প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রামে পর্যটন স্পটগুলোতে মানুষের ঢল নামলেও এবার ভিন্ন চিত্র। ফাঁকা নগরীর সবগুলো বিনোদন কেন্দ্র। কেউ আসতে চাইলেও পুলিশী বাধায় ফিরে যাচ্ছেন। করোনা সংক্রমণ এড়াতে ঈদের ছুটিতে পতেঙ্গা সৈকতসহ চট্টগ্রামের সবকটি পর্যটন কেন্দ্রে জনসমাগম নিষিদ্ধ করে পুলিশ। এসব এলাকায় ঈদের দিন থেকে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
রোববার ঈদের দ্বিতীয় দিনে অনেকে ঘর থেকে বের হন। তবে এসব স্পটে কেউ যেতে পারেননি। বিকেলে সিআরবি সাত রাস্তার মাথায় পুলিশের টহল দেখা যায়। কাউকে পুলিশ সেখানে আসতে দেয়নি। কয়েকজন রিকশা আরোহীকে ফিরিয়ে দিতে দেখা যায়। নগরীর পতেঙ্গা সৈকতেও পুলিশী টহল বাড়ানো হয়েছে। তারা পর্যটকদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন। একই চিত্র নগরীর ডিসি হিলেও।
তবে নগরীর মেরিনার্স রোড়, কর্ণফুলী সেতু, কালুরঘাট সেতু এবং সিটি আউটার রিং রোড এলাকায় অনেকে ঘুরতে বের হন। সব চেয়ে বেশি মানুষের ভিড় নবনির্মিত বায়েজিদ-ফৌজদারহাট হাট সড়কে। পাহাড় কেটে পাহাড়ী এলাকার মাঝ বরাবার তৈরী এই সড়কটি এখন অন্যতম পর্যটন স্পট। পাহাড় ঘেরা সড়কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সবাই। রোববার সারা দিন সেখানে মানুষের ভিড় ছিলো। কর্ণফুলী সেতু এলাকায়ও একই চিত্র।
নগরীতে অনেকে ফাঁকা সড়কে রিকশায় ঘুরেছেন। কিশোর যুবকদের সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামতে দেখা যায়। কেউ কেউ আবার দল বেধে রাস্তায় ঘুরছে। তবে বেশির ভাগ মানুষ বাসা বাড়িতে সময় পার করছেন। কেউ আবার আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি যাচ্ছেন। বাসায় বসে খোঁজ খবর নিচ্ছেন স্বজনদের। নগরীতে সুনসান নীরবতা থাকলেও গ্রামের হাটবাজার এখন জমজমাট। ঈদের ছুটিতে যারা গ্রামে গেছেন তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন হাটে বাজারে, প্রতিবেশিদের বাড়িতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন