বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রিমান্ড শেষে কারাগারে এএসআই আসাদুজ্জামান

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২০, ১২:০৪ এএম

এএসআই আসাদুজ্জামানের ট্রাংকে ২৪টি গুলি পাওয়া যাওয়ার ঘটনায় রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গতকাল বুধবার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার জানান, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ২৩ জুলাই আসাদুজ্জামানকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। অস্ত্র আইনে করা মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য ১০দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল তার ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শাহবাগ থানার ওসি মো. আবুল হোসেন জানান, আসাদুজ্জামান বর্তমানে ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিমে এএসআই হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আসামির রিমান্ড আবেদন থেকে জানা যায়, ২১ জুলাই বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় প্রেসিডেন্টের প্রটোকল ডিউটির সময় শাহবাগ থানার পুলিশ গণিরোডের পুলিশ প্রটেকশন বিভাগের এটিএম বুথের পেছনে একটি ট্রাঙ্ক দেখতে পায়। ট্রাঙ্কের নিচের অংশ জীর্ণশীর্ণ হওয়ায় কিছু অংশ ভেঙে পড়লে ট্রাংক থেকে সাতটি শর্টগানের কার্তুজ পড়ে যায়। এরপর শাহবাগ থানার পুলিশ ট্রাংকটি তল্লাশি করে আরও ১৭টিসহ মোট ২৪টি কার্তুজ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে ট্রাঙ্কটির মালিককে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে বুধবার ২২ জুলাই আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, ২০১৩ সালে তিনি মিরপুর পিওএম উত্তরে কর্মরত ছিলেন। সে বছর মে মাসে হেফাজত ইসলামের মিছিল চলা অবস্থায় মতিঝিল এলাকায় ডিউটির করার সময় তার কাছে থাকা অস্ত্র-গুলি থেকে কয়েক রাউন্ড ফায়ার করেন। নিয়মানুসারে ডিউটি শেষে পিওএম অস্ত্রাগারে অবশিষ্ট গুলি জমা দেয়ার কথা থাকলেও, আন্দোলনের সময় গুলিগুলো শেষ হয়েছে বলে জমা না দিয়ে ব্যক্তিগত ট্রাংকে কার্তুজগুলো রেখে দেন। ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি হলে তিনি তার ট্রাঙ্ক-বোর্ডিংসহ আব্দুল গণি রোডের পিসিআরের ২ নম্বর ভবনের ষষ্ঠ তলায় স্থানান্তর হন। কিন্তু এত দিনেও তিনি গুলিগুলো অন্য কোথাও সরাননি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Prince Mahamud ৩০ জুলাই, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 0
এ এস আই নিজে পাওয়া ক্ষমতা কাজে লাগায় নি কারণ ওনার বিবেক জাগ্রত ছিল। আর গুলি লুকিয়ে রেখেছে নিজের চাকরি টাকে বাচানোর জন্য। # সত্যের জয় হলো আর হেরে গেলো কিছু মানুষ রুপি ঐ হায়নাদের কাছে
Total Reply(0)
Sharif Nahid ৩০ জুলাই, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 0
শর্টগানের গুলি গায়ে বিঁধলে তো নিশ্চিত মৃত্যু। তাহলে এই ঘটনা থেকে এটাই বোঝা যাচ্ছে সেদিন শুধুমাত্র ছত্রভঙ্গের উদ্দেশ্যে রাবার বুলেট ছোড়া হয়নি, হত্যার উদ্দেশ্যেও গুলি ছোড়া হয়েছিলো। ভাগ্যিস এই এএসআই কিছু গুলি লুকিয়ে রেখেছিলো, তা না হলে তো জনগণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতো তাড়াতাড়ি বিষয়টা জানতেও পারতো না
Total Reply(0)
Imran Nazir ৩০ জুলাই, ২০২০, ১২:৫১ এএম says : 0
কিন্তু তখন তো বলা হয়েছে শুধু রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়েছিল।
Total Reply(0)
MD Lookman ৩০ জুলাই, ২০২০, ১২:৫১ এএম says : 0
হেফাজত এখন নিজেদের পকেটের হেফাজতে ব্যস্ত! তারা কিসের ভিত্তিতে বলে একদিন এর বিচার হবে! তোমাদের লজ্জা শরম হেফাজত কর
Total Reply(0)
Feruz Ahammed ৩০ জুলাই, ২০২০, ১২:৫২ এএম says : 0
এর মানে কি বুঝতে পারি? সরকার হেফাজতের উপর গুলি চালাতে অনুমোদন দিয়েছিলেন আর সেই এএসআই মানবিক কারণে তা না করে গুলি লুকিয়ে রেখে নিজেকে সরকারি আদেশ মানার সামিল রেখেছে,তাহলে রেজাল্ট কি দাঁড়ালো? এএসআই সরকারের নির্দেশ পালনও করেছে এবং মানবতাও বাঁচিয়ে রেখেছে।
Total Reply(0)
ইঞ্জিনিয়ার লোপা ৩০ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৩ এএম says : 0
মানুষ মারা গুলি কি সেদিন ব্যবহার করা হয়েছিল? এ প্রশ্নটাই জনমনে রেখে যাচ্ছে এসআই এর এ কান্ড।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ৩০ জুলাই, ২০২০, ১১:২৭ পিএম says : 0
এএসআই আসাদুজ্জামান ২০১৩ সালে মে মাসে হেফাজত ইসলামের মিছিল চলাকালে গুলি ব্যাবহার করেছেন মিথ্যা বলে ২৪টি কার্তুজ অস্ত্রাগারে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখেদিয়েছিলেন এটা অবশ্য অপরাধ করেছেন। এজন্যে তিনি যতই কৈফিয়ত দিন নাকেন সেসব গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব মত কাজ করার ক্ষমতা প্রদান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন