শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

উপসর্গে মৃত ৯

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনা উপসর্গ সর্দি, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সারা দেশে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এদের কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ছিল কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
যশোর ব্যুরো জানায়, যশোরে বুধবার নতুন করে আরো ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। যশোরের সিভিল সার্জন অফিস জানায়, যবিপ্রবির ল্যাবে ১৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৪ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যশোর ২৫০ বেড হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৩৫ জনে। এ বিভাগে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৬৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৪৮২ জন। গতকাল দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য জানান, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ১০৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪ জন, নওগাঁয় একজন, নাটোরে ৩৪ জন, জয়পুরহাটে ৪১ জন, বগুড়ায় ৬১ জন, সিরাজগঞ্জে ৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই দিনে পাবনায় কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। একই সময় সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ২৯০ জন। এছাড়াও এ দিনে নওগাঁয় একজন ও বগুড়ায় একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, রাজশাহী বিভাগে আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ৪ হাজার ৬৮৭ জন। এছাড়াও রাজশাহী জেলায় ২ হাজার ৯৭৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪২০ জন, নওগাঁয় ৯২৩ জন, নাটোরে ৪৩৯ জন, জয়পুরহাটে ৭০৮ জন, সিরাজগঞ্জে ১ হাজার ৩৬১ জন ও পাবনায় ৮২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলার মৃতের সংখ্যা ১৬৭ জন। এর মধ্যে রাজশাহীতে ২৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ জন, নওগাঁয় ১৪ জন, নাটোরে একজন, জয়পুরহাটে দুইজন, বগুড়ায় ১০২ জন, সিরাজগঞ্জে ১১ জন ও পাবনায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
এ পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৬ হাজার ৪৮২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে রাজশাহীর ১২১৯, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৯৪ জন, নওগাঁয় ৭০৪ জন, নাটোরে ২১২ জন, জয়পুরহাট ২০৬ জন, বগুড়ায় ৩ হাজার ১০৪ জন, সিরাজগঞ্জ ৪৪০ জন ও পাবনায় ৪০৩ জন।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় এক-পঞ্চমাংশ হ্রাস পেলেও এসময়ে আরো ৪ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল ও পিরোজপুরের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়েই রয়ে গেছে। এসময়ে দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে ৮০ জন আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও বরিশাল, ভোলা ও পিরোজপুরে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আগেরদিন আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ১০২। মৃত্যু হয়েছিল দুজনের। বরিশালে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৩০ থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ জনে বৃদ্ধি পেয়েছে। মারা গেছেন দু জন। জেলাটিতে আক্রান্তের এ সংখ্যা ২২ জুলাইয়ের পরে সর্বোচ্চ। তবে পটুয়াখালী, ভোলা,বরগুনা ও ঝালকাঠীর পরিস্থতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আর স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবনুযায়ী এসময়ে নতুন ১১৫ জনসহ বিভাগে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ হাজার ৪২৯ জন।
বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ-এর পিসিআর ল্যাবে গত মঙ্গলবার সাম্প্রতিককালের সর্বোচ্চ ৩৫৪টি নমুনা পরিক্ষায় ৬৯ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এসময়ে ভোলা সদর হাসপাতালে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে আরো ২৫ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৬ জনের করেনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। তবে করোনা পরিক্ষা ও শনাক্তের সঠিক সংখ্যা নির্ণয়ে অবিলম্বে পটুয়াখালীতে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের তাগিদ দিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞগন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলে নতুন শনাক্ত ৮০ জন কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে ৩৯ জনই বরিশালে । আর এর মধ্যে মহানগরীতেই আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৫। গত ২২ জুলাই জেলায় ৪৪ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পরে বুধবারেই সংখ্যাটা ৩৯-এ উন্নীত হল। ফলে জেলায় মোট আক্রান্তর সংখ্যাটা ২ হাজার ৩৯৫-এ উন্নীত হয়েছে। গতকাল বরিশাল সদর ও আগৈলঝাড়াতে আরো দুজনের মৃত্যুর ফলে মোট সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে। গোটা দক্ষিণাঞ্চলে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় বরিশালই এখনো শীর্ষে।
পিরোজপুরেও বুধবারের হিসেবে আক্রান্তর সংখ্যা আগের দিনের মত ২১ রয়ে গেছে। তবে সদর হাসপাতালে নাজিরপুর উপজেলার একজন মারা গেছেন। ফলে জেলাটিতে সরকারি হিসবে ৬৬২ জন আক্রান্তের মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হল। অপরদিকে পটুয়াখালীতে আগের দিনের ১৪ জনের স্থলে বুধবার আক্রান্তর সংখ্যা ৭ জনে হ্রাস পেলেও মোট সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে আরো ৩ যোগ হয়েছে। জেলাটিতে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। ভোলাতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৫ থেকে ৪ জনে হ্রাস পেয়েছে। তবে জেলাটির লালমোহনে ৩৮ বছর বয়স্কা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। জেলাটিতে মোট ৫০৪ জন আক্রান্তের মধ্যে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬জনের।
বরগুনাতেও আক্রান্তর সংখ্যা আগের দিনের ১০ থেকে ৮ জনে হ্রাস পেলেও জেলাটিতে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুসহ মোট আক্রান্ত ৬১৩। ঝালকাঠীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১জন নতুন আক্রান্তের কথা বলা হয়েছে। যা আগের দিন ছিল ২২। জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৪৫৯ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ১২ জন।
এদিকে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন ৯ জনের মধ্যে নমুনা পরিক্ষার ফলাফলে দুজনের ইতোমধ্যে নেগেটিভ এসেছে। অপরদিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে বুধবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘণ্টায় আরো ৯ জন নতুন রোগী ভর্তি করা হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬ জন। এসময়ে হাসপাতালটির করোনা ওয়ার্ডে নতুন ৪ জন রোগী ভর্তি হলেও সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন দুজন। বর্তমানে হাসপাতালটির এ দুটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৬৬ জনের মধ্যে করোনা ওয়ার্ডেই রয়েছেন ৩২জন। এ দুটি ওয়ার্ডে সর্বমোট ভর্তিকৃত ১ হাজার ১৭২ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে ৯৪১ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১৬৪ জনের।
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোরে তিনি মারা গেছেন। মৃতের নাম আকবর আলী (৬০)। তিনি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার পানিয়া গ্রামের আহছান আলীর ছেলে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. মানস কুমার জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতকাল বিকেলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলশেনে ভর্তি হয়েছিলেন আকবর আলী। মারা যাওয়ার পরপরই তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির (বারের) সভাপতি একেএম মোসাদ্দেক ফেরদৌসীসহ আরো জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত ৩শ’ ছাড়িয়ে মোট ৩শ ৮ জন আক্রান্ত হলো। ২৮ জুলাই মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন করোনা ফোকালপার্সন ডা. মোবারক হোসেন। এসময় তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় আটজন এবং নকলায় একজন রয়েছেন। মোট ৫৬টি নমুনা পরীক্ষায় ওই নয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭১ জন। মৃত্যু হয়েছে চারজনের।
বর্তমানে ৩৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে কেউ জেলা সদর হাসপাতাল বা কেউ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত জেলা থেকে করোনার মোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে চার হাজার ৪২১টি। ফলাফল পাওয়া গেছে চার হাজার ৩০৯টি। অন্যদিকে অপেক্ষায় রয়েছে ১১২টি নমুনার ফলাফল।
করোনা শনাক্ত হওয়ার পর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোসাদ্দেক ফেরদৌসী জানান, দুইদিন আগে হঠাৎ জ্বর আসে। পরে প্যারাসিটামল খাওয়ার পর সুস্থ হয়ে যান। এর কয়েকদিন পর আবারো তার জ্বর হওয়ায় ২৬ জুলাই রোববার নমুনা পরীক্ষা করতে দেন। মঙ্গলবার প্রাপ্ত ফলাফলে করোনা শনাক্ত হয়। জ্বর ছাড়া আর কোনো উপসর্গ নেই বলে জানান তিনি।
পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা জানান, মহামারী করোনাভাইরাসে এবার আক্রান্ত হয়েছেন সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন। গত মঙ্গলবার রাতে সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান এ তথ্য জানান। একই দিনে আরো ১৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৭ জনে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজসহ স্বাস্থ্য ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছেন। গতকাল সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ঢাকা থেকে প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে নতুন আক্রান্ত ৩৪ জনের তালিকায় তাদের নাম রয়েছে। তবে সবাই সুস্থ রয়েছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট হাফিজুর রহমান জানান, ১৯ জুলাই জেলা থেকে প্রেরিত করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল গত মঙ্গলবার রাতে পাওয়া যায়। প্রাপ্ত ফলাফলে ৩৪ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। করোনা পজিটিভের তালিকায় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে রয়েছেন নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ, সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান ও জেলা পুলিশের নাটোর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাঁর বাড়ির চার সদস্যসহ আক্রান্ত হয়েছেন।
বুধবার পর্যন্ত নাটোর জেলায় কোভিড-১৯ প্রমাণিত মোট ৪৩৯ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২১২ জন। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ২২৭ জন। আইসোলেশন থেকে ১৮ জন ছাড়পত্র পাওয়ার পরে বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৩৪ জন। হাসপাতালে ভর্ত্তি আছেন মোট ১৮ জন বলে জানিয়েছেন নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোঃ আনছারুল হক। জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ অনুসরণ করে আজ থেকে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকছি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোন উপসর্গ শরীরে নেই। নাটোরের মানুষকে নিরাপদে রাখতে আগের মতই প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মাগুরা থেকে, স্টাফ রিপোর্টার জানান, মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম সহ নতুন করে আরো ২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার মাগুরা সিভিল সার্জন ডা: প্রদিপ কুমার সাহা জেলা প্রশাসকের করোনা পজেটিভ ফলাফল এসেছে বলে জানান। প্রাপ্ত ফলাফলে জেলা প্রশাসক সহ বুধবার ২৪ জন করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে বলে তিনি জানান ।এর মধ্যে মাগুরা সদরে ১৮ জন, শ্রীপুর উপজেলায় ৩ জন ও শালিথা উপজেলায় ৩ জন রয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২৪ জন। এই নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ৫ হাজার ৮৬৩ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত মারা গেছেন ১২৫ জন। গতকাল সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এই তথ্য জানা যায়। নতুন করে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৮ জন, সদরে ৬ জন, বন্দরে ১ জন, আড়াইহাজারে ১ জন, সোনারগাঁয়ে ৫ ও রূপগঞ্জে ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মারা গেছেন ৬৭ জন ও আক্রান্ত ২ হাজার ৩৮ জন। অন্যদিকে সদর উপজেলায় মারা গেছেন ২৩ জন ও আক্রান্ত ১ হাজার ৩৬৪ জন। বন্দর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৪১ ও মারা গেছেন ৩ জন। এছাড়া আড়াইহাজারে আক্রান্ত ৫৫১ ও মারা গেছেন ৪ জন, সোনারগাঁয়ে আক্রান্ত ৫১৪ ও মারা গেছেন ১৮ জন এবং রূপগঞ্জে মারা গেছেন ১০ জন ও ১ হাজার ১৫৫ জন আক্রান্ত। জেলায় এই পর্যন্ত মোট ৩১ হাজার ৬৯৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২১৯ জনের।
করোনা আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন মোট ৫ হাজার ৪৯৫ জন। তার মধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১ হাজার ৮৮২ জন, সদর উপজেলার ১ হাজার ২৮৯ জন, রূপগঞ্জের ১ হাজার ১০৫ জন ও আড়াইহাজারের ৫৩৪ জন, বন্দরের ২১৪ ও সোনারগাঁয়ের ৪৭১ জন।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, নওগাঁ’র ডেপুটি সিভিলসার্জন ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ জানিয়েছেন জেলার ধামইরহাট উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ জন-এ। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রানীনগর উপজেলার এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ৯২৩ জন-এ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯ জন এবং এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ৭০৪ জন।
গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, গোপালগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত ১ হাজার ৫ শ’ ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৩৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০৭৬ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪২৭ জন । গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়ায় মারা গেছেন ২৮ জন। মুকসুদপুরে আতœহত্যা করেছে ১ করোনা রোগী।
বুধবার সকালে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানান।
কুমিল্লা : গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জন পুরুষ ও তিন জন নারী। এ পর্যন্ত কুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২৭৫ জন। গতকাল কুমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাজেদা খাতুন জানান, মৃত ব্যক্তিরা হলেন, কুমিল্লার সদর উপজেলার তালতলা এলাকার জুলফিকার আলী টিটু (৪৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ফুলমিয়া (৬৫), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আতন্নেচ্ছা (৭৭), দেবিদ্বার উপজেলার শাহানারা বেগম (৫৫), দেবিদ্বারের কাদিরপুর এলাকার শাহাজাহান (৫৫) ও কুমিল্লার ক্যান্টেনমেন্ট এলাকার তাসলিমা (৪০)।
পটুয়াখালী : পটুয়াখালীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে পটুয়াখালীর আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে গৌতম দাস (৬২) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গতকাল ভোর রাতে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ল²ীপুর : করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ল²ীপুরে আমির হোসেন (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তারসহ ৩টি বাড়ি লকডাউন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আমির হোসেন সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন