ইনকিলাব ডেস্ক : জাপানের রাজধানী টোকিও শহরের প্রথম নারী গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইরিকো কোকে। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ছত্রছায়ায় নির্বাচনে অংশ নেয়া এই নারীর নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে টোকিও স্থানীয় প্রশাসন নারী নেতৃত্বের সূচনা করল। ২০০৭ সালের সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তিনি শিনজো অ্যাবে সরকারের পরিবেশমন্ত্রী হিসেবে জাপানের সংসদে প্রথম নারী মন্ত্রী হন। আর এবার গর্ভনরের ক্ষমতায় এসে তিনি আরো একবার তার জনপ্রিয়তা প্রমাণ করলেন। গত রোববার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলা ১১ লাখ ভোটারের ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা হয়। গত ১৫ জুন বিদেশ ভ্রমণে বিধি বহির্ভূতভাবে অর্থব্যয়ের দায়ে পদত্যাগ করেন গর্ভনর ইয়চি মাসুজুই। ২০১৪ সালে টোকিও গর্ভনর (মেয়র) হওয়ার পর সরকারি কোষাগার থেকে ৯ বার বিদেশ ভ্রমণে ২০০ মিলিয়ন ইয়েন তছরুপ করার অভিযোগ উঠেছিল ইয়চি মাসুজুইয়ের বিরদ্ধে। আর এ নিয়ে গত এপ্রিলে তিনি অন্যান্য সাংসদের তোপের মুখে পড়েন। সোমবার সংসদে এ নিয়ে অনাস্থা জ্ঞাপন করেন সাত সাংসদ। যেখানে বিরোধীদলীয় সাংসদরা তার জোরালো পদত্যাগের দাবি তোলার পর তিনি পদত্যাগ করেন। আর ওই পদত্যাগের পরই কার্যত টোকিও শহরের প্রশাসনের শীর্ষ পদটি শূন্য হয়ে যায়। এদিকে, রোববার নির্বাচনে ইরিকো কোকে ছাড়াও আরো ২০ জন প্রার্থী প্রতিযোগিতা করে। ক্ষমতাসীন জোটের পক্ষ থেকে প্রতিযোগিতায় ছিলেন সাবেক অভ্যন্তরীণমন্ত্রী হিরোয়া মাসুদা। এছাড়াও, ইরিকোর কোকের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক সুনতারো তরিগো, যিনি প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষ হয়ে নির্বাচনে লড়েন। এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন