ফেনীর রামপুরে গত ৩০ মে সাদেক হোসেন পাটোয়ারীর মালিকিয় শাহানাজ ডেইরী ফার্মের ভিতর মোজাম্মেল হক সাগর নামের এক রাখাল নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় সাগরের পরিবার কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে ফেনী থানায় মামলা দায়ের করেন। নিহত সাগরের বাড়ি নেত্রকোনায়। গত ২৮ জুন জেলা গোয়েন্দা শাখাকে মামলার তদন্তভার দেয়া হয়। হতাকান্ডের ৫০ দিনের মাথায় পুলিশ রহস্য উদঘাটন করেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুচ্ছগ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে মোহন প্রকাশ নয়ন(৩০) তার স্ত্রী খালেদা আক্তার বৃষ্টি(২৬) এবং তার ভাই রাজন(৩৫)। তারা বর্তমানে ফেনীর রাণীর হাট মামুন ডেকোরেটরের বাড়িতে থাকতো। এ বিষয়ে ফেনী পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী বিপিএম, পিপিএম আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি জানান, পরকীয়ার কারনে ও টাকার লোভে আটককৃতরা সাগরকে কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি জানান, আটককৃত বৃষ্টির সাথে সাগরের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে সম্পর্কের ফাটল ধরলে সাগরের কাছে তাদের দুজনের কিছু ছবি রয়ে যায়। এগুলো উদ্ধার করতে না পেরে বৃষ্টি তার স্বামী নয়নকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানায়। নয়ন তার ভাই রাজনকে এ বিষয়ে না জানিয়ে টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের সাথে সম্পৃক্ত করে। ঘটনার দিন ডেইরী ফার্মের ভেতরে প্রথমে সাগরকে মোবাইলে রক্ষিত ছবি ও ভিড়িও চিত্র মুছে ফেলার জন্য বলে খুনিরা। সাগর রাজি না হলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে দা দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে আটককৃতরা। আজ তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। তদন্তে আরো তথ্য বেরিয়ে এলে পরবর্তিতে জানানো হবে।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএনএম নুরুজ্জামান জানান,সাগরের মোবাইল সেটে পরকীয়া সম্পর্কের কিছু ছবি ও ভিড়িও চিত্র রয়েছে বলে তদন্তে উঠে আসে। এসব সূত্র ধরে তাদের ধরতে ডিবি পুলিশ বিভিন্ন সময়ে ফেনী,নোয়াখালী,কুমিল্লা ও চাঁদপুরে অভিযান পরিচালনা করে। চাঁদপুর থেকে রাজনকে সাগরের মোবাইল ফোনসহ আটক করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে বাকি দুইজনকে ফেনীর রানীর হাট এলাকা থেকে আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, একসময় নয়ন ও বৃষ্টি রামপুর শাহনাজ ডেইরী ফার্মের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভাড়া থাকতো। তখন থেকে সাগর ও বৃষ্টির মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন