মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শিবগঞ্জে সাইফুদ্দিন হত্যা: প্রধান আসামি কাউন্সিলর জেম এখনও অধরা

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০২০, ৪:৪৬ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে খুন হন সাইফুদ্দিন। থানায় হত্যা মামলাও হয়। বুধবার রাত পর্যন্ত পুলিশ ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু হত্যাকান্ডের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি খাইরুল আলম জেম এখনও অধরা। পুলিশ তার নাগাল পাচ্ছে না। হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জেম শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। গত ১৪ জুলাই শিবগঞ্জ পৌরসভার মর্দানা-আইয়ূব বাজার এলাকায় নৃশংসভাবে খুন হন সাইফুদ্দিন (৪৮)। গ্রামীণ রাজনীতির বলি হন নিরীহ কৃষক সাইফুদ্দিন। যারাই কাউন্সিলর জেমের বিরোধিতা করেন তাদের ওপরই নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। কিন্তু প্রভাবশালী জেম থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। সাইফুদ্দিন হত্যা মামলার বাদি তার ভাই মুকুল হোসেন বলেন, পৌর কাউন্সিলর জেমের নির্দেশে তার ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে তিনি জেমকে প্রধান আসামি করে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু জেমকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। এখন হুমকি দিয়ে যাচ্ছে জেমের ক্যাডার বাহিনী। মুকুল আরও বলেন, এর আগে একই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে খুন হয়েছেন তার আরেক ভাই তাইফুর রহমান। চোখের সামনে আরেক ভাই সাইফুদ্দিনকে নৃশংসভাবে কোপাতে দেখেছেন। কিন্তু ভাইকে বাঁচাতে পারেননি। তিনিও সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে পড়বেন, এই শঙ্কায় প্রতিবেশীরা তাকে আটকে রাখেন। চোখের সামনে তার ভাইকে নির্মমভাবে কুপিয়ে নির্বিঘেœ চলে যায় সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, সাইফুদ্দিন হত্যা মামলা দায়েরের পর পরই ৩৪ আসামির মধ্যে প্রথম দফায় আটজন, দ্বিতীয় দফায় তিনজন ও সর্বশেষ একজনকে গ্রেপ্তার করে বুধবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রধান আসামি কাউন্সিলর জেম গ্রেপ্তার না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। আশা করি খুব দ্রুত সে পুলিশের হাতে ধরা পড়বে। উল্লেখ্য, নিহত সাইফুদ্দিনের পিতার নাম মৃত ফজলুর রহমান। সন্ত্রাসীরা প্রথমে হাতবোমা ফাটিয়ে সাইফুদ্দিনের পুরো শরীর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। পরে দুই হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। সাইফুদ্দিন যখন মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন তখন তার মুখে প্রসাব করে দেয় সন্ত্রাসীরা। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে তারা উল্লাস করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন