মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঝালকাঠিতে কোরবানির পশুরহাটে ক্রেতা কম

গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২০, ৪:০৪ পিএম

ঝালকাঠিতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অর্ধশতাধিক স্থানে বসেছে পশুরহাট। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর হাটের সংখ্যা কম। হাটে পর্যাপ্ত গরু উঠলেও ক্রেতা কম থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বেপারিরা। তবে পশুর দাম কম থাকায় খুশি ক্রেতারা।
জানা যায়, ঝালকাঠি জেলায় কোরবানির ঈদে ৪০ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। এর বেশিরভাগই আসে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে। এছাড়াও স্থানীয় খামারের দেশিয় পদ্ধতিতে পালন করা পশু বিক্রি হয় জেলার হাটগুলোতে। শোনা যাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতে এ বছর অনেকেই কোরবানি দিতে আগ্রহী না। তারপরেও পশুর হাটে থেমে নেই বেচাকেনা। গত বছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত গরু ও ছাগলের দাম কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। শেষের দিকে হাটগুলোতে বেচাকেনা আরো জমে উঠবে বলে আশা করছেন বেপারিরা।
এদিকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে জেলা প্রশাসন শহরের গুরুদম ও নলছিটির চায়মাঠের বড় দুটি হাট বন্ধ করে দিয়েছে। শহর কিংবা গ্রামে ছোট পরিসরে হাট বসানো হয়েছে। এতে বেচাকেনা কম হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ইজারাদাররা। করোনা পরিস্থিতিতে হাটগুলোতে প্রাণি সম্পদ বিভাগের নজরদারী রয়েছে, যারা হাটে যেতে আগ্রহী নয়, তাদের জন্য অনলাইনেও গরু কেনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোরবানির পশুরহাটে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে না পারলে ঈদের পরে এ জেলায় করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নলছিটির শিমুলতলা পশুরহাটে গরু কিনতে আসা মো. মামুন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম অনেক কম। করোনাভাইরাসের অনেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রামে আসতে পারছেন না। তাই বাজারে পশু থাকলেও ক্রেতা শূন্য। এজন্যই গরুর দামও কমেছে। আমরা যে গরু গত বছর এক লাখ টাকায় কিনেছে, তা এখন ৮০ হাজারে কিনতে পারবো।
রাজাপুরের বাঘরি হাটে গরু কিনতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, এখানে অনেক গরু ও ছাগল উঠেছে, দামও কম। আমরা একটি গরু পছন্দ করেছি, বিক্রেতা দাম চেয়েছে আড়াই লাখ টাকা। যদি আরেকটু কমে পাই তাইলে কিনবো। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর গরুপ্রতি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা কম দেখা যাচ্ছে।
গরু বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কয়েকটি বাজারে গরু নিয়ে গেলাম, কিন্তু ক্রেতারা দাম কম বলছেন। আমি ১০টি গরু বিক্রির জন্য ভারতীয় সীমান্তবর্তী হাট থেকে কিনে এনেছি। যে দামে কিনেছি, সেই দামও কেউ বলছে না। লাভের চিন্তা করছি না, এ বছর চালান নিয়ে ঘরে উঠতে পারলেই হয়।
নলছিটির শিমুলতলার হাট ইজারাদার মিজানুর রহমান বলেন, হাটে পর্যাপ্ত পশু রয়েছে। মানুষও আসছেন, কিন্তু কিনছেন না। কম দাম পেয়েও তারা শেষ দিনের অপেক্ষা করছেন। অনেকে আবার দূরে আছেন, তারা চাঁদ রাতের দিন আসবেন। তখন হয়তো বেচাকেনা ভাল হতে পারে। আর যদি বর্তমান অবস্থায় থেকে যায়, তাহলে ইজারার টাকাই উঠানো যাবে না।
ঝালকাঠি জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাহেব আলী বলেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে অনেক ক্রেতা হাটে যাচ্ছেন না। তবে আমরা অনলাইনে পশু বিক্রির ব্যবস্থা করেছি, কিন্তু এতে সারা কম পাচ্ছি। এখনকার বাজারে মানুষ শেষের দিকে পশু কেনেন, আশাকরি সবগুলো পশুই বিক্রি সম্ভব হবে। বিক্রেতাদের চিন্তার কোন কারণ নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন