হাসপাতালের বিছানায় রোগী। ডাক্তাররা শারীরিক পরীক্ষা করছেন। লালারস সংগ্রহ করা হচ্ছে করোনা টেস্টের জন্য। মহামারীর আবহে এমন ছবি অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে এমন বেশ কয়েকটি ছবি। কেন? কারণ বেডে শুয়ে থাকা রোগী আসলে ১৯৬ কেজির বিশালায়তন একটি গরিলা!
আঁতকে উঠলেন নাকি? না, কোনও হলিউড ছবির দৃশ্য নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে সম্প্রতি সত্যিই এক বড় আকারের গরিলার করোনা টেস্ট হয়েছে। গরিলা সুস্থ কি না, সে পরীক্ষা করতে গিয়ে রীতিমতো ঘাম ঝরেছে ডাক্তারদের!
হবে না-ই বা কেন? এমন বিরাট আকৃতির এক রোগী সামলানো কি মুখের কথা? পান থেকে চুন খসলেই যদি হাসপাতাল কাঁপিয়ে গর্জন করে ওঠে! সে যাই হোক, অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গেই তার এক্সরে, আলট্রাসাউন্ড, টিবি টেস্ট এবং সর্বোপরি করোনা টেস্ট করা হয়। আর সৌভাগ্যক্রমে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক কেন তার করোনা টেস্ট করানো হল? শানগো নামের এই গরিলার ঠিকানা মিয়ামি চিড়িয়াখানা। সেখানেই কয়েক দিন আগে নিজের ভাই বার্নির সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছিল তার। সে একেবারে রক্তারক্তি কান্ড। এমনিতে তারা ভালই বন্ধু।
দুই ভাইকে লড়তে দেখে অবাক হয়েছিল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। গুরুতর আঘাত পায় ৩১ বছরের শানগো। তাই চিকিৎসার জন্যই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিক হয়, এই সুযোগে করোনা টেস্টও করিয়ে নেওয়া হবে।
ডাক্তাররা দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, গরিলার শরীরের কোনও হাড় ভাঙেনি। করোনাও থাবা বসাতে পারেনি শরীরে। বাকি যা চোট লেগেছে, তা ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই নিজের আস্তানায় ফিরেছে শানগো।
দূরত্ব বজায় রাখতে বার্নিকে রাখা হয়েছে অন্য খাঁচায়। তবে শানগো জানেও না ভার্চুয়াল জগতে কতটা সাড়া ফেলেছে সে। বর্তমানে তার একগুচ্ছ ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার শীর্ষে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন