শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শাজাহান খানের মেয়ের করোনা জালিয়াতির দায় নিলো ল্যাব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

রিজেন্ট হাসপাতাল আর জিকেজিই শুধু নয়; করোনা পরীক্ষায় দায়িত্বহীনতার নজীর স্থাপন করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার। হাসপাতালটির পরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেছেন, আমরা ভুল করে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খানকে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়েছি। গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভুলের দায় স্বীকার করে বলেন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের ভুলের কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা এটা ভুল মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য এটা জালিয়াতি এবং প্রতারণা। জিকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতলের অপরাধের চেয়ে এই অপরাধ কোনো অংশে কম নয়।
ঐশীর রিপোর্টের বিষয়ে পরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমরা প্রথমে কিছু সংখ্যক যাত্রীর ফলাফলের রিপোর্ট এবং রাত সাড়ে ৯টায় বাকি যাত্রীদের রিপোর্ট পাঠাই এমআইএস ইমিগ্রেশন এবং ডিএনসিসি’র ইমেইলে। যখন এই ডাটাগুলো আমাদের অপারেটররা এমআইএস এর সফটওয়্যারে এন্ট্রি দেওয়ার কাজ করে, প্রথম যাত্রার ইমেইলে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের কন্যা ঐশী খানের রিপোর্ট ছিল। সেটি ভুলক্রমে ফলাফল লেখা ছিল নেগেটিভ। ওই নেগেটিভ রিপোর্ট আমাদের কম্পিউটার থেকে তৈরি করা হয়। আমাদের একজন অফিসার সেটি স্বাক্ষর করেন এবং ইমেইলে পাঠানো হয়।
পরিচালক বলেন, প্রথমে যেটি যায় সেটি নেগেটিভ একটি রিপোর্ট যায়। দ্বিতীয় দফায় যাত্রীদের রিপোর্ট যখন আমরা সফটওয়্যারে এন্ট্রি দিতে যাবো, তখন সামগ্রিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দেখা যায় ওই রিপোর্ট আসলে নেগেটিভ না। সেটি পজিটিভ। তখন আমাদের সমন্বয়কারী সব রিপোর্টের প্রিন্ট কপি বের করে সব রিপোর্ট আমার স্বাক্ষর দিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবার প্রস্তুত করেন এবং আগের মতো ইমেইলে পাঠিয়ে দেন। তখন এই ডাটা আমরা সফটওয়্যারে এন্ট্রি করে দেই। সেখানে ঐশী খানের ফলাফল পজিটিভ হিসেবেই এন্ট্রি করা হয়। এমআইএস থেকে অটো জেনারেট হয়ে রিপোর্ট ডিএনসিসি বুথে যায়। কিন্তু সেদিন যেহেতু আমাদের এখানে একটি সমস্যা ছিল, তাই আমরা রিপোর্টগুলো সরাসরি এমআইএস এ পাঠাতে পারিনি। সরাসরি ইমেইলে পাঠাই। কিন্তু ডাটা এন্ট্রির সময়ে সফটওয়্যারে পজিটিভ করাই ছিল। তিনি (ঐশী খান) নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েই বিমানবন্দরে যান। আমরা যে ইমেইল দিয়েছিলাম তার ভিত্তিতেই ইমিগ্রেশন বলে উনি পজিটিভ। ঐশী খান যেই রিপোর্ট হাতে করে নিয়ে গিয়েছিলেন এই রিপোর্ট আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ভুল করে করা হয়েছিল। যেটি আমরা সংশোধন করেছি পরবর্তী ইমেইলের মাধ্যমে।
দায় স্বীকার করে পরিচালক আরও বলেন, এখানেই ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের ভুলের জন্য ওনার কাছে নেগেটিভ রিপোর্টটি যায়। যিনি ভুলটি করেছেন তিনি সাময়িক সময়ের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত। তার বিরুদ্ধে আমরা শিগগিরই ব্যবস্থা নেবো।
উল্লেখ্য, রবিবার করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে লন্ডনে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গেলে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খানকে ভুয়া করোনা রিপোর্টের দায়ে ফেরত পাটান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Sumon ST HN ২৮ জুলাই, ২০২০, ১:০১ এএম says : 0
উপায় নেই নাইলে খবর আছে না?
Total Reply(0)
Lotus Lotus ২৮ জুলাই, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
তাইলে ঐ ল্যাব সিলগালা করে বন্দ করে দেওয়া হোক
Total Reply(0)
Sallahuddin Faruk ২৮ জুলাই, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
চমৎকার শাজাহান এর মেয়ে বলে কথা।
Total Reply(0)
Lokman Hossan ২৮ জুলাই, ২০২০, ১:০৩ এএম says : 0
আজকে যদি সাধরন মানুষের হতো এই সমস্যাটা। তাহলে তোমরা কি বলতে।
Total Reply(0)
Angor Miah ২৮ জুলাই, ২০২০, ১:০৩ এএম says : 0
এখানে শুধু ভুল নয় জটিল কিছু আছে, তদন্তে বেরিয়ে আসতে পারে আসল রহস্য।
Total Reply(0)
Abdul Majid ২৮ জুলাই, ২০২০, ১:০৩ এএম says : 0
এ ল্যাব ঠেলায় দোষ কবুল করেছে,, তাকে দুই শত কোটি টাকা জরি মানা করা হোক
Total Reply(0)
M Rahman ২৮ জুলাই, ২০২০, ৫:০২ এএম says : 0
Coraption Big amount paid to Say it was mistake
Total Reply(0)
Farid Hossain ২৮ জুলাই, ২০২০, ৮:৫৪ এএম says : 0
This "National Instituete of Laboratory medicine and Refferal Cnetre" should keep under punishment. We hope the law and enforcement department will take action immediately against them.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন