নেছারাবাদে চিংড়ির মধ্যে ম্যাজিক বল ঢুকিয়ে ওজন বৃদ্ধি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করছে বাজারের মনীষা ফিসিং হাউজ। ওই আড়ৎ ফরমালিন দেয়া পঁচা বার্মিজ রুই, চিংড়ি, কাতল সরবরাহ করে এ অভিযোগ ক্রেতাদের। আর এ কারণে বছরে দুই একবার জরিমানাও গুনতে হয় তাদের। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও মনীষা মাছের আড়তের স্বপন নামে এক ব্যবসায়ী গুনেছেন ১০ হাজার টাকা জরিমানা। গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. মোশারেফ হোসেন ওই জরিমানা করেন। এসময় সুযোগ বুঝে আড়ৎ মালিক উত্তম কুমার মন্ডল দৌড়ে পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, গতকাল স্বপনের কাছ থেকে স্থানীয় এক ক্রেতা ৩ কেজি চিংড়ি কিনে বাড়ি নিয়ে যান। কাটার সময় প্রতিটি মাছের ফুলকার সাথে পানি ভর্তি ওইসব ম্যাজিক বল দেখতে পান। তিনি ওই মাছ নিয়ে আড়তে ফিরে গিয়ে ওখানে থাকা মাছের মধ্যেও একই বল দেখতে পান। এসময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজকে খবর দিলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে মাছগুলো পরীক্ষা করে প্রতারণার প্রমাণ পান। বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আড়তের স্বপনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একইসাথে আড়তের মাছ ধ্বংস করে মাটিতে পুতে ফেলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন