনসিসি) এলাকায় ৬৬, রূপগঞ্জ উপজেলায় ১০, সদর উপজেলায় (ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর থানা) ২২, সোনারগাঁও উপজেলায় ১৬ জন। পুরো জেলায় ১২১ জন।#
বগুড়া : বগুড়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ও গতকাল দুপুরে নারীসহ দু’জন মারা গেছেন। কোয়াণ্টাম ফাউন্ডেশনের সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাশ প্রস্তুত, জানাজা ও দাফন করেছেন।
ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লায় প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় নতুন করে আরও ৮৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ৪ হাজার ৬৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, করোনা জয় করে জেলায় নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৫১ জন। এর মধ্যে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন লাকসামে ১৪ জন, সদর দক্ষিণে ২ জন, তিতাসে ২ জন, চান্দিনায় ৮ জন, হোমনায় ১৬ জন, মনোহরগঞ্জে ১০ জন ও বরুড়ায় ৬ জন।
অপরদিকে, প্রাণঘাতী করোনার ছোবলে কুমিল্লায় মোট ১২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে নতুন করে জেলার লাকসামের একজন মারা গেছেন। গতকাল বিকেল ৫ টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান দৈনিক ইনকিলাবকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, গতকাল পর্যন্ত কুমিল্লা জেলা থেকে সর্বমোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২২ হাজার ৫২৬ জনের। আর নমুনা পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট পাওয়া গেছে ২২ হাজার ২৯৮ জনের। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬৯৮ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। গতকাল নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন- কুমিল্লা নগরীতে ২৬ জন, লাকসাম ২, চৌদ্দগ্রাম ১, দেবিদ্বার ১, হোমনা ৮, বরুড়া ৬, মনোহরগঞ্জ ২, তিতাস ১০, দাউদকান্দি ৬, সদর দক্ষিণ ৭ ও নাঙ্গলকোটে ১৪ জন। এদিকে, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। গতকাল সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম এসব তথ্য জানান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় কুমেক হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে আইসিইউতে মারা গেছেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের আবদুল গফুর (৯৬), লালমাই উপজেলার জয়নাল আবেদিনের ছেলে মফিজুর ইসলাম (৭০), লাকসাম উপজেলায় ইব্রাহিম খলিলের ছেলে আবদুর গফুর (৬২) ও নাঙ্গলকোট উপজেলার ইয়াহিয়ার মেয়ে জাহারা খাতুন (৭০)।
পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল রাতে বন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে ভিসির করোনা টেস্টের ফলাফল পজেটিভ এসেছে। এদিকে, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে হাশিনা বেগম (৬০) নামে একজন মহিলা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ।
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম (৬৭) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগেরও সাধারণ সম্পাদক। একই দিনে তালা উপজেলার শুকদেবপুর গ্রামের নুরুজ্জামান (৭০) নামের আরো এক ব্যক্তি করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ৪৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। এদিকে, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গতকাল সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আতাউর রহমান (৪০)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজ করতেন।
রায়পুর (ল²ীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ল²ীপুর জেলর রায়পুর ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নের চেয়াম্যান মো. শাহ্ জাহান কামাল গত মঙ্গলবার ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তিনি রায়পুরের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে জানান, মাগুরায় ৪ জন সংবাদকর্মীর শরীরে করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। গতকাল পর্যন্ত এ তথ্য পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চারজন সংবাদকর্মী।
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মাদারীপুরে দুই চিকিৎসকসহ নতুন আরো ৬২জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৭জন, রাজৈরে একজন চিকিৎসকসহ ১০জন, কালকিনি উপজেলায় ১২জন এবং শিবচর উপজেলায় একজন চিকিৎসকসহ ১৩জন। এ নিয়ে গতকাল বিকেলে পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১হাজার ৩৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৬৭০ জন। মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫জন।
বাগেরহাট : বাগেরহাট বাগেরহাটে করোনার উপসর্গ নিয়ে অ্যাডভোকেট এনামুল হক টিপু (৬০) মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। শহরের কাপুড়িয়া পট্টিতে বসবাসকারী টিপু বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায়ত প্রধান শিক্ষক শেখ দবির উদ্দিনের প্রথম সন্তান।
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নতুন করে আরো ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতের রিপোর্টে তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০১ জন, এরমধ্য সুস্থ হয়েছেন ৭৯ জন।
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চিরিরবন্দরের সাতনালা ইউপি চেয়ারম্যান, ইছামতি মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এ কে এম ফজলুর রহমান দুলাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল ভোর সাড়ে ৫ টায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তার মৃত্যুতে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দীকা, চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দিনাজপুর জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রিন্সিপাল মো. আহসানুল হক মুকুল, গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন