শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

তামাক কোম্পানীর প্রলুব্ধকরণ চেষ্টা সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে

প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : তামাক কোম্পানীগুলো নানাভাবে প্রলুব্ধকরণ প্রচেষ্টা থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার আহŸান জানানো হয়েছে। গতকাল ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সহযোগিতায় ডবিøউবিবি ট্রাস্ট, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও দ্যা ইউনিয়নের আয়োজনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ বাস্তবায়ন ও স্থায়িত্বশীল অর্থনৈতিক যোগান নিশ্চিতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমেদ, পুলিশ সুপার ডিআইজি ঢাকা মো. আবুল বাসার তালুকদার, জেলা কমানডেন্ট বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি ঢাকা মো. সাইফুল্লাহ রাসেল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকা এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয় ঢাকা’র উপ-পরিচালক বিভাগ ডা. নাজিব আহমেদ, ডেপুটি সিভিল সার্জন, ঢাকা জাকির হোসেন খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. আবুল কালাম, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ঢাকা মো. তারিকউজ্জামান, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের প্রোগ্রাম অফিসার শেখ মোহাম্মদ মাহবুব সোবাহান, জেলা তথ্য অফিস ঢাকা’র উপ-পরিচালক এ কে এম আজিজুল হক। ডবিøউবিবি ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমানের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডবিøউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।
হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, আর্টিকেল ৫.৩ তে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে তামাক কো¤পানির প্রভাবমুক্ত রাখতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। জনস্বার্থ রক্ষায় ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে আর্টিকেল ৫.৩ বিষয়ে প্রচারণা করতে হবে। তামাক কোম্পানিগুলো নানাভাবে প্রলুব্ধ করার প্রচেষ্টা করলে সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে। আর্টিকেল ৫.৩ বাস্তবায়নে ঢাকা সকল জেলা প্রশাসকদের চিঠি প্রদান করা হবে।
গাউস পিয়ারী বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ ও অর্জনগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণকর্মীদের আশাবাদী করে তোলে। কিন্তু কোম্পানিগুলো সরকারি কর্মকর্তাদের নানাভাবে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত। কোম্পানির এই অপপ্রচেষ্টাকে রুখতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্টিকেল ৫.৩ সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শুধু তামাক নিয়ন্ত্রণ নয়, পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বৈদেশিক অনুদান কিংবা ঋণের উপর নির্ভর না হয়ে আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্থায়িত্বশীল অর্থনৈতিক যোগান নিশ্চিত করতে হবে। তাই তামাকসহ ক্ষতিকর ও অস্বাস্থ্যকর পণ্য যেমন কোমল পানীয়, ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুডের উপর অধিকহারে কর আরোপ করে অর্জিত অর্থ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যয় করতে হবে।
মো: আবুল বাসার তালুকদার বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এটি আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। এক্ষেত্রে আইন বাস্তবায়নের পাশাপাশি আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তামাক কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রকে কি পরিমাণ ট্যাক্স প্রদান করছে তা হিসাব না করে তামাক গ্রহণের ফলে পরিবেশ, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতি বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন