বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘পানির দরে’ চামড়া

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২০, ১০:০২ এএম

কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে মানুষ এবারও বিপাকে। বলতে গেলে পানির দরেই বিক্রি হয়েছে পশুর চামড়া। প্রকারভেদে প্রতিটি গরুর চামড়া ১০০ থেকে ৪০০ টাকা ও ছাগলের চামড়া ১০ টাকায় কেনা হয়েছে। তবে বড় গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৬০০ টাকায় নেয়া হয়। চামড়ার বাজারে ধস নামায় দুস্থরা বঞ্চিত হয়েছেন। আলেম সমাজ ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।

রাজধানীর জিগাতলা ট্যানারি মোড় ও পোস্তার আড়তে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক কমে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি হতে দেখা গেছে। একজন ক্রেতা বলেন, বড় গরুর চামড়া ৫০০-৬০০ ও মাঝারি গরুর চামড়া ৩০০-৩৫০ টাকায় কিনেছেন। আর ৪ পিছ ছাগলের চামড়া কিনেছেন ১০ টাকায়।

বগুড়ায় শনিবার বড় বড় ব্যবসায়ীরা দোকান বা রাস্তার পাশে বসে দিনভর চামড়া কিনেছেন। মূল্য কম হওয়ায় অনেক কোরবানিদাতা চামড়া বিক্রি না করে মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দান করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর, বাদুড়তলা, ১নং রেলগেট এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বেলা ১১টার পর থেকে চামড়া কেনাবেচা শুরু হয়। গরুর চামড়া ১০০ টাকা (গাভী) থেকে ৪০০ টাকায় (ষাঁড়) বিক্রি হয়। তবে বড় সাইজের গরুর চামড়া (২৫-৩০ বর্গফুট) ৫০০ থেকে ৫৫০টাকায় কেনা হয়েছে। ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে, ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকায়। ভেড়ার চামড়ার দাম দেয়া হয়নি। বিক্রেতারা গরু বা ছাগলের চামড়ার সঙ্গে ফ্রি দিয়ে গেছেন।

চট্টগ্রামে আজ সকালেও রাস্তার ধারে অবিক্রিত চামড়া পড়ে থাকতে দেখা গেছে। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব চামড়া নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো এখনো বিক্রি হয়নি।

এবার ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার, যা গত বছর ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকার মধ্যে ছিল। ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ১৩ টাকা। কিন্তু বাস্তবে চামড়ার দাম ছিল আরো অনেক কম।

‌‌‌‘পানির দরে’ চামড়া বিক্রি হচ্ছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। অনেকেই পশুর চামড়া মাদরাসায় দান করে থাকেন। এবছর মাদরাসাগুলো চামড়া পাচ্ছে কম। যা পেয়েছে তাও খুব দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মনিপুরের সিদ্দিকীয় হাফিজিয়া মাদ্রসার হিসাব রক্ষক আতিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছর ঈদের দিন দুপুর ৫০০ টাকা করে ২০০টি চামড়া বিক্রি করেছিলেন তারা। তবে সব বিক্রি করতে পারেননি। এবারের পরিস্থিতি বলতে গেলে তার চেয়েও খারাপ। এবার ২১০টা চামড়া হাতে এসেছে। কিন্তু কোনো ফড়িয়া পাওয়া যায়নি। ফলে পানির দামে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। একজন ২১০ টাকা করে চামড়াগুলো নিয়ে গেছেন। তিনি ফড়িয়া নন, হয়ত কারও মাধ্যমে বিক্রি করবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
মাহমুদ ২ আগস্ট, ২০২০, ১০:০৭ এএম says : 0
এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা
Total Reply(0)
পারভেজ ২ আগস্ট, ২০২০, ১০:০৭ এএম says : 0
সরকারের উচিত এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া
Total Reply(0)
নাসির ২ আগস্ট, ২০২০, ১০:০৮ এএম says : 0
হে আল্লাহ তুমি ব্যবসায়ীদেরকে ঈমান দান করো
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম ২ আগস্ট, ২০২০, ১০:০৯ এএম says : 0
এই করোনাকালীন সময়ে কোরবানির পশুর চামড়ার নিয়ে এমনটা করা একদমই ঠিক হয় নি
Total Reply(0)
জুয়েল ২ আগস্ট, ২০২০, ৬:১৭ পিএম says : 0
গত কয়েক বছর ধরে একই ঘটনা ঘটলেও সরকার কেন যে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সেটাই আমার বুঝে আসে না।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন