তুরস্কের আয়া সোফিয়ার মতই বিশ্বের আরেক নিদর্শন স্পেনের কর্ডোভা মসজিদ । ইতিহাস থেকে জানা যায়, ৭৮৪ সালের দিকে নির্মাণ কাজ শেষ হয় এই স্থাপত্যটির । ১২৩৬ খ্রিস্টাব্দে মুসলমানদের পরাজিত করে, কর্ডোভা মসজিদকে গির্জায় রূপান্তর করেন তৎকালীন রাজা তৃতীয় ফার্দিনান্দ ও রানী ইসাবেলা । এরপর দীর্ঘ ৭'শ বছরের বেশি সময় ধরে সেখানে আজান ও নামাজ নিষিদ্ধ।
সারা বিশ্বের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন ও অপরূপ সৌন্দর্যের প্রতীক স্পেনের কর্ডোভা মসজিদ । বাইরে এবং ভেতরে এর কারুকাজ যে কারোরই নজর কাড়ে । দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদে ব্যবহার করা হয়েছে মার্বেলসহ মূল্যবান পাথর আর তার সুনিপুন ও নিখুঁত কারুকাজ যে কাউকে মুগ্ধ করবে ।
স্পেনের তৎকালীন খলিফা আব্দুর রহমানের শাসনামলে ৭৮৪ সালে নির্মিত হয় ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি । নির্মাণের পাঁচশ বছরের বেশি সময় এখানে নামাজ আদায় করেন মুসলমানরা । ইসলামি শিক্ষা ও সালিশ কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার হতো কর্ডোভা । ১২৩৬ সালে রাজা তৃতীয় ফার্দিনান্দ ও রানী ইসাবেলা মুসলমানদের বিতাড়িত করে স্পেন দখলে নিলে, কর্ডোভা মসজিদ গির্জায় রূপান্তর করা হয় । আর তখন থেকেই একে বলা হয় দ্য মস্ক ক্যাথেড্রাল অব কর্ডোভা ।
কর্ডোভায় ঢুকতেই চোখে পড়ে যিশুর ক্রুশবিদ্ধ ভাস্কর্য । দেয়ালে স্থাপন করা হয়েছে খ্রিস্টধর্মীয় চিত্র ও ভাস্কর্য । ১৯৮৪ সালে ঐতিহাসিক এ স্থাপনাটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃত দেয় ইউনেস্কো । দীর্ঘ ৭'শত বছর মুসলিম সভ্যতার অনন্য এই নিদর্শনটি গির্জা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন