জেলার রামগড়ের পাতাছড়া ইউনিয়নের চাষীপাড়া এলাকায় ভোর রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী ও তার সহযোগীদের হামলায় সুমী আকতার রহিমা(২৩) ও তার মা কামরুন নাহার (৪৭) মা -মেয়ে ২জন গুরতর আহত হয়েছে। আহতদের আত্ম চিৎকারে প্রতিবেশিরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ও হামলাকারীরা প্রাইভেটকার যোগে পালানোর সময় তাদের ধাওয়া করে জালিয়াপাড়া বাজারে আটক করে গণদোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানিয়রা।
আটককৃতরা হলেন, ১. মিল্টন শিকদার জাহিদ (৩৭) পিতা শাহজাহান, ২. এস এম রনি আহাম্মেদ (২৩), পিতাঃ মোঃ গাউস, ৩. সাজিদুল ইসলাম (২২) পিতাঃ শফিকুল ইসলাম, ৪. সফিকুর সমাদ্দার (৩৮) আবুল হোসেন সামাদ্দার, সবার গ্রাম পহরডাঙ্গা, কালিয়া, জেলা নড়াইল। এর মধ্যে আবদুস সামাদ সাইফুল (৫৫) পিতা- মতিন প্রধান, গ্রাম - রৌশনপুর পূর্বপাড়া, থানা পিরগঞ্জ রংপুর পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানিয়রা জানান, ২০১৪ সালে ঢাকা গার্মেন্সে চাকুরী করার সুবাধে মিল্টনের সাথে রিমার বিয়ে হয় তাদের ২ বছর বয়সী ১টা কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ৩মাস পূর্বে তাদের সাংসারিক বনিবনা না হওয়ায় রিমা স্বামীকে ডিভোর্স দেয় । কিন্তু রবিবার ভোর রাতে স্বামী মিল্টন সহ আরো ৩জন প্রাইবেটকার নিয়ে রিমাদের বাড়িতে এসে ঘরের সীদ কেটে প্রবেশ করে স্ত্রী রিমা ও তার মাকে কুপিয়ে জখম করে এসময় তাদের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় পরে তাদের ধাওয়া করে জালিয়াপাড়া বাজারে আটক করে গণদোলাই দিয়ে প্রাইবেটকারসহ হাফছড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হলে রামগড় থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
আহত সুমি আক্তার রহিমা জানান, তার স্বামী একজন পেশাদার চিনতাইকারী এর পূর্বেও তিনি ২বার জেল খেটেছেন এসবের কিছুই তিনি জানতেননা জানার পর তিনি মায়ের কাছে চলে আসেন এবং তার কোন বরণ পোষণ না দেয়া ও নির্যাতন করায় ৩ মাস পূর্বে স্বামীকে তালাক দেন। রবিবার ভোররাতে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য সহযোগীদের নিয়ে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ।
রামগড় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সামসুজ্জামান জানান, এবিষয়ে নির্যাতিতা বাদী হয়ে রামগড় থানায় মামলা করেছেন। আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন