প্রথম আরব দেশ হিসেবে মঙ্গলগ্রহের দিকে যাত্রা শুরু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ‘আল আমাল’, অর্থাৎ আশা নামের স্বয়ংক্রিয় মহাকাশযান নিয়ে জাপানের তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে রওনা হয়েছে জাপানি রকেট। আরব আমিরাতের এই মঙ্গল যাত্রায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বিজ্ঞানী সারাহ আমিরি।
১২ বছর বয়সে সারাহ আমিরি এমন এক স্বপ্ন দেখেছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের কোনো নারীর জন্য যা ছিল বাস্তবতাবর্জিত। অবশেষে তার ‘নেতৃত্বেই’ আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গল অভিযান শুরু করেছে আরব আমিরাত। তিন বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত বিজ্ঞানিদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়া হয় তাকে। তারপর বিশ্বের প্রথম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মন্ত্রীও করা হয় সারাহ আমিরিকে। হোপ বা আশা নামের প্রকল্পের ডেপুটি ম্যানেজার এবং বিজ্ঞানী দলের প্রধানও তিনি।
কর্মজীবন শুরু হয়েছিল কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। পরে আমিরাতের ইন্সটিটিউশন ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার সুযোগ পান সারাহ আমিরি। ১২ বছর বয়সে এমন স্বপ্নই দেখেছিলেন তিনি। এ বিষয়ে ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন সারাহ আমিরি, ‘১২ বছর বয়সে অ্যান্ড্রোমেডা ছায়াপথের একটা ছবি দেখি আমি। তারপর থেকে মহাকাশ সম্পর্কে জানার এবং মহাকাশ নিয়ে কাজ করার আগ্রহ বাড়তে থাকে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মক্ষেত্রের ২৮ ভাগ নারী। তবে মঙ্গল মিশনের শতকরা ৩৪ এবং বিজ্ঞানীদের দলের ৮০ ভাগই নারী। ভবিষ্যতে সব ক্ষেত্রেই নারীর অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে চান সারাহ আমিরি। তবে বিজ্ঞানকে অবশ্য এত ছোট গণ্ডিতে বেঁধে রাখতে রাজি নন, ‘আমার কাছে বিজ্ঞান হচ্ছে জোটবদ্ধ হওয়ার সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক উপায়। এটা সীমাহীন, সীমানাহীন বিষয়।’ সূত্র: ডয়চে ভেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন