বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বর্ষণে বিপর্যস্ত দক্ষিণাঞ্চল

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

শ্রাবণে আসন্ন অমাবশ্যার মৌসুমি বায়ূর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা মেঘমালায় দক্ষিণাঞ্চলসহ উপকূলভাগে ভারী বর্ষণে জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত। গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরিশালেই প্রায় ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা ও কলাপাড়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল ৭০ মিলিমিটার থেকে ১শ’ মিলিটারের মত। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কথা বলেছে আবহাওয়া বিভাগ। এ বর্ষণের মধ্যেই বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের সব নদী বন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানোর পাশাপাশি পায়রাসহ সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে। বরিশালে গতকাল সকাল ৭টার মধ্যেই প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। দুপুর ৩টা মধ্যে প্রায় ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিতে মহানগরীর বেশিরভাগ রাস্তাঘাট সয়লাব হয়ে যায়। নগর জীবনেও যথেষ্ঠ ছন্দপতন ঘটে। দিনভর দফায় দফায় বৃষ্টিতে উপকূলভাগের জীবন ব্যবস্থাও থমকে যায়।

তবে শ্রাবণের এ বর্ষণ কৃষি ব্যবস্থায় আপতত কোন বিরুপ প্রভাব না ফেললেও প্রবল বর্ষণ আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকলে উঠতি আউশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। মাঠে থাকা আমন বীজতলার জন্য চলমান বৃষ্টিপাত ক্ষতিকর না হলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে কৃষকের দুঃশ্চিন্তা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন কৃষিবীদগণ।

আবহাওয়া বিভাগের মতে, মৌসুমি বায়ূর অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, বিহার ও হিমালয় পাদদেশিয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিত অংশ উপকূল সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরেও বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ূ দেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। বরিশালসহ উপকূলীয় এলাকায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বজ্রবৃষ্টি ও কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভবনার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বরিশালসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল এবং উপকূলীয় আকাশে কালো মেঘের সাথে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। বঙ্গোপসাগর থেকে বায়ূ তারিত মেঘমালা ধেয়ে আসছিল উপকূল হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে। রাতের দিকে বৃষ্টিপাতের পারিমান বৃদ্ধির আশংকা করছেন আবহাওয়া পর্যবেক্ষকগণ।
পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ২

ইনকিলাব ডেস্ক : গোপালগঞ্জে কর্মস্থল থেকে কাশিয়ানী উপজেলার এসপি সার্কেল অফিসে মোটরসাইকেল করে যাচ্ছিলেন এসআই মিজানুর রহমান। পথে কাশিয়ানী উপজেলার পোনা নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা নিউরোসাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গতকাল সোমবার ভোরে মারা যান। অন্যদিকে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের কালারডুবা এলাকায় ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন। এছাড়া কুয়াকাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন ৫জন। আমাদের সংবাদদাতাদের তথ্যে প্রতিবেদন :

গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান : সড়ক দুর্ঘটনায় আহত গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মিজানুর রহমান (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান : বানিয়াচং থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজি অটোরিকশা রাতে কালারডুবা এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১ জন নিহত হন। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা। তিনি জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে সাথে নিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদাদাতা জানান : কুয়াকাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় বিজয় টিভি ও দৈনিক মানবজমিন জমিন পত্রিকার সাংবাদিক হোসাইন আমিরসহ ৫জন আহত হয়েছে। গত রোববার রাতে কুয়াকাটা-পটুয়াখালী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ৮ দিকে মৎস্য বন্দর আলীপুর বাজার থেকে ইজিবাইকে করে কুয়াকাটা আসছিলেন তারা। মহাসড়কের নয়াপাড়া পয়েন্টে বিপরীত মুখী একটি মোটরবাইকের সাথে মুখোমুখী সংর্ঘষ এড়াতে পার্কিং করে রাখা ট্রলির সাথে ধাক্কা খেয়ে ইজি বাইকটি উল্টে পড়ে যায়। এতে আহত হয় চালক সবুজ, সাংবাদিক হোসাইন আমিরসহ ৪ জন যাত্রী আহত হয়।
কুয়াকাটা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আরিফুর রহমান বলেন, আহতের মধ্যে সাংবাদিক হোসাইন আমিরের মাথায় ও নাক মুখে আঘাত থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন