রিয়াজুল ইসলাম (২৮)। থানায় পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। হঠাৎ এক বিস্ফোরণে আহত হয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণের আঘাতে তার বাম হাত ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়ায় কব্জিও কেটে ফেলেছেন চিকিৎসকরা।
সূত্র জানায়, রিয়াজুল ইসলাম মিরপুর পল্লবী এলাকায় বসবাস করেন এবং পল্লবী থানার ওসি (তদন্ত) ইমরান ইসলামের সোর্স হিসেবে বহু দিন ধরে কাজ করেন। সেই সুবাধে তিনি নিয়মিত থানায় অবস্থান করতেন। এ ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্লবী থানায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করে একটি বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় তার বাম হাত। শেষ পর্যন্ত হাতের কব্জিও কেটে ফেলেন চিকিৎসকরা।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে কালশী এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। এক পর্যায়ে গ্রেফতার ব্যক্তিদের তিনজন পুলিশকে জানায়, ওই ওজন মাপার যন্ত্রে ‘বোমা রয়েছে’। এর পর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলকে খবর দেয়া হলে তারা এসে ডিউটি অফিসারের কক্ষে ওই ওজন মাপার মেশিন পরীক্ষা করেন। পরে আরেকটি বিশেষজ্ঞ দলকে ডাকা হয়। তবে তারা পৌঁছানোর আগেই বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় পল্লবী থানার ওসি (তদন্ত) ইমরান (৪৮), এসআই সজীব (৩০), পিএসআই অঙ্কুশ (২৮), পিএসআই রুমি (২৮) ও রিয়াজুল ইসলাম (২৮) আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে রিয়াজের দুই হাত ও পেটে বিস্ফোরণের আঘাত লাগে। পরে গতকাল বিকেলেই রিয়াজের হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, রিয়াজের অবস্থা ক্রিটিক্যাল। বাঁ হাতের কব্জি ক্ষতবিক্ষত ছিল। অস্ত্রোপচারের সময় কব্জিটি কেটে বাদ দিতে হয়েছে। এছাড়া তার ডান হাতের একটি আঙ্গুলও কেটে বাদ দেয়া হয়েছে। তার পেটেও আঘাত লেগেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন