বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নিহত সেনার মাকে নিয়ে মন্তব্য করে আবারো বিতর্কে ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকে নিহত যুক্তরাষ্ট্রের একজন মুসলমান সেনা সদস্যের মায়ের সম্পর্কে অবজ্ঞাসূচক মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়িয়েছেন রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাগদাদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হুমায়ুন খানের বাবা খিজির খান গত সপ্তাহে ডেমোক্রেট দলের জাতীয় কনভেনশনে ট্রাম্পকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেন। আবেগপূর্ণ বক্তৃতায় তিনি বলেন, দেশের জন্য ট্রাম্প কাউকে বা কোন কিছুই হারাননি। এ সময় তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্ত্রী গাজালা খান। এ ব্যাপারে ট্রাম্প এবিসি টেলিভিশনের দিস উইক অনুষ্ঠানে বলেন, আপনারা হয়ত খেয়াল করেছেন বক্তব্য দেয়ার সময় তার স্ত্রী পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার কোন বক্তব্য ছিল না। হয়ত তাকে সেখানে কথা বলারই অনুমতি দেয়া হয়নি।
দেশের জন্য জীবন দানকারী একজনের মা সম্পর্কে এমন অভব্য বক্তব্যের সমালোচনা করে দেশটির রাজনীতিকরা বলছেন, একজন বীরের মা সম্পর্কে এমন কথা বলা উচিত হয়নি ট্রাম্পের। ২০০৪ সালে বাগদাদে ২৭ বছর বয়সী হুমায়ুন খান নিহত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ট্রাম্পের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই বিতর্কের কেন্দ্রে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে তিনি মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার কথা বলেও সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।
গাজালা খানের ব্যাপারে ট্রাম্পের বক্তব্য প্রকাশিত হবার পর তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছেন। গাজালা খান অভিযোগ করে বলেন, ইসলাম সম্পর্কে ট্রাম্প একেবারেই অজ্ঞ। শুধু তাই নয় ট্রাম্প প্রকৃত অর্থে উৎসর্গ শব্দের কোন অর্থই জানেন না। ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে বক্তব্য দেয়ার সময় মিস গাজালার স্বামী খিজির খান ইসলাম ও মুসলিম ইস্যুতে ট্রাম্পের অবস্থানকে উদ্দেশ্য করে আবেগময় এবং আক্রমনাত্মক বক্তব্য দিয়েছিলেন। তার স্বামীর বক্তব্যের সময় গাজালা খান তার কাছেই ছিলেন। পরে ট্রাম্প দাবি করেন মি. খান তার বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ করেছেন এবং তিনি সম্ভবত মিসেস খানকে কথা বলতে দেননি। মার্কিন এই মুসলিম দম্পতির সন্তান ক্যাপ্টেন হুমায়ন খান ২০০৪ সালে ইরাকে এক গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন। ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন পোষ্টে প্রকাশিত এক কলামে মিসেস খান লিখেছেন তখন ভিষণ রকম মন খারাপ থাকায় তিনি নিজেই বক্তব্য দিতে চাননি। তবে তিনি কথা না বললেও সারা বিশ্ব এবং পুরো আমেরিকা তার কষ্টটা বুঝতে পেরেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন