গ্যাস্ট্রিক বা আলসার নামটি শোনেনি আমাদের দেশে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন । সাধারণ লোকজন গ্যাস্ট্রিক বা আলসার বলতে যা বোঝান চিকিৎসকরা তাকে বলেন পেপটিক আলসার। আমাদের দেশের সবচেয়ে পরিচিত অসুখ এই পেপটিক আলসার। অনেকেই এই সমস্যায় কষ্ট পান।
মানুষের পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড নামক খুব শক্তিশালী এসিড তৈরি হয়। এই এসিড পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে ক্ষত তৈরি করে। তবে এই এসিডকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য রয়েছে আমাদের শরীরের বেশ শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা। পাকস্থলি দেয়াল হতে নি:সৃত প্রতিরোধি রস, পিত্তথলী হতে আসা পিত্তরস ও খাদ্যনালীর দেয়ালের শক্ত মিউকাস মেমব্রেন আলসার হতে বাধা দেয়। স্বাভাবিকভাবে তাই আমাদের আলসার হয়না। কিন্তু যখন এগুলোর মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় তখন দেখা দেয় বিপদ। এসিডের আধিক্য বেশি হলে বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা দূর্বল হয়ে পরলে পাকস্থলীর গায়ে, ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশে এবং অন্ননালির শেষাংশে ক্ষত আলসার হয়। পেটের এই অসুখের নামই পেপটিক আলসার।
পেপটিক আলসার এর একটি প্রধান কারণ হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি নামক একধরনের ব্যাকটেরিয়া । দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে এই জীবানু শরীরে প্রবেশ করে। তারপর বিভিন্নভাবে এই জীবাণু আলসার তৈরি করে। আবার বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধও পাকস্থলীর এসিডিটি বাড়িয়ে আলসার হওয়ার জন্য দায়ী । আমাদের দেশে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এই ব্যথার ওষুধগুলি খান। এথেকেও হতে পারে আলসার। ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন, মানসিক চাপ, বিভিন্ন ক্রনিক রোগ ইত্যাদি পেপটিক আলসারের ঝুঁকি অনেকগুণে বাড়িয়ে দেয় ।
পেপটিক আলসার খুবই পরিচিত অসুখ। যেসব কারণে হয় সেসব কারণ থেকে দূরে থাকলে পেপটিক আলসার এর সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন