বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চীনের প্রভাব রুখতে ভারতের কৌশল

১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ বাংলাদেশে হস্তান্তর

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পদ্মাসেতুসহ দেশের অধিকাংশ মেগা প্রকল্পে চীনের সহায়তা রয়েছে। বাংলাদেশে চীনের প্রভাব ঠেকাতে নতুন কৌশল নিয়েছে ভারত। দেশটি উপহার হিসেবে ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ বাংলাদেশকে দিয়েছে। গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে লোকোমোটিভগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। দর্শনা-গেদে রেল সীমান্তে এই ১০টি লোকোমোটিভ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।

এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর এবং রেল, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভের বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন লোকোমোটিভগুলো গ্রহণ করেন। এতে অংশ গ্রহণ করেন ভারতের রেলপথ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অঙ্গদি সুরেশ।

২০১৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে করা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি পূরণ বলে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে । ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে লোকোমোটিভগুলোক যথাযথভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। লোকোমোটিভগুলো বাংলাদেশে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. জয়শংকর পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে রচিত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার কালোত্তীর্ণ সম্পর্কের গভীরতার কথা তুলে ধরেন।

এদিকে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়, ঢাকার সঙ্গে রেল সহযোগিতা বাড়াচ্ছে ভারত। বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে রেল সহযোগিতাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে ভারত। এরই মধ্যে বাংলাদেশে রেল কানেকটিভিটিসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে উপস্থিতি বৃদ্ধি করছে চীন। এর প্রেক্ষাপটে সরকারি সূত্রগুলো বলেছেন, ২০১৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, তা পূরণ করতে ভারত এসব লোকোমোটিভ হস্তান্তর করছে। অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে আরো বলা হয়, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে বাংলাদেশের সঙ্গে কিছু পুরনো রেলসংযোগ পুনঃস্থাপন করে এবং রেলওয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে রেল সংযোগ বৃদ্ধির জন্য যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ ও ভারত। একটি সূত্র বলেছেন, রেলখাতের মোট ১৭টি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে ভারত লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) বা ঋণ সহায়তা দিয়েছে। তাতে ২৪৪ কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। বার্ষিক শতকরা মাত্র এক ভাগ সুদে এসব ঋণ বাংলাদেশকে প্রস্তাব করেছে ভারত। ৫ বছর স্থগিত থাকার পর এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে ২০ বছরে। ভারতের মতে, রেলওয়ের ওই ১৭টি প্রকল্পের মধ্যে ৯টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে লোকোমোটিভ, ফ্লাট ওয়াগন সরবরাহ, সেতু নির্মাণ ও সিগন্যাল সরঞ্জাম স্থাপন।

ওদিকে বিআরআই-এর উদ্যোগের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইনের নেটওয়ার্ক বিস্তৃতকরণে কাজ করছে চীন। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চারটি রেল সংযোগ রয়েছে। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (16)
MD S A Ronnie ২৮ জুলাই, ২০২০, ১২:৪৪ এএম says : 0
সমস্যা কি বাংলাদেশ এখন পাওয়ার টাইম এখনই সময় তিস্তা চুক্তি করা বাংলাদেশের
Total Reply(0)
Shariful Islam ২৮ জুলাই, ২০২০, ১২:৪৪ এএম says : 2
বাংলা দেশের টাকা কিনা
Total Reply(0)
কায়সার মুহম্মদ ফাহাদ ২৮ জুলাই, ২০২০, ১২:৪৫ এএম says : 0
ভারত এমন একটা দেশ এক টাকা উপহার দিলে পাঁচটা টাকা চিপে বের করে নেয়।
Total Reply(0)
জাহিদ খান ২৮ জুলাই, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
চীনের যে পররাষ্ট্র নীতি তাতে অন্যদের প্রভাব রুখার মতো সক্ষমতা তাদের নেই। পৃথিবীতে এমন স্বার্থপর রাষ্ট্র দ্বিতীয় আরেকটা পাওয়া যাবে না।
Total Reply(0)
হিমেল ২৮ জুলাই, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
হিংসুটে ভারতের আর কোনো কৌশল কাজে লাগবে না। এখন ওদেরকে একঘরে করে দেয়ার সময়।
Total Reply(0)
salman ২৮ জুলাই, ২০২০, ৫:৩৬ এএম says : 0
Amad'er oder ai KHORATI'R dorkar nai. Amader CHINA k beshi dorkar. Ai Soto lok ra Jokhon Bepod kete jabay, ai gula abar Ferot chaibay. Akbar Bonnai HELI COOPTER deyeselo(Gift) ar por abar oita FEROT neyeselo.
Total Reply(0)
Hafizur Rahman ২৮ জুলাই, ২০২০, ৭:৩৬ এএম says : 0
Jodi aamader k loan er taka theke engine Dea take ta hole upohar holo ki bhabe?
Total Reply(0)
হাফিজুব রহমান ২৮ জুলাই, ২০২০, ৭:৫০ এএম says : 0
তিস্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করুন যদি দিতেই চান। আমাদের দেশের ঋণের টাকায় কেনা এই ইঞ্জিন উপহার হলো কি করে?
Total Reply(0)
শামসুজ্জামান চৌধুরী ২৮ জুলাই, ২০২০, ৯:৫০ এএম says : 0
আমাদের সরকারের উচিত আজ থেকে ৫০/১০০ বছরের কথা চিন্তা করে কুটনীতিক কর্ম নির্ধারন করা।সব দেশ তাদের সার্থ দেখবে।আমাদেরও গভীর চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভুল করলে তার ফল পরের জেনারেশনকে ভোগ করতে হবে। আশা করি দেশ আগে, দল পরে হবে।
Total Reply(0)
Goutam ২৮ জুলাই, ২০২০, ১০:২১ এএম says : 1
বার্ষিক শতকরা মাত্র এক ভাগ সুদে এসব ঋণ বাংলাদেশকে প্রস্তাব করেছে ভারত। তাও আবার ৫ বছর স্থগিত থাকার পর এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে ২০ বছরে। সরকার যদি আমাদের (৩য়/৪র্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারী) গৃহনির্মাণ ঋণের সুদটা এ রকম করত তাহলে আমার মতো গৃহহীন একটা ঘর করার স্বপ্ন দেখতে পারতো।
Total Reply(0)
habib ২৮ জুলাই, ২০২০, ১০:৫৬ এএম says : 0
Bangladesh must looking for China investment in the country. India is our common enemy since 1971 until present. Bangladesh current leader fail to prove that they are working with India not for Bangladeshi peoples.
Total Reply(0)
Nannu chowhan ২৮ জুলাই, ২০২০, ১২:৩০ পিএম says : 0
Eakhon ar opai nai nepal gelo eakhon ar ase bd,eakhon bd jeno jai jai tai tori ghori kore relwayer jonno eaigoli dilo,janina abar koy mash por shoro hobe meramoter kaj ,dada bole kotha! Eakhon amader pororashtro montronaloy eai shujoge tista chukti o nepale vutaner pothe bangldesh varot theke transit shubidhata nia bhutan o nepaler shathe amader banijjor proshar ghotanor shujogta nei na keno ?Ebong dadader kaner kase gia bolena keno ?doya kore shimnete ar amader nagorikder hotta korbenna noyle amra apnader bishorjon debo..
Total Reply(0)
jack ali ২৮ জুলাই, ২০২০, ১:০৭ পিএম says : 0
We must cancel all type of relationship with India.
Total Reply(0)
শান্ত ২৯ জুলাই, ২০২০, ৫:০০ পিএম says : 0
সিমান্তে হত্যা বন্ধ করুক, ভারতে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ করুক, তাহলেই সম্পক ভালো হবে
Total Reply(0)
Md Towhidur Rahman ৩০ জুলাই, ২০২০, ১০:২৪ পিএম says : 0
এত দিন দেও নাই কেন এখন দক্ষিন এশিয়ায় ভারত বন্ধুহীন হয়ে পড়ছে বলে বাংলাদেশকে কাছে টানতে চাইছে আবার যখন তাদের সময় আসবে তখন এর দশগুন আদায় করে নেবে
Total Reply(0)
lol ৩ আগস্ট, ২০২০, ২:২১ পিএম says : 0
EUROPE PERMANENT HAS BEEN WORKING TO END CHINESE PRODUCTS FROM ALL COUNTRIES SINCE 2010S. CHINA DON'T KNOW YET.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন