বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

২৭ দিনেই ২২৪ কোটি ডলার রেমিটেন্স

রিজার্ভ ৩৭.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাস মহামারির চলমান সংকটের মধ্যেও প্রবাসী আয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি মাসের মাত্র ২৭ দিনেই ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন বা ২২৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক অতীতের যে কোনো মাসের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো মাসেই এত বেশি রেমিটেন্স দেশে আসেনি। এর আগে এক মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছিল গত জুন মাসে ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এদিকে মঙ্গলবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭ দশমিক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার রেমিটেন্সের যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ১৬ দিনে (১ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই) ১৩৬ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ২৩ জুলাই শেষে (১ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই) সেই রেমিটেন্স ১৯৬ কোটি ১২ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২৩ জুলাই শেষে (১ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই) সেই রেমিটেন্স ২২৪ কোটি ২ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। মাসের আরও ৪ দিন বাকি। ঈদের আগে কম করে হলেও আরও ৩০ থেকে ৩৫ কোটি ডলার রেমিটেন্স আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
পাশাপাশি মঙ্গলবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭ দশমিক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে যা এযাবতকালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ। গত ৩০ জুন ২০২০ তারিখে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৬ দশমিক ০১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে যেটি ছিল সর্বোচ্চ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেটি পৌছেছে ৩৭ দশমিক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ডে। গত ৩০ জুন বাংলাদেশের বৈদিমিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৭১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ১ বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান মনসুর বলেন, সামনের মাসগুলোতে কী হবে, সেটাই চিন্তার বিষয়। কোরবানির পর অগাস্ট মাস থেকেই রেমিটেন্স কমে যাবে। এই মহামারীকালে পরিবার-পরিজনের প্রয়োজনে সর্বশেষ জমানো টাকা দেশে পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। অনেকে আবার দেশে ফিরে আসার চিন্তাভাবনা করছে; তাই যা কিছু আছে সব আগেই দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এ সব কারণেই রেমিটেন্স বাড়ছে। তিনি বলেন, বিদেশে অনেকেরই এখন কাজ নেই। অনেকেই দেশে চলে এসেছেন। নতুন করে কেউ কোনো দেশে যাচ্ছেন না। যারা বিভিন্ন দেশে আছেন তাদের একটি অংশ যদি দেশে চলে আসে, তাহলে ভবিষ্যতে রেমিটেন্স আসবে কোত্থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। ১ অগাস্ট ঈদ উদযাপিত হবে। তার আগ পর্যন্ত অর্থাৎ জুলাই মাসের পুরোটা সময় ধরে রেমিটেন্সের এই উল্লম্ফন অব্যাহত থাকবে। জুলাই মাসে মোট রেমিটেন্সের অঙ্ক ২ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকবে বলে আশা করছেন সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ (১৮.২০ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা। এই অঙ্ক আগের ২০১৮- ১৯ অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন রেমিটেন্স এসেছিল। গত তিন মাসে (এপ্রিল-জুন) এই দাতা সংস্থাগুলোর প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ-সহায়তা যোগ হয়েছে রিজার্ভে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
তুষার ২৯ জুলাই, ২০২০, ১:৫৮ এএম says : 0
খুব ভালো খবর
Total Reply(0)
দিদারুল ইসলাম ২৯ জুলাই, ২০২০, ১:৫৯ এএম says : 0
এতে খুব বেশি খুশি হওয়ার কিছু নাই। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ
Total Reply(0)
জিয়াউল ইসলাম ২৯ জুলাই, ২০২০, ২:০০ এএম says : 0
প্রবাসীদের ব্যাপারে সরকারকে আরও অনেক বেশি যত্নশীল হতে হবে
Total Reply(0)
মাসুম ২৯ জুলাই, ২০২০, ২:০২ এএম says : 0
এই ক্রেডিটটা সম্পূর্ণ প্রবাসীদের। তারা নিরলসভাবে কাজ করে দেশের টাকা পাঠান
Total Reply(0)
Bahar Uddin ২৯ জুলাই, ২০২০, ২:৪৯ এএম says : 0
দেশের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে
Total Reply(0)
Ramiz U Khan ২৯ জুলাই, ২০২০, ৯:১২ পিএম says : 0
খুবই ভালো খবর। তবে আগামীতে রেমিট্যান্স কম পাঠানোর সম্ভবনা। তবে প্রবাসীদের দেশে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন