করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় গেল মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বন্ধের পর থেকে স্থবিরতা চলছে দেশের ক্রিকেটে। মাঠে খেলা তো নেই-ই, ছিল না বাড়ির বাইরে গিয়ে অনুশীলনের অনুমতিও। এতদিন ক্রিকেটাররা নিজ উদ্যোগে ফিটনেস ঠিক রাখার কাজ করছিলেন। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে গিয়ে নিজ উদ্যোগে অনুশীলনের অনুমতি চেয়েও পাচ্ছিলেন না পরিস্থিতির বিবেচনায়। আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটারদের অনুশীলন শুরু নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তেও আসতে পারছিল না বিসিবি। অবেশেষে মিলেছে সেই সুযোগ। আজ থেকেই মাঠের অনুশীলনে নামছেন মুশফিকুর রহিমসহ আরো ৮ ক্রিকেটার। দেশের চারটি ভেন্যুতে তাদের অনুশীলনের জন্য নির্দিষ্ট করে সময়সূচিও বেঁধে দিয়েছে বোর্ড।
আপাতত সাত দিনের একটি অনুশীলন সূচি তৈরি করেছে বিসিবি। নিজ উদ্যোগে আবেদন করে অনুমতি পাওয়া নয় ক্রিকেটার আজ থেকে এক ঘণ্টা করে অনুশীলন করতে পারবেন। সূচি অনুসারে, আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম।
ঢাকার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন তারকা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম, পেসার শফিউল ইসলাম, ওপেনার ইমরুল কায়েস ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুশীলন চালাবেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মাহাদি হাসান ও কিপার-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন কেবল অফ স্পিনার নাঈম হাসান।
স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতেই একই সময়ে দুজনের অনুশীলন করার সুযোগ নেই। ব্যাটসম্যানরা আপাতত জিম ও ৪৫ মিনিটের স্কিল ট্রেনিং করবেন। অবশ্য ঢাকার বাইরে ব্যাটসম্যানদের শুধু ফিটনেস নিয়ে কাজ করবেন। পেসারদেরও শুধু ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। ক্রিকেটাররা যে আপাতত এটুকু পেয়েই খুশি তা আর বলা অপেক্ষা রাখে না। জাতীয় দলের এক ব্যাটসম্যান যেমন বললেন, ‘আর কতদিন ঘরবন্দী থাকব বলুন, তবুও কিছু তো শুরু হচ্ছে। দোয়া করবেন যেন সুস্থ থেকে অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারি।’ সিলেটের পেসার খালেদ আহমেদ বলছিলেন, আপাতত জিম করতে বলা হলেও উইকেট ভালো থাকলে তিনি চেষ্টা করবেন বোলিং অনুশীলনটাও করতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন