করোনা সংকট সম্মিলিতভাবে মোকাবিলায় বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস। বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ সমালোচনা করেছেন। গুতেরেস ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক এতোটা নিস্ক্রিয় ছিল না কখনোই। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন এমন একটি বিশ্বে রয়েছি যেখানে দ্বিমেরু অবস্থা আর নেই। তবে এখনও বহু মেরুকরণ হয়নি। অনেক দিক থেকেই এটি এখন বিশৃঙ্খল। দুর্ভাগ্যবশত পারস্পরিক বোঝাপড়ার এই অভাব, বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে এই প্রতিযোগিতা জাতিসংঘের জন্য একটি গুরুত্বপ‚র্ণ ভঙ্গুরতা। জাতিসংঘের মহাসচিব লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন ও আফগানিস্তানে যে যুদ্ধ চলছে তা অবসানে নিরাপত্তা পরিষদকে একটি সমাধান বের করার আহŸান জানিয়েছেন। ধনী দেশগুলো দরিদ্র দেশগুলোকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করছে না বলেও অভিযোগ করেন গুতেরেস। তিনি বলেন, বিশ্বের দেশগুলোর উচিৎ ‘জনগণের টিকার’ সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা। ‘মহামারিতে সবাই যদি নিরাপদে না থাকে তাহলে আমরাও নিরাপদে থাকব না।’ অপর এক খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস বলেছেন, করোনাভাইরাস সমাজের ‘ভঙ্গুর কঙ্কালটিকে’ প্রকাশ করে দিয়েছে। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের ১০ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে। শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার ১০২ তম জন্মবার্ষিকীতে তিনি এ কথা বলেছেন। গুতরেস বলেছেন, বৈশ্বিক অসমতা প্রকাশের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস ‘জ্বলজ্বলে স্পটলাইট’ ছিল। তিনি বলেন, ‘একটি অতিক্ষুদ্র ভাইরাস আমাদেরকে হাঁটু ভেঙ্গে বসতে বাধ্য করেছে। মহামারিটি আমাদের বিশ্বের ভঙ্গুরতা প্রদর্শন করেছে।’ জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমরা সবচেয়ে দীর্ঘ বৈশ্বিক মন্দার মোকাবিলা করছি। ১০ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্রের দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে। আমরা ঐতিহাসিক অনুপাতে দুর্ভিক্ষ দেখতে পারি।’ বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অসমতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ পর্যায় থেকে অসমতা শুরু হয়েছে। তাদের সংস্কারের মাধ্যমে অবশ্যই অসমতা দ‚র করত হবে।’ রয়টার্স, এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন