শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন

পর্যালোচনা সভায় ডিএসসিসি মেয়র তাপস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ওয়ারীতে আরও কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ ওয়ারীর বাসিন্দাদের এ বিষয়ে সহযোগিতার আহবান জানিয়েছেন। গতকাল নগরভবনে ওয়ারী লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রীয় বাস্তবায়ন কমিটির ২য় পর্যালোচনা সভায় তিনি এ আহবান জানান।
মেয়র তাপস বলেন, লকডাউনকৃত এলাকার বাসিন্দাদের আরও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। করোনা মহামারির সময় ব্যবসা মুখ্য উদ্দেশ্য হতে পারে না, জনগণকে ন্যূনতম সেবা নিশ্চিত করাই মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
এ সময় লকডাউনকৃত এলাকায় অবস্থিত প্যাসিফিক ফার্মাসিউটিক্যালসহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় এবং ৩টি সুপারশপের মধ্যে যৌক্তিকতা বিবেচনায় যেকোনো একটি সুপারশপ খোলা রেখে বাকি দুটো বন্ধ করারও নির্দেশনা দেন। এছাড়াও ই-কমার্স প্লাটফর্মের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহকারী ব্যক্তিদের সুনির্দিষ্ট নামের তালিকা প্রদান করতে বলেন এবং অন্য সকল ব্যক্তির যাতায়াত বন্ধ করারও নির্দেশনা দেন। একই সাথে, স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে স্যাম্পল দিতে আরও বেশি সচেতন হওয়ার জন্য তিনি জনগণকে আহবান জানান।
প্রায় লক্ষাধিক লোকের এলাকায় গত ১১ দিনে মাত্র ১৪৮ জন লোকের স্যাম্পল প্রদান বাস্তবিক চিত্রের প্রতিফলন হতে পারে না, মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণকে আরও বেশি পরিমাণে স্যাম্পল দিতে সচেতন করুন, উদ্বুদ্ধ করুন। কারণ, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বলছে, লকডাউন শুরুর সময়কার সংক্রমণের হার এবং বর্তমান সংক্রমণের হার প্রায় একই, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। তাই, যেসব বাসা-বাড়িতে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগী রয়েছে, সে সব বাড়ির বাসিন্দারা যাতে বাড়ির বাইরে যেতে না পারেন, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো ও আইইডিসিআর এর প্রতিনিধি সভায় জানান, এলাকার জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে গতকাল থেকে ২৮টি টিম বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনগণকে স্যাম্পল প্রদানের আহবান জানাবে এবং এই স্যাম্পল প্রদানে সরকার নির্ধারিত ফি ২০০ টাকাও জনগণকে দিতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এলাকার লোকজন স্যাম্পল পরীক্ষা করবে।
সভায় আরও জানানো হয়, লকডাউন শুরুর সময়কার সংক্রমণের হার ছিল ৪০ শতাংশ। বর্তমানেও তা প্রায় ৪০ শতাংশ। এছাড়া স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রতিদিন ৬০০ লোককে প্রতিদিন তিন বেলা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে এবং প্রতিদিন সকালবেলা প্রায় ৩০০ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে সবজি সরবরাহ করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন