রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ঈদের দিন রাতের মধ্যেই মহানগরী এলাকার কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে। ঈদের পরদিন পরিচ্ছন্ন শহর পাবেন মহানগরবাসী। গতকাল রোববার দুপুরে নগর ভবনের সিটি হলরুমে কোরবানির পশু জবেহকরণ ও দ্রæত অপসারণ এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার রোধে ওয়ার্ড সচিব ও পরিচ্ছন্ন সুপারভাইজারদের সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র।
মেয়র বলেন, গতবার রাতের মধ্যেই কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এবারো রাতের মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে। ঈদের পরদিনই মহানগরবাসীকে পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দিতে চাই। এ কাজে মহানগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।
পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বাড়তি নজরদারি রাখতে হবে। মানুষকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করতে হবে। কোরবানির পশু জবেহ করার সময় এ কাজে নিয়োজিতদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কর্তৃক চার মাসব্যাপী নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এর ফলে ড্রেনের পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন হলে এর সুফল পাবেন নগরবাসী।
সভায় জানানো হয়, পরিচ্ছন্ন বিভাগের সকল (কেন্দ্রীয় ও ওয়ার্ড) পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীর ঈদের দিন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঈদের দিন কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। রাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সদস্য কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন