বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী। গতকাল রোববার সকালে বর্ষণে অনেক এলাকায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অফিস ও কর্মস্থলমুখী লোকজনকে বিপাকে পড়তে হয়। এদিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস আজ সোমবারও কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা বাতাস বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে। সমুদ্রবন্দর সমুহকে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়। বৃষ্টির সাথে জোয়ারের পানি উঠায় অনেক এলাকা হাটু পানিতে তলিয়ে যায়। পতেঙ্গা আবহাওয় অফিস বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৪৫.১ মি.মি বৃষ্টি রের্কড করেছে। চকবাজার বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকাসহ অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে যায়। সড়কের পাশাপাশি অলিগলি উপচে বাসা ও দোকানপাটেও ঢুকেছে পানি। ফ্লাইওভারের নিচেও জমেছে হাঁটু পানি। নালা নর্দমা পরিস্কার না করায় পানি আটকে যায়। অনেক এলাকায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জোয়ারের পানিতে যথারীতি নগরীর আগ্রাবাদ, হালিশহর, চাক্তাই খাতুনগঞ্জ, বাকলিয়া, চান্দগাঁওসহ অনেক এলাকা হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। বাসাবাড়ি, দোকানপাটে পানি উঠে যায়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের নীচ তলা পাানিতে তলিয়ে যায়। রোগী এবং তাদের স্বজনেরা বিপাকে পড়েন।
আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপক‚লীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দর সমুহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ট্রলারসমুহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপক‚লের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন