কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ সে.মি. এবং ধরলার পানি কুড়িগ্রাম ব্রীজ পয়েন্টে ১২ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪ সে.মি. বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ফলে দুর্ভোগে রয়েছে বন্যা কবলিতরা। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অনেক ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে যায়নি। পানি বেড়ে যাওয়ায় অনেকে ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়িতে ফিরতে শুরু করলেও দুর্ভোগে পড়েছেন তারাও। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ নানা পানি বাহিত রোগে। বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারী-বেসরকারী ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও তা সবার ভাগ্যে জুটছে না।
এদিকে দীর্ঘ মেয়াদী বন্যায় খাদ্য ও অর্থ সংকটে মলিন হয়ে গেছে চার শতাধিক চরাঞ্চলের বন্যা দুর্গত মানুষের ঈদের আনন্দ। একবেলা খেয়ে না খেয়ে দিন পাড় করা এসব মানুষের ভাগ্যে এবার জুটবে না কোরবানীর মাংসও।
এদিকে জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম জানান, বানভাসি ও হতদরিদ্র মিলে ৪লাখ ২৮ হাজার ৬২৫জনকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন