বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

৯ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

দীর্ঘ অপেক্ষা শেষ হচ্ছে একাদশে ভর্তিচ্ছুদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

অপেক্ষা শেষ হতে যাচ্ছে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের। ফল প্রকাশের প্রায় আড়াই মাস পরে ভর্তি শুরু হতে যাচ্ছে তাদের। আগামী ৯ আগস্ট থেকে ভর্তি শুরু হচ্ছে একাদশ শ্রেণিতে। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে অনলাইনে। ভর্তির যাবতীয় তথ্য শিক্ষা বোর্ডের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে। গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অনলাইন মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এই মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক, আন্ত:শিক্ষাবোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক।
এ সময় শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে যেন সমাস্যা না হয় সেদিকে প্রতিষ্ঠানগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে। তাছাড়া কোভিড-১৯ এর কারনে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই হয়ত ভর্তির ফি একসাথে দিতে পারবে না। সেক্ষেত্রে তারা যেন কিস্তিতে ভর্তি ফি দিতে পারে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, এ বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী ও বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) কোটা বহাল থাকছে। বিশেষ কোটা হিসেবে পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, দশমিক পাঁচ শতাংশ বিকেএসপি এবং দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রবাসী কোটা বহাল থাকছে। প্রবাসীদের সন্তান ভর্তির বিষয়ে সরাসরি বোর্ডে আবেদন করতে হবে। তবে বিভাগীয় ও জেলা সদর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দফতরগুলোর কোটার বিষয়ে খসড়ায় কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

ভর্তি প্রক্রিয়ায় জটিলতা ও ব্যয় কমাতে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। শুধু অনলাইনে সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ভর্তিতে আবেদন ফি ও ভর্তি ফি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।

এবার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার এমপিওভুক্ত কলেজে ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। ঢাকার মধ্যে আংশিক এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন প্রতিষ্ঠানের বাংলা মাধ্যমে ভর্তি ফি ৯ হাজার ও ইংরেজি মাধ্যমের ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হবে। সব প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নয়ন ফি তিন হাজার টাকার বেশি করা যাবে না। প্রতিটি খাতে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে রসিদ প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মফস্বল ও পৌর এলাকার জন্য ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার টাকা ও পৌর জেলা সদরে দুই হাজার টাকা। তবে ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি নেয়া যাবে না।

চলতি বছর করোনভাইরাসের কারণে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে ৩১ মে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। তবে একই কারণে একাদশে ভর্তি পিছিয়ে যায়। এবার ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেয়, তাদের মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পাস করেছে। তারাই এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন