শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কথা বলায় সহকারী সচিব লাঞ্চিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২০, ৯:২৭ পিএম

করোনাভাইরাসের জন্য সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কথা বলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. রফিকুল ইসলামকে লাঞ্চিত করা হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কলাবাগান থানার নর্থ রোড (ভূতের গলি) ৪০ নম্বর এ ঘটনা ঘটে। পরে কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন ওই সহকারী সচিব।

ডায়রি সূত্রে জানা যায়, কলাবাগান থানার নর্থ রোডের ৪০ নম্বর বাসার বাড়ির ল্যান্ড ওনার শিরিন আক্তার মালা ও তার স্বামী আকাশসহ তাদের সহযোগিদের হাতে লাঞ্চিত হন ফ্ল্যাটে বসবাসকৃত সহকারী সচিব মো. রফিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, শিরিন আক্তার মালা ও তার ভাই মো. আশিকুর রহমান সুজন দীর্ঘ দিন থেকে ফ্ল্যাটের ভিতরে এবং ফ্ল্যাট সংলগ্ন ভবনে অনলাইন মার্কেটিং ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু করোনাকালীন সময়েও তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি প্রতিদিন আবাসিক বাসার নিচ তলায় বড় বড় পিকআপ প্রবেশ করে এবং ৩০-৪০ জন অনলাইন মার্কেটিং কর্মী যাতায়াত করেন। তারা রাজধানীতে স্বস্থ্যবিধি না মেনেই সাইকেলে পণ্য ডেলিভারি দেন। এ জন্য ৮/৯ দিন আগে ফ্ল্যাটে বসবাসরত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. রফিকুল ইসলাম প্রতিবাদ করেন এবং করোনা কালীন ফ্ল্যাটের সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলান জন্য অনুরোধ করেন।

ওই প্রতিবাদের কারণে গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফ্ল্যাটের নিচ তলায় রফিকুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে ফ্ল্যাটের ল্যান্ড ওনার শিরিন আক্তার মালা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে শিরিন আক্তার মালা, তার স্বামী আকাশ ও তার ছোট ছেলে বিজয়সহ কয়েকজন লাঠি সোটা নিয়ে লাঞ্চিত করেন তাকে। শুধু তাই নয়, মো. রফিকুল ইসলামসহ তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি ও ভয়ভীতিও দেখান তারা। পরে এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন তিনি। যার নম্বর-৭৪৩।

শনিবার রাতে কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
M A Islam ১৮ জুলাই, ২০২০, ৯:৫৩ পিএম says : 0
সচিব না হয় বাদই দিলাম স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলায় এভাবে লাঞ্ছিত করা কোনো সাধারণ লোককেও ঠিক না। সচিব সাহেব তো উভয়ের মঙ্গলের জন্যই বলেছেন। ওই মহিলার ভাইয়ের, ছেলের সঠিক বিচার হওয়া উচিত। এগুলো লিখেই বা লাভ কি? যে দেশে বিচার কেনা-বেচা হয়,আইন কেনা-বেচা হয়, করোনা সার্টিফিকেট কেনা-বেচা হয় সে দেশে পুলিশ এই বিচার কি করে করবে? পুলিশই তো দেশটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছে। আবার হাতেগোনা দু-একজন পুলিশ দ্বারা কিছু মানুষ উপকৃতও হচ্ছে......
Total Reply(0)
ash ১৯ জুলাই, ২০২০, ১২:১৩ এএম says : 0
PICK E DEKHA JAY KEW KONO MUSK PORCHOE NA ! BUJINA AI POROSHASHON KI KORCHE !! ETA ATO HOPELESSS KENO???
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন