শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সিরাজদিখানে বন্যার পানিতে ডুবলো রাস্তা, অসহায় হলো ৪০ পরিবার

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২০, ৪:০৪ পিএম

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের লতব্দীর দক্ষিণ পাড়া লতব্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বালুরদুব গ্রামের ৪০ টি পরিবারের প্রায় ৩০০ জন মানুষ অসহায় জীবন যাপন করছে। তাদের দুঃখের যেন শেষ নেই। রাস্তা থেকেও যেন না থাকার মত। আম্বর শেখের বাড়ি হতে কবর স্থান পর্যন্ত পুরো রাস্তা এখন বন্যার পানির নিচে।
জানা যায়, সরকারি রাস্তা হওয়া সত্ত্বেও জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও কোন লাভ হয়নি বলে জানান ভুক্তভোগীরা। পাশেই একটা কবরস্থান রয়েছে। অন্যদিকে প্রাইমারি স্কুল ও হাই স্কুল রয়েছে। তবে বন্যার পানি ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে একটু বৃষ্টিতেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে যায়। চলাচলে খুবই ভোগান্তি পোহাচ্ছে স্থানীয়রা। রাস্তাটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় অভিভাবকরা শিশুদের নিয়ে আতঙ্কে আছে। আরো জানা যায়, প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী এ পাড়ায় বসবাস করে। রাস্তাটির কারণে মসজিদেও যেতে পারছেন না মুসুল্লিরা। এমনকি বাজারেও যেতে বিরম্বনা পোহাতে হচ্ছে । তাই অতি দ্রুত রাস্তাটি চলাচলের উপযুক্ত করে দেয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় ইয়াসিন মোল্লা বলেন, আমাদের বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতে খুব কষ্ট হয়। আমাদের পাশে একটি কবরস্থান আছে। আত্মীয় স্বজন মারা গেলে কবরস্থানে নিতে অনেক কষ্ট হয়। সরকারের কাছে আকুল আবেদন আমাদের চলাচলের রাস্তাটি উঁচু করে দিলে ভোগান্তি কমবে।
একি গ্রামের শামসু মিয়া বলেন, আমাদের এখানে ৪০টি ফ্যামিলির মধ্যে প্রায় ৩০০ মানুষ বাস করি। এ রাস্তাটি সরকারি হওয়া সত্বেও অবহেলিত হয়ে আছে। যে কারণে চলাচল করতে পারছিনা। ঘর বাড়ির চারপাশে এখন পানি। তাই রাস্তাটি করে দিলে ছাত্র-ছাত্রীসহ বাজারে যাতায়াত খুব সহজে করা যাবে।
মোতালেব মোল্লা বলেন, এ রাস্তা চেয়ারম্যান-মেম্বার দেখেনা। সারাবছর আমাদের কষ্ট করতে হয়। বর্ষার পানি ও শুষ্ক মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই কাদায় ভরে যায়। আর এ কারনে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে পারি না। আম্বরমিয়ার বাড়ি থেকে কবরস্থান পর্যন্ত রাস্তাটি এখন পানির নিচে চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে।
লতব্দী ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন খান বলেন, এ রাস্তার বিষয়ে কোন দরখাস্ত দেওয়া হয়নি। মাটির অভাবে রাস্তাটি করা হয়নি। তবে রাস্তাটি সরকারি হালট। রাস্তাটির পাশ কোন জায়গায় ২৪ ফুট,২২ ফুট আবার কোন জায়গায় তার থেকেও বেশি জায়গা রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এডিপির মাধ্যমে আমাদের কাছে রাস্তাটি চাইতে পারে। এছাড়া তারা আমাদের কাছে অনেকগুলো রাস্তা চেয়েছে এ রাস্তাটা রয়েছে কিনা তা এখন আমি বলতে পারছিনা। যদি আমাদের কাছে চেয়ে থাকে আমরা রাস্তাটি সরেজমিনে দেখে করে দেব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন